০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাইকগাছায় শীতের তীব্রতায় বাড়ছে দুর্ভোগ ও রোগ-বালাই

খুলনার পাইকগাছায় শীতের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। পৌষ মাসের শেষভাগে এসে এ উপজেলায় শৈত্যপ্রবাহ ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস জনজীবন স্থবির করে দিয়েছে। উত্তর থেকে আসা হিমেল হাওয়া এবং ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
গত কয়েক দিনের টানা ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্কদের শীতজনিত রোগ-বালাই বাড়ছে। গ্রামের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শীতের প্রকোপে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না। তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় কনকনে ঠান্ডায় জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে অসহায় মানুষ অস্থায়ী দোকান ও ফুটপাতে ভিড় করছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পৌরসভা,কপিলমুনি,বাকা বাজার ও চাঁদখালী সহ বিভিন্ন স্থানে কম দামের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। এসব দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষ ভিড় করছেন তাদের সাধ্যের মধ্যে শীত নিবারণের জন্য কাপড় কিনতে।
ফুটপাতের দোকানি সোহেল জানান, তার দোকানে সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষ আসেন, যারা বেশি দামে দোকান থেকে শীতবস্ত্র কিনতে পারেন না। চা বিক্রেতা রজনী বলেন, বড় দোকানের তুলনায় এখানে কম দামে কাপড় পাওয়া যায়। তাই এই ফুটপাতই আমাদের ভরসা।
এদিকে শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। কৃষক রফিকুল জানান, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে মাঠের কাজ বন্ধ। ফসলের বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে। যদি শৈত্যপ্রবাহ আরও কিছুদিন চলতে থাকে, তবে ফসলের বড় ক্ষতি হতে পারে।
সর্বোপরি, সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন অসহায় মানুষরা। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড়ের প্রয়োজনীয়তা এখন খুবই জরুরি।
বাখ//এস