০৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ম্যারাথন দৌড়বিদ টুকু জামিলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ৭ জানুয়ারি

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি

ম্যারাথন দৌড়বিদ “টিম পটুয়াখালী”র প্রতিষ্ঠাতা টুকু জামিলের মৃত্যুবার্ষিকী ৭ জানুয়ারি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের পতেঙ্গার মেরিন ড্রাইভে ২১.১ কিলোমিটার চট্রগ্রাম সিটি হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় টিম পটুয়াখালীর পক্ষে দৌড়ে অংশগ্রহন করে দৌড় শেষে ‘ফিনিশ লাইন’ ক্রস করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান টুকু জামিল। পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় পতেঙ্গা নেভী হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক টুকু জামিলকে মৃত ঘোষনা করেন।

২০১৮ সাল থেকে ৩০ টি ইভেন্ট ট্রেইল আলট্রা ম্যারাথন, হাফ ম্যারাথন ও একাধিক মিনি ম্যারাথনে অংশগ্রহনকারী টুকু জামিল ২০২০ সালে “টিম পটুয়াখালী” নামে একটি রানিং দল তৈরি করেন। সারাদেশে ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী টুকু জামিল তার নিজ প্রতিভায় ম্যারাথনে রানিং কমিউনিটিতে “রেইস এ্যাম্বেসেডর” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান ,কম সুবিধাপ্রাপ্ত রানারদেরকে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে ‘টিম পটুয়াখালী’র ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহন করে পটুয়াখালী জেলাকে তুলে ধরেন মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত।

জীবনের শেষ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে ম্যারাথনের শেষে ফিনিশ লাইন অতিক্রম করার সময়ও পায়ের মোজার মধ্যে গুজে রাখা নিজ জেলা পটুয়াখালী লেখা ব্যনারটি তুলে ধরেন হাসি মুখে সবার সামনে। এরপরই জীবনের শেষ প্রদ্বীপটি নিভে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন এক সময়ের পটুয়াখালীর জনপ্রিয় ছাত্রনেতা,পটুয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এজিএস , বিতার্কিক ,আবৃত্তিকার, সকলের প্রিয়মুখ, তুখোড় মেধাবী ছাত্র গহর জামিল টুকু।

মৃত গহর জামিল টুকু পটুয়াখালীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবীদ, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ্যাডভোকেট মরহুম মোয়াজ্জম হোসেন সুলতান মিয়া এবং পটুয়াখালী সমাজসেবা বিভাগের প্রাক্তন উপপরিচালক হোসনে আরা বেগমের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। গহর জামিল টুকু ১৯৯৩ সালে পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পটুয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। কলেজে পড়াকালীন ছাত্রদল থেকে কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে শাহিন-বাচ্চু -টুকু প্যানেলে সর্বাধিক ভোট পেয়ে এজিএস নির্বাচিত হন তিনি।

পরবর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়াকালীন সময় ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের ৪১ জিডিপি লংকোর্সে যোগদান করেন তিনি। বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ২ বছর প্রশিক্ষণকালীন সময়ের শেষ মুহূর্তে কমিশনের ২ মাস আগে ২০০১ সালে আওয়ামী সরকারের সময় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে তাকে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স থেকে টার্মিনেট করা হয়।

মরহুমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল ৭ জানুয়ারী মরহুমের গোরস্থান রোডস্থ পটুয়াখালীর বাসভবনে বাদ আছর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মরহুমের বড় ভাই পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক দৈনিক ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি মো: জাকির হোসেন। সকলকে উক্ত দোয়ায় অংশগ্রহন করার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।

বাখ//ইস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
২০৪ জন দেখেছেন

ম্যারাথন দৌড়বিদ টুকু জামিলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ৭ জানুয়ারি

আপডেট : ০৭:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

ম্যারাথন দৌড়বিদ “টিম পটুয়াখালী”র প্রতিষ্ঠাতা টুকু জামিলের মৃত্যুবার্ষিকী ৭ জানুয়ারি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের পতেঙ্গার মেরিন ড্রাইভে ২১.১ কিলোমিটার চট্রগ্রাম সিটি হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় টিম পটুয়াখালীর পক্ষে দৌড়ে অংশগ্রহন করে দৌড় শেষে ‘ফিনিশ লাইন’ ক্রস করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান টুকু জামিল। পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় পতেঙ্গা নেভী হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক টুকু জামিলকে মৃত ঘোষনা করেন।

২০১৮ সাল থেকে ৩০ টি ইভেন্ট ট্রেইল আলট্রা ম্যারাথন, হাফ ম্যারাথন ও একাধিক মিনি ম্যারাথনে অংশগ্রহনকারী টুকু জামিল ২০২০ সালে “টিম পটুয়াখালী” নামে একটি রানিং দল তৈরি করেন। সারাদেশে ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী টুকু জামিল তার নিজ প্রতিভায় ম্যারাথনে রানিং কমিউনিটিতে “রেইস এ্যাম্বেসেডর” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান ,কম সুবিধাপ্রাপ্ত রানারদেরকে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে ‘টিম পটুয়াখালী’র ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহন করে পটুয়াখালী জেলাকে তুলে ধরেন মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত।

জীবনের শেষ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে ম্যারাথনের শেষে ফিনিশ লাইন অতিক্রম করার সময়ও পায়ের মোজার মধ্যে গুজে রাখা নিজ জেলা পটুয়াখালী লেখা ব্যনারটি তুলে ধরেন হাসি মুখে সবার সামনে। এরপরই জীবনের শেষ প্রদ্বীপটি নিভে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন এক সময়ের পটুয়াখালীর জনপ্রিয় ছাত্রনেতা,পটুয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এজিএস , বিতার্কিক ,আবৃত্তিকার, সকলের প্রিয়মুখ, তুখোড় মেধাবী ছাত্র গহর জামিল টুকু।

মৃত গহর জামিল টুকু পটুয়াখালীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবীদ, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ্যাডভোকেট মরহুম মোয়াজ্জম হোসেন সুলতান মিয়া এবং পটুয়াখালী সমাজসেবা বিভাগের প্রাক্তন উপপরিচালক হোসনে আরা বেগমের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। গহর জামিল টুকু ১৯৯৩ সালে পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পটুয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। কলেজে পড়াকালীন ছাত্রদল থেকে কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে শাহিন-বাচ্চু -টুকু প্যানেলে সর্বাধিক ভোট পেয়ে এজিএস নির্বাচিত হন তিনি।

পরবর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়াকালীন সময় ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের ৪১ জিডিপি লংকোর্সে যোগদান করেন তিনি। বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ২ বছর প্রশিক্ষণকালীন সময়ের শেষ মুহূর্তে কমিশনের ২ মাস আগে ২০০১ সালে আওয়ামী সরকারের সময় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে তাকে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স থেকে টার্মিনেট করা হয়।

মরহুমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল ৭ জানুয়ারী মরহুমের গোরস্থান রোডস্থ পটুয়াখালীর বাসভবনে বাদ আছর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মরহুমের বড় ভাই পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক দৈনিক ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি মো: জাকির হোসেন। সকলকে উক্ত দোয়ায় অংশগ্রহন করার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।

বাখ//ইস