০১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক এমপি রতনের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে রতনের বাড়িতে যায় দুদক টিম। সোমবার তার গ্রামের বাড়ি জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নওধার গ্রামের বিলাসবহুল নিবাস ‘হাওর বাংলা’ পরিদর্শনে গিয়েছিল এ টিম। বুধবার তাহিরপুর উপজেলায় যাবে দুদক টিম।
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রতনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিতর্কিত ঠিকাদার জি.কে শামীমের সঙ্গে সম্পর্ক, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো কারবার, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও রয়েছে রতনের বিরুদ্ধে। ফলে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকায় গড়ে তোলা ‘পায়েল পিউ’ নিবাসে যান দুদকের অনুসন্ধানী প্রতিনিধি দল। সুনামগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীগন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
গেল ৫ আগস্টে পটপরিবর্তনের পর বাড়ির নাম পরিবর্তন করে ‘স্পর্শ স্পন্দন ড্রিম হাউস নামকরণ করা হয়। অনুসন্ধান দলের সদস্য দুদক সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, রতনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অভিযোগ ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুদক পরিচালক আবদুল মাজেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল রতনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে। এই দলে থাকা অন্যরা হলেন দুদক অতিরিক্ত পরিচালক গুলশান আনোয়ার এবং উপসহকারী পরিচালক এলমান আহমেদ।
উল্লেখ্য, ক্যাসিনো হোতা রতনের ঢের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে ইতিপূর্বে। মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ফের নির্বাচিত হয়েছেন। তবে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন রতন।
গেল ৫ হাসিনা সরকার গদিচ্যুত হলে সেই থেকে  আত্মগোপনে আছেন বিতর্কিত সাবেক এই সাংসদ। এ প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:১৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
১৪১ জন দেখেছেন

সাবেক এমপি রতনের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

আপডেট : ০৭:১৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে রতনের বাড়িতে যায় দুদক টিম। সোমবার তার গ্রামের বাড়ি জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নওধার গ্রামের বিলাসবহুল নিবাস ‘হাওর বাংলা’ পরিদর্শনে গিয়েছিল এ টিম। বুধবার তাহিরপুর উপজেলায় যাবে দুদক টিম।
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রতনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিতর্কিত ঠিকাদার জি.কে শামীমের সঙ্গে সম্পর্ক, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো কারবার, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও রয়েছে রতনের বিরুদ্ধে। ফলে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকায় গড়ে তোলা ‘পায়েল পিউ’ নিবাসে যান দুদকের অনুসন্ধানী প্রতিনিধি দল। সুনামগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীগন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
গেল ৫ আগস্টে পটপরিবর্তনের পর বাড়ির নাম পরিবর্তন করে ‘স্পর্শ স্পন্দন ড্রিম হাউস নামকরণ করা হয়। অনুসন্ধান দলের সদস্য দুদক সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, রতনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অভিযোগ ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুদক পরিচালক আবদুল মাজেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল রতনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে। এই দলে থাকা অন্যরা হলেন দুদক অতিরিক্ত পরিচালক গুলশান আনোয়ার এবং উপসহকারী পরিচালক এলমান আহমেদ।
উল্লেখ্য, ক্যাসিনো হোতা রতনের ঢের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে ইতিপূর্বে। মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ফের নির্বাচিত হয়েছেন। তবে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন রতন।
গেল ৫ হাসিনা সরকার গদিচ্যুত হলে সেই থেকে  আত্মগোপনে আছেন বিতর্কিত সাবেক এই সাংসদ। এ প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাখ//আর