০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গামাটিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
প্রেস কাউন্সিল একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান, এটি বিলোপ করে নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করার দরকার বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘গত দেড় দশকে সংবাদমাধ্যমে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। বিগত সময়ে প্রতিষ্ঠান মালিকরা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেননি। তবে মালিকরা সুবিধা নিয়েছে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সামাজিক মর্যাদাও থাকে না। নীতিমালা না মেনে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের অনুমোদন দিয়েছে বিগত সরকার।’
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে তিন পার্বত্য জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা শেষে কমিশন প্রধান এসব কথা বলেন। বৈঠকে তিন পার্বত্য জেলা- রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান মিলিয়ে প্রায় ৭৫ জন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকাল ১১ টায় রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। এতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য মোস্তফা সবুজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বেগম কামরুনন্নেসা হাসানসহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া তিন পার্বত্য জেলা-উপজেলার বিভিন্ন প্রেস ক্লাব নেতারাসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন নিয়ে বাদ পড়াদের মধ্যে ‘অসন্তোষ’ দেখা দিয়েছে।
এ সময় কমিশনের সঙ্গে বৈঠককালে সাংবাদিকরা ভুঁইফোড়, আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা বন্ধ, সংবাদপত্র ও মিডিয়ার প্রতিষ্ঠানের ওয়েজ বোর্ড নিশ্চিত করা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং সংবাদকর্মীদের কাজে বাধা প্রদানকারী সকল ‘কালো আইন’ বাতিল করাসহ জনমুখী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:৩৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
১২৮ জন দেখেছেন

রাঙ্গামাটিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

আপডেট : ১০:৩৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
প্রেস কাউন্সিল একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান, এটি বিলোপ করে নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করার দরকার বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘গত দেড় দশকে সংবাদমাধ্যমে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। বিগত সময়ে প্রতিষ্ঠান মালিকরা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেননি। তবে মালিকরা সুবিধা নিয়েছে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সামাজিক মর্যাদাও থাকে না। নীতিমালা না মেনে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের অনুমোদন দিয়েছে বিগত সরকার।’
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে তিন পার্বত্য জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা শেষে কমিশন প্রধান এসব কথা বলেন। বৈঠকে তিন পার্বত্য জেলা- রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান মিলিয়ে প্রায় ৭৫ জন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকাল ১১ টায় রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। এতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য মোস্তফা সবুজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বেগম কামরুনন্নেসা হাসানসহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া তিন পার্বত্য জেলা-উপজেলার বিভিন্ন প্রেস ক্লাব নেতারাসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন নিয়ে বাদ পড়াদের মধ্যে ‘অসন্তোষ’ দেখা দিয়েছে।
এ সময় কমিশনের সঙ্গে বৈঠককালে সাংবাদিকরা ভুঁইফোড়, আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা বন্ধ, সংবাদপত্র ও মিডিয়ার প্রতিষ্ঠানের ওয়েজ বোর্ড নিশ্চিত করা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং সংবাদকর্মীদের কাজে বাধা প্রদানকারী সকল ‘কালো আইন’ বাতিল করাসহ জনমুখী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
বাখ//এস