১০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈশ্বরদী ইপিজেডে শ্রমিককে মারধর করে হত্যার অভিযোগ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

ঈশ্বরদী ইপিজেডে আই এইচ এম গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেড এর শ্রমিককে মারধরের পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

নিহত নাইম ঈশ্বরদীর গোকুলনগর চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন মাদ্রাসা পাড়ার মুক্তা শেখ ছেলে মেহেদী হাসান নাঈম (২২) এবং ইপিজেডের আই এইচ এম গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেড কম্পিউটার অপারেটিং পদে কর্মরত ছিল।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত নাইম এর পিতা মুক্তা শেখ। পুলিশ নিহত নাইম এর বাড়িতে গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত নাইমের পিতা মুক্তা শেখ জানান, নাইম মৃত্যুর পূর্বে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মারধরের কথা বলে গেছেন। তিনি বলেন, ইপিজেডের ওই অফিসের এডমিনের সাথে নাইমের পদোন্নতি বিষয় নিয়ে বুধবার সকালে কথা কাটাকাটি হয়। বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে এডমিন নাইমকে বুকে ও পিঠে প্রচন্ড আঘাত করেন। এতে নাইম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ইপিজেডের অভ্যন্তরে বেপজা হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ।

নিহতের বড় চাচা মহিউদ্দিন মানিক জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ইপিজেড বেপজা হাসপাতাল থেকে নাইমকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে চিকিৎসকরা জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাতে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাইমের পিঠ থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম কালচে জমাট রক্ত বের করেন এবং চিকিৎসকরা তাকে জানান, নাইমের বুকে ও পিঠে প্রচন্ড আঘাত এর জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরে রাত ২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই সে মারা যায়।

আই এইচ এম গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেড কর্মরত মশিউর রহমান কে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা দেয়।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, খবর পেয়ে নিহত নাইমের বাড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে এসেছি । ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তিনি জানান।

বাখ//ইস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
১০৩ জন দেখেছেন

ঈশ্বরদী ইপিজেডে শ্রমিককে মারধর করে হত্যার অভিযোগ

আপডেট : ০৪:০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

ঈশ্বরদী ইপিজেডে আই এইচ এম গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেড এর শ্রমিককে মারধরের পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

নিহত নাইম ঈশ্বরদীর গোকুলনগর চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন মাদ্রাসা পাড়ার মুক্তা শেখ ছেলে মেহেদী হাসান নাঈম (২২) এবং ইপিজেডের আই এইচ এম গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেড কম্পিউটার অপারেটিং পদে কর্মরত ছিল।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত নাইম এর পিতা মুক্তা শেখ। পুলিশ নিহত নাইম এর বাড়িতে গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত নাইমের পিতা মুক্তা শেখ জানান, নাইম মৃত্যুর পূর্বে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মারধরের কথা বলে গেছেন। তিনি বলেন, ইপিজেডের ওই অফিসের এডমিনের সাথে নাইমের পদোন্নতি বিষয় নিয়ে বুধবার সকালে কথা কাটাকাটি হয়। বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে এডমিন নাইমকে বুকে ও পিঠে প্রচন্ড আঘাত করেন। এতে নাইম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ইপিজেডের অভ্যন্তরে বেপজা হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ।

নিহতের বড় চাচা মহিউদ্দিন মানিক জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ইপিজেড বেপজা হাসপাতাল থেকে নাইমকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে চিকিৎসকরা জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাতে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাইমের পিঠ থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম কালচে জমাট রক্ত বের করেন এবং চিকিৎসকরা তাকে জানান, নাইমের বুকে ও পিঠে প্রচন্ড আঘাত এর জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরে রাত ২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই সে মারা যায়।

আই এইচ এম গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেড কর্মরত মশিউর রহমান কে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা দেয়।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, খবর পেয়ে নিহত নাইমের বাড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে এসেছি । ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তিনি জানান।

বাখ//ইস