০৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকুন্দিয়ায় হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী গরুর মই দৌড় প্রতিযোগিতা

আছাদুজ্জামান খন্দকার, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমারপুর গ্রামে হয়ে গেল গ্রাম-বাংলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গরুর মই দৌড় প্রতিযোগিতা। হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এলাকার যুব সমাজ। গরুর মই দৌড় প্রতিযোগীতা দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়। এটি এলাকায় গরুর হাল দৌড় নামে পরিচিত।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকাল চারটার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারপুর গ্রামে এ গরুর হাল দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা রং ও আকারের হালের গরু মাঠে নিয়ে আসেন প্রতিযোগিরা।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি জোড়া হালের গরুর পেছনের মইয়ের ওপর দাড়িঁয়ে একজন কৃষক তাড়িয়ে নিয়ে যান গরু জোড়াটিকে। আর যে গরু জোড়াটি সবচেয়ে কম সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যস্থলে দৌড়ে গিয়ে পৌঁছতে পারবে- সেটিই হবে প্রতিযোগীতায় প্রথম। আর জিতে নিবে বিজয়ের পুরস্কার। এতে অংশ নেয় আট জোড়া হালের গরু (ষাঁড়)।

স্থানীয় কুমারপুর-মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের যুব সমাজের আয়োজনে এ হাল দৌড় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা জানান, আমরা এখন থেকে প্রতিবছরই গরুর হাল দৌড়ের আয়োজন করবো। হারানো এ ঐতিহ্যকে বাচিঁয়ে রাখতে চেষ্টা করব। আর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এমন আয়োজনে খুশি এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

কুমারপুরপুর গ্রামের সাবেক শিক্ষক রুহুল আমীন মাষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন রুবেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোসেন্দী ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম শিহাব, হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির সুমন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে আসা লোকজন আটটি দলে ভাগ হয়ে হাল দৌড়ে অংশ নেন। প্রতিযোগীতায় প্রথম হয়েছেন মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের জয়নাল মিয়া, দ্বিতীয় হয়েছেন কন্দরপদি গ্রামের রফিক মিয়া, তৃতীয় হয়েছেন নরপুর গ্রামের মানিক মিয়া। তারা প্রত্যেকেই একটি করে ছাগল পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতিটি গরুর হালকে স্বান্তনা পুরস্কার হিসেবে একটি করে ছাতা উপহার দেয়া হয়।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:৩১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
১২৭ জন দেখেছেন

পাকুন্দিয়ায় হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী গরুর মই দৌড় প্রতিযোগিতা

আপডেট : ০৫:৩১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমারপুর গ্রামে হয়ে গেল গ্রাম-বাংলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গরুর মই দৌড় প্রতিযোগিতা। হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এলাকার যুব সমাজ। গরুর মই দৌড় প্রতিযোগীতা দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়। এটি এলাকায় গরুর হাল দৌড় নামে পরিচিত।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকাল চারটার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারপুর গ্রামে এ গরুর হাল দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা রং ও আকারের হালের গরু মাঠে নিয়ে আসেন প্রতিযোগিরা।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি জোড়া হালের গরুর পেছনের মইয়ের ওপর দাড়িঁয়ে একজন কৃষক তাড়িয়ে নিয়ে যান গরু জোড়াটিকে। আর যে গরু জোড়াটি সবচেয়ে কম সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যস্থলে দৌড়ে গিয়ে পৌঁছতে পারবে- সেটিই হবে প্রতিযোগীতায় প্রথম। আর জিতে নিবে বিজয়ের পুরস্কার। এতে অংশ নেয় আট জোড়া হালের গরু (ষাঁড়)।

স্থানীয় কুমারপুর-মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের যুব সমাজের আয়োজনে এ হাল দৌড় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা জানান, আমরা এখন থেকে প্রতিবছরই গরুর হাল দৌড়ের আয়োজন করবো। হারানো এ ঐতিহ্যকে বাচিঁয়ে রাখতে চেষ্টা করব। আর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এমন আয়োজনে খুশি এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

কুমারপুরপুর গ্রামের সাবেক শিক্ষক রুহুল আমীন মাষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন রুবেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোসেন্দী ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম শিহাব, হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির সুমন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে আসা লোকজন আটটি দলে ভাগ হয়ে হাল দৌড়ে অংশ নেন। প্রতিযোগীতায় প্রথম হয়েছেন মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের জয়নাল মিয়া, দ্বিতীয় হয়েছেন কন্দরপদি গ্রামের রফিক মিয়া, তৃতীয় হয়েছেন নরপুর গ্রামের মানিক মিয়া। তারা প্রত্যেকেই একটি করে ছাগল পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতিটি গরুর হালকে স্বান্তনা পুরস্কার হিসেবে একটি করে ছাতা উপহার দেয়া হয়।

বাখ//আর