০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অফিসিয়াল ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা

শফিউল আযম, বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

বিগত স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন সচিব কবীর বিন আনোয়ার পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব পদে দায়িত্ব পালনকালে পাবনার বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। সে থেকে বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পদ দীর্ঘদিন শুন্য থাকায় বর্তমানে দৈনন্দিন অফিসিয়াল কর্মকান্ডসহ উন্নয়ন কাজে মারাত্মক স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধ ও বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ সুবিধার্থে পাবনার বেড়া উপজেলার কৈটোলা পাম্পিং ষ্টেশনে নির্মাণ বিভাগের অফিস স্থাপন করা হয়। এখানকার নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিবকে ২০১৯ সালে রংপুর বদলী করা হয়। এরপর থেকে এ বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। সেই থেকে বেড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

এরপর ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কবীর বিন আনোয়ার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে যোগদান করেন। ওই সচিব কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের শত শত কোটি টাকার কাজ নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের পাইয়ে দিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্মাণ বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেন।

কৌটোলা নির্মাণ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, দায়িত্ব পাওয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলী এক দিনের জন্যও কৌটোলা নির্মাণ বিভাগ অফিসে আসেননি। তিনি এ অফিসে না আসায় অফিসিয়াল ফাইলপত্র প্রায় ৬০ কিলোমিটার দুরে সিরাজগঞ্জ পাউবো অফিসে গিয়ে স্বাক্ষর করাতে হচ্ছে। এমনকি কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অধীনে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে কয়েক’শ কোটি ব্যয়ে নদী ভাঙনরোধ কাজ সঠিকভাবে তদারকি না করায় ভাঙনরোধ সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমানের সাথে মোবাইলে (০১৩১১-৮২৩৫২৮৬) যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারিরা জানান, উন্নয়ন প্রকল্পসহ দৈনন্দিন কর্মকান্ড পরিচালনায় গতি আনতে অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদায়ণের বিকল্প কিছু নেই। তাই সংশ্লিষ্টরা অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ পুরণের দাবি জানান।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
১৩৭ জন দেখেছেন

বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অফিসিয়াল ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা

আপডেট : ০৭:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

বিগত স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন সচিব কবীর বিন আনোয়ার পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব পদে দায়িত্ব পালনকালে পাবনার বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। সে থেকে বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পদ দীর্ঘদিন শুন্য থাকায় বর্তমানে দৈনন্দিন অফিসিয়াল কর্মকান্ডসহ উন্নয়ন কাজে মারাত্মক স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধ ও বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ সুবিধার্থে পাবনার বেড়া উপজেলার কৈটোলা পাম্পিং ষ্টেশনে নির্মাণ বিভাগের অফিস স্থাপন করা হয়। এখানকার নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিবকে ২০১৯ সালে রংপুর বদলী করা হয়। এরপর থেকে এ বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। সেই থেকে বেড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

এরপর ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কবীর বিন আনোয়ার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে যোগদান করেন। ওই সচিব কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের শত শত কোটি টাকার কাজ নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের পাইয়ে দিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্মাণ বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেন।

কৌটোলা নির্মাণ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, দায়িত্ব পাওয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলী এক দিনের জন্যও কৌটোলা নির্মাণ বিভাগ অফিসে আসেননি। তিনি এ অফিসে না আসায় অফিসিয়াল ফাইলপত্র প্রায় ৬০ কিলোমিটার দুরে সিরাজগঞ্জ পাউবো অফিসে গিয়ে স্বাক্ষর করাতে হচ্ছে। এমনকি কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অধীনে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে কয়েক’শ কোটি ব্যয়ে নদী ভাঙনরোধ কাজ সঠিকভাবে তদারকি না করায় ভাঙনরোধ সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমানের সাথে মোবাইলে (০১৩১১-৮২৩৫২৮৬) যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারিরা জানান, উন্নয়ন প্রকল্পসহ দৈনন্দিন কর্মকান্ড পরিচালনায় গতি আনতে অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদায়ণের বিকল্প কিছু নেই। তাই সংশ্লিষ্টরা অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ পুরণের দাবি জানান।

বাখ//আর