সুনামগঞ্জে শিক্ষার্থী-সহকর্মীদের সংবর্ধনায় সিক্ত বিদায়ী শিক্ষক

প্রিয় শিক্ষককে বিদায় জানাতে সকাল থেকে বিদ্যালয়ে হাজির হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণজুড়ে আবেগঘন পরিবেশ। অশ্রুসিক্ত সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে অবশেষে সকলের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়ে নয়ন জলে বিদায় নিলেন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার লালারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক যোগেন্দ্র চন্দ্র সরকার।
এর আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা সভা চলে বিদ্যালয় হলরুমে। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক মো. মহিন উদ্দিন। বিদায়ী শিক্ষকের উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি পাঠ করেন সহকারী শিক্ষক সালমা খন্দকার।
সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে আবেগঘন বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক যোগেন্দ্র চন্দ্র সরকার। এ সময় পিনপতন নীরবতা আর বিষাদময় মুহূর্ত হয়ে ওঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হৃদয়জুড়ে। কেউ কেউ ফুলেফেঁপে কাঁদতেও দেখা গেছে।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কাউসার আহমদ। বক্তব্য দেন, সহকারী শিক্ষক রেশমা আক্তার, নাহিদা সুলতানা, সালমা খন্দকার, বিলকিস আক্তার। শিক্ষার্থী রাজ দাশ ও অনির্বাণ দেব সহ অনেকে। পরে বিদায়ী প্রিয় শিক্ষককে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্টসহ বিভিন্ন উপহার তুলে দেন দীর্ঘদিন পথচলার সহকর্মীবৃন্দ।
বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাজ দাশ ও অনির্বাণ দেব এর ভাষায়- যোগেন্দ্র স্যার শুধু শিক্ষক ছিলেন না, তিনি আমাদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতেন। আমাদের তার টান ছিল অতুলনীয়। আমাদের জীবনের একজন আদর্শবান শিক্ষক তিনি। শ্রদ্ধেয় প্রিয় স্যারের বিদায় আমাদের মর্মাহত করছে।
এ প্রসঙ্গে সহকারী শিক্ষক রেশমা আক্তার বলেন, যোগেন্দ্র স্যার শুধু সহকর্মী ছিলেন না, একজন যোগ্য অভিভাবকও ছিলেন। তার সততা, মহত্ব ও কর্ম দক্ষতায় আমাদের গর্বের বস্তু। তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। প্রিয় সহকর্মীর অবসর জীবনে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আবেগঘন হয়ে পড়েন তিনি।
বিদায়ী শিক্ষক যোগেন্দ্র চন্দ্র সরকার দীর্ঘ ৩৯ বছরের চাকুরী জীবনের ইতিকথা তুলে ধরেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করে অবসর জীবনের উদ্দেশে সহকর্মী-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি।
বাখ//ইস