ফকির সভাপতি ইকবাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
পাবনার বেড়া পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দীর্ঘ ১০ বছর পর পাবনার বেড়া পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন শুক্রবার (১০ জানু) অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে পাবনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেস্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
বেড়া পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক পৌর সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুর রহমান ফকিরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহবায়ক সাজেদুল ইসলাম দীপুর সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ্যাডঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার (সদস্য সচিব পাবনা জেলা বিএপি),সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক (সাবেক সদস্যসচিব জেলা বিএনপি), আব্দুস সামাদ খান মন্টু (যুগ্ন আহবায়ক), আনিছুল হক বাবু (যুগ্ন আহবায়ক) আবু ওবায়দা শেখ তুহিন (যুগ্ন আহবায়ক), নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা (যুগ্ন আহবায়ক), জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইউনুস আলীসহ প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীগন।
দীর্ঘ সাতবছর পর এ মুক্ত পরিবেশে এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। সকাল থেকে পৌর এলাকার দশটি ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। এসময় তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদাজিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত প্লাকার্ড বহন করে দলীয় শ্লোগানে সম্মেলন স্থল মুখরিত করে রাখেন। প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন,বিএনপিকে নিয়ে দেশ বিদেশী নানামূখি ষড়যন্ত্র চলছে। ফ্যাসীবাদী পেতাত্মা দলের মধ্যে ঢুকে তারেক জিয়া ও বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারেক জিয়ার কঠোর নির্দেশ মানার আহবান জানান। তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দলের কিছু নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তারেক জিয়ার নির্দেশেই দলের মধ্যে গণতান্ত্র প্রতিষ্ঠা করে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে পাবনা জেলার আহবায়ক কমিটি কাউন্সিল শুরু করেছেন।জেলা উপজেলা ও পৌর কমিটি সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। বেড়া পৌর নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে এ যাত্রা শুরু হলো।
তিনি কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,রাজপথে পেশিশক্তি ব্যবহার করে নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল অশ্লীল শ্লোগান ও মনগড়া অভিযোগ তুলে লাভ হবে না। নেতাকর্মীদের ভোটে পদে আসতে হবে। দল করলে দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হবে।তা না হলে যতোবড় নেতাই হোন না কেন কারণ দর্শানো ছাড়াই দল থেকে বহিষ্কার হবেন।
সম্মেলনে পৌরসভার ১০ টি ওয়ার্ডের ৬৭৩ জন কাউন্সিলর বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটে ভোট প্রদান করেন। সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য ভোট গ্রহন করা হয়। এর আগে সাবেক পৌর সভাপতি প্রবীন নেতা আলহাজ্ব ফজলুর রহমান ফকির ও সহকারী অধ্যাপক সাজেদুল ইসলাম দিপু সহ-সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ সালাউদ্দিন ইকবাল ৩৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।তার প্রতিদ্বন্দি আব্দুল মালেক পেয়েছেন ২৩২ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আকছেদ আলী ২৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন প্রতিদ্বন্দি খাজা মঈনউদ্দিন ২৪৬ ভোট আনোয়ার হোসেন ১২১ ভোট পেয়েছেন। পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাডঃ আজিজুর রহমান ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন।
বাখ//আর