০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা : ড. ইসলামের দূষণ নিয়ন্ত্রণ কৌশল

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ড. মোঃ মাজহারুল ইসলাম, একজন বিশিষ্ট সামুদ্রিক গবেষক , সম্প্রতি চীনের Xiamen University থেকে “Marine Affairs” বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার গবেষণার শিরোনাম ছিল: “Comparative Analysis of Microplastic Pollution in the Northern Bay of Bengal and Xiamen Bay, China: Implications for Policy Formulation and Control Strategies.”। এই গবেষণা উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং চীনের Xiamen উপকূলীয় অঞ্চলে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের ওপর নিবেদিত। এই গবেষণায় সামুদ্রিক পানি, তলদেশীয় অববাহিকা এবং মাছের বিভিন্ন টিস্যুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি, এর উৎস এবং পরিবেশগত ঝুঁকি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ  উপস্থাপন করা হয়েছে।
গবেষণার ফলাফল স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে, মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করছে এবং খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। এই দূষণ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক সম্পদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ড. মাজহারুল ইসলামের গবেষণা শুধু দূষণের মাত্রা ও প্রভাব বিশ্লেষণ করেই থেমে থাকেনি; বরং দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়েোজনীয় নীতিমালা এবং ব্যবস্থাপনা কাঠামোর সুপারিশ প্রদান করেছে। তার প্রস্তাবিত কাঠামোতে কঠোর পরিবেশগত আইন প্রণয়ন, শিল্প বর্জ্য এবং গৃহস্থালি প্লাস্টিক বর্জ্যের কার্যকর ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় জনগণ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমিত করার জন্য সচেতনতা কর্মসূচি এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। তার গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামুদ্রিক পরিবেশে প্লাস্টিক দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন সৈয়দগ্রামের প্রয়াত ডাঃ মোঃ মোসলেহ উদ্দিন, ও মোছাঃ মেহেরুন নেছার সর্ব কনিষ্ট সন্তান ড. মোঃ মাজহারুল ইসলাম তার একাডেমিক এবং পেশাগত জীবনে অসাধারণ দক্ষতার নজির স্থাপন করেছেন। তিনি মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে নটিক‌্যাল সায়েন্সে ব‌্যাচেলর, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ‌্যালয় হতে এমবিএ, বঙ্গবন্ধু ল’ টেম্পল থেকে এলএলবি, ডা: জাকির হোসেন সিটি কর্পোরেশন হোমিওপ‌্যাথিক মেডি‌ক‌্যাল কলেজ ও হাসপাতাল হতে ডিএইচএমএস ডিগ্রী লাভ করেন।
এছাড়াও তিনি এসটিসিডব্লিউ কম্পিটেন্সি সনদ-ডেক ক্লাশ-৩, এফবি স্কীপার, এফিবিএম অর্জন করেন। ড. ইসলাম গবেষক হিসাবে পরিবেশ বিজ্ঞান ও হোমিওপ‌্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির উপর বহূ গবেষণাপত্র বিভিন্ন আন্তজার্তিক জার্নালে প্রকাশ করেছেন। নৌ-কর্মকর্তা হিসেবে সমুদ্রগামী জাহাজে ১১ বছরের অভিজ্ঞতা তাকে সামুদ্রিক পরিবেশের জটিলতা এবং বাস্তব সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত করেছে। এই অভিজ্ঞতা তিনি তার গবেষণায় প্রয়োগ করেছেন, যা মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলার ক্ষেত্রে বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকর সমাধান প্রদান করেছে।
বর্তমানে তিনি মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে নৌবিজ্ঞান, মেরিন ফিশারিজ, আবহাওয়া বিদ‌্যা এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষাদান করছেন এবং তার গবেষণা কার্যক্রম পরিবেশ রক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তার গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য কেবলমাত্র বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রসার ঘটাবে না, বরং এটি পরিবেশ সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন এবং নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই গবেষণা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০১:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
১৪৪ জন দেখেছেন

সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা : ড. ইসলামের দূষণ নিয়ন্ত্রণ কৌশল

আপডেট : ০১:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
ড. মোঃ মাজহারুল ইসলাম, একজন বিশিষ্ট সামুদ্রিক গবেষক , সম্প্রতি চীনের Xiamen University থেকে “Marine Affairs” বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার গবেষণার শিরোনাম ছিল: “Comparative Analysis of Microplastic Pollution in the Northern Bay of Bengal and Xiamen Bay, China: Implications for Policy Formulation and Control Strategies.”। এই গবেষণা উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং চীনের Xiamen উপকূলীয় অঞ্চলে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের ওপর নিবেদিত। এই গবেষণায় সামুদ্রিক পানি, তলদেশীয় অববাহিকা এবং মাছের বিভিন্ন টিস্যুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি, এর উৎস এবং পরিবেশগত ঝুঁকি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ  উপস্থাপন করা হয়েছে।
গবেষণার ফলাফল স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে, মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করছে এবং খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। এই দূষণ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক সম্পদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ড. মাজহারুল ইসলামের গবেষণা শুধু দূষণের মাত্রা ও প্রভাব বিশ্লেষণ করেই থেমে থাকেনি; বরং দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়েোজনীয় নীতিমালা এবং ব্যবস্থাপনা কাঠামোর সুপারিশ প্রদান করেছে। তার প্রস্তাবিত কাঠামোতে কঠোর পরিবেশগত আইন প্রণয়ন, শিল্প বর্জ্য এবং গৃহস্থালি প্লাস্টিক বর্জ্যের কার্যকর ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় জনগণ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমিত করার জন্য সচেতনতা কর্মসূচি এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। তার গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামুদ্রিক পরিবেশে প্লাস্টিক দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন সৈয়দগ্রামের প্রয়াত ডাঃ মোঃ মোসলেহ উদ্দিন, ও মোছাঃ মেহেরুন নেছার সর্ব কনিষ্ট সন্তান ড. মোঃ মাজহারুল ইসলাম তার একাডেমিক এবং পেশাগত জীবনে অসাধারণ দক্ষতার নজির স্থাপন করেছেন। তিনি মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে নটিক‌্যাল সায়েন্সে ব‌্যাচেলর, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ‌্যালয় হতে এমবিএ, বঙ্গবন্ধু ল’ টেম্পল থেকে এলএলবি, ডা: জাকির হোসেন সিটি কর্পোরেশন হোমিওপ‌্যাথিক মেডি‌ক‌্যাল কলেজ ও হাসপাতাল হতে ডিএইচএমএস ডিগ্রী লাভ করেন।
এছাড়াও তিনি এসটিসিডব্লিউ কম্পিটেন্সি সনদ-ডেক ক্লাশ-৩, এফবি স্কীপার, এফিবিএম অর্জন করেন। ড. ইসলাম গবেষক হিসাবে পরিবেশ বিজ্ঞান ও হোমিওপ‌্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির উপর বহূ গবেষণাপত্র বিভিন্ন আন্তজার্তিক জার্নালে প্রকাশ করেছেন। নৌ-কর্মকর্তা হিসেবে সমুদ্রগামী জাহাজে ১১ বছরের অভিজ্ঞতা তাকে সামুদ্রিক পরিবেশের জটিলতা এবং বাস্তব সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত করেছে। এই অভিজ্ঞতা তিনি তার গবেষণায় প্রয়োগ করেছেন, যা মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলার ক্ষেত্রে বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকর সমাধান প্রদান করেছে।
বর্তমানে তিনি মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে নৌবিজ্ঞান, মেরিন ফিশারিজ, আবহাওয়া বিদ‌্যা এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষাদান করছেন এবং তার গবেষণা কার্যক্রম পরিবেশ রক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তার গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য কেবলমাত্র বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রসার ঘটাবে না, বরং এটি পরিবেশ সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন এবং নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই গবেষণা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
বাখ//আর