০৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচার অব্যাহত, সমালোচনার ঝড় রাজস্থলীতে

মো: আজগর আলী খান, নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এমন স্লোগান লিখা সংবলিত বিদ্যুৎ বিল রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ আবাসিক প্রকৌশল অফিস। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। অনেক গ্রাহক এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে বিষয়ে চন্দ্রঘোনা বিতরণ বিভাগের অফিসের এক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেছেন, চট্রগ্রাম আগ্রাবাদ অফিসের ঠিকাদারের মাধ্যমে আমরা বিলের কপি পাই। ফলে আমাদের কিছু করার নেই। শেখ হাসিনা সরকার পতনের প্রায় ৬ মাস। রাষ্ট্রীয়সহ বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে তার নাম মুছে গেলেও বাদ যায়নি চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ বিতরণ অফিস থেকে শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রচার এখনও অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, চন্দ্রঘোনা আবাসিক প্রকৌশল বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ অফিসের আওতায় প্রায় এক দেড় লক্ষের উপরে গ্রাহক রয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে সারাদেশে শেখ হাসিনার নাম, ফলকসহ টাঙানো ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো বাদ হয়নি চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার স্লোগান। এখনো বিলে শেখ হাসিনা উন্নয়নের প্রচার বার্তা চালানো হচ্ছে

নভেম্বর – ডিসেম্বর মাসের বিলের কাগজেও তা এখনো দৃশ্যমান রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক, বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে চলছে ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনা। বিদ্যুৎ গ্রাহক ও ১ নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ভূবন তনচংগ্যা বলেন, হাসিনা পতনের ছয় সাত মাস হলেও তার নামসহ স্লোগান বিদ্যুৎ বিলে রয়েয়ে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও হাসিনার নাম প্রচারে ব্যস্ত। এটা কোনো অবস্থায় কাম্য নয়। অচিরেই এটি কর্তৃপক্ষের সংশোধন করা উচিত। এখানে যারা আছে তারা তার সমর্থক গোষ্ঠী হতে পারেন। অথবা দায়িত্বহীনতার কারণে প্রচারণা চালিয়েছেন। একজন স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে। কিন্তু পিডিবি এমনটা কেন করছে, যেটি কাম্য নয়। দ্রুত সংশোধন করা উচিত।

মিনহাজ নামে এক গ্রাহক বলেন, সব জায়গায় থেকে হাসিনার নাম সরানো হলেও বিদ্যুৎ বিলের কাগজে এখনও তার নাম আছে। একটা সরকারি অফিস কি ভাবে ভুল করে। এটা দ্রুত সংশোধন করা দরকার। আরেক জন গ্রাহক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার নাম দেখে অবাক হয়েছে। দেশ ছেড়ে পালানোর ছয় মাসে সব স্থান থেকে তার নাম ছবি সরানো হয়েছে। কিন্তু এখনও বিলের কাগজে তার স্লোগান। এটা কেন সরানো হয়নি। আমরা গ্রাহকরা চাই একজন ফ্যাসিবাদী ব্যক্তির নাম কেন থাকবে।

এ বিষয়ে চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা বলেন, ৫ থেকে ৬ মাসের বিলের কাগজ একবার ছাপানো হয়। যেহুত্ব ৫ আগস্টের আগে এসব বিল ছাপানো। আমরা লাল কালি দিয়ে মুছে ফেলে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। অফিসে নতুন কয়েকজন ব্যক্তি জয়েন করছে, তারা ভুল করছে। তবে আগামীতে সংশোধন করে বিলের কাগজ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৩:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
১৫৯ জন দেখেছেন

বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচার অব্যাহত, সমালোচনার ঝড় রাজস্থলীতে

আপডেট : ০৩:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এমন স্লোগান লিখা সংবলিত বিদ্যুৎ বিল রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ আবাসিক প্রকৌশল অফিস। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। অনেক গ্রাহক এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে বিষয়ে চন্দ্রঘোনা বিতরণ বিভাগের অফিসের এক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেছেন, চট্রগ্রাম আগ্রাবাদ অফিসের ঠিকাদারের মাধ্যমে আমরা বিলের কপি পাই। ফলে আমাদের কিছু করার নেই। শেখ হাসিনা সরকার পতনের প্রায় ৬ মাস। রাষ্ট্রীয়সহ বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে তার নাম মুছে গেলেও বাদ যায়নি চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ বিতরণ অফিস থেকে শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রচার এখনও অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, চন্দ্রঘোনা আবাসিক প্রকৌশল বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ অফিসের আওতায় প্রায় এক দেড় লক্ষের উপরে গ্রাহক রয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে সারাদেশে শেখ হাসিনার নাম, ফলকসহ টাঙানো ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো বাদ হয়নি চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার স্লোগান। এখনো বিলে শেখ হাসিনা উন্নয়নের প্রচার বার্তা চালানো হচ্ছে

নভেম্বর – ডিসেম্বর মাসের বিলের কাগজেও তা এখনো দৃশ্যমান রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক, বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে চলছে ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনা। বিদ্যুৎ গ্রাহক ও ১ নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ভূবন তনচংগ্যা বলেন, হাসিনা পতনের ছয় সাত মাস হলেও তার নামসহ স্লোগান বিদ্যুৎ বিলে রয়েয়ে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও হাসিনার নাম প্রচারে ব্যস্ত। এটা কোনো অবস্থায় কাম্য নয়। অচিরেই এটি কর্তৃপক্ষের সংশোধন করা উচিত। এখানে যারা আছে তারা তার সমর্থক গোষ্ঠী হতে পারেন। অথবা দায়িত্বহীনতার কারণে প্রচারণা চালিয়েছেন। একজন স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে। কিন্তু পিডিবি এমনটা কেন করছে, যেটি কাম্য নয়। দ্রুত সংশোধন করা উচিত।

মিনহাজ নামে এক গ্রাহক বলেন, সব জায়গায় থেকে হাসিনার নাম সরানো হলেও বিদ্যুৎ বিলের কাগজে এখনও তার নাম আছে। একটা সরকারি অফিস কি ভাবে ভুল করে। এটা দ্রুত সংশোধন করা দরকার। আরেক জন গ্রাহক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার নাম দেখে অবাক হয়েছে। দেশ ছেড়ে পালানোর ছয় মাসে সব স্থান থেকে তার নাম ছবি সরানো হয়েছে। কিন্তু এখনও বিলের কাগজে তার স্লোগান। এটা কেন সরানো হয়নি। আমরা গ্রাহকরা চাই একজন ফ্যাসিবাদী ব্যক্তির নাম কেন থাকবে।

এ বিষয়ে চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা বলেন, ৫ থেকে ৬ মাসের বিলের কাগজ একবার ছাপানো হয়। যেহুত্ব ৫ আগস্টের আগে এসব বিল ছাপানো। আমরা লাল কালি দিয়ে মুছে ফেলে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। অফিসে নতুন কয়েকজন ব্যক্তি জয়েন করছে, তারা ভুল করছে। তবে আগামীতে সংশোধন করে বিলের কাগজ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বাখ//আর