০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোমাঞ্চ জাগিয়েও জয়ের বন্দরে নৌকা ভেড়াতে পারেনি খুলনা, জিতেছে সিলেট

ক্রীড়া ডেস্ক

শেষ ওভারের শেষ পাঁচ বলে খুলনার দরকার ছিলো ১৮ রান আর হাতে ছিলো তিন উইকেট। পরপর দুই বলে দুই চার মারলেও জয়ের বন্দরে নৌকা ভেড়াতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। রোববার (১২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ৭ রানে জয় পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে খুলনার কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭ রানে পরিণত হয় দলটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরপর হাল ধরেন উইলিয়ান বোসিস্টো ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মিরাজ-বোসিস্টো জুটি গড়েছে ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটি। ১২ তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজকে ফিরিয়ে ওয়ানডে ঘরানার এই জুটি ভাঙেন রুয়েল মিয়া। দুই ওভার না যেতেই বোসিস্টো ফিরেছেন রিস টপলির বলে। ওপেনিংয়ে নেমে ৪০ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন বোসিস্টো।

মিরাজ ও বোসিস্টোকে হারিয়ে খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৩ দশমিক ২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৮ রান। ষষ্ঠ উইকেটে এরপর ১৭ বলে ৩২ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। যেখানে ১৫,১৬ এই দুই ওভারে খুলনা নিয়েছে ১৭ ও ১৩ রান। ১৭ তম ওভারের প্রথম বলে নাওয়াজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। এই উইকেট নেওয়ার পর নাওয়াজকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান তানজিম সাকিব। ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন নাওয়াজ।

জিয়াউর রহমানও এরপর যখন রানআউট হয়ে ফেরেন, তখন খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৭ দশমিক ৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান। খুলনার এক-একটা উইকেট পড়তেই সিলেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ওঠে আনন্দের জোয়ার। শেষ ১৫ বলে ৪৫ রানের সমীকরণ মেলাতে খুলনা আপ্রাণ চেষ্টা করে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আবু হায়দার রনি একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকেন। যার মধ্যে ১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে তানজিম সাকিবকে ছক্কা মারেন অঙ্কন। তানজিম সাকিবের সেই বলটি ছিল নো বল।

এক পর্যায়ে যখন ৩ বলে ১০ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় খুলনার সামনে, তখন রুয়েল মিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারেন রনি। ডিপ কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম সাকিব ক্যাচ ধরতেই রুয়েলের বাঁধভাঙা উদযাপন। রনি আউট হওয়ার পরের বলে অঙ্কনও রানআউট হয়ে ফিরলে খুলনার জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে থেমে যায় দলটি। রনি (৬ বলে ১৪ রান), অঙ্কনের (১৬ বলে ২৮ রান) দুই ক্যামিও ইনিংসও কাজে আসেনি। বোসিস্টোর ৪৩ রানই খুলনার ইনিংস সর্বোচ্চ। সিলেটের তানজিম সাকিব, রিস টপলি ও রুয়েল পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মিরাজ। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন জাকির হাসান। ৪ নম্বরে নেমে ৪৬ বলে বিধ্বংসী ইনিংস (৭৫) খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। মেরেছেন ৬ ছক্কা ও ৩ চার। জাকিরই হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। খুলনার আবু হায়দার ও জিয়াউর রহমান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
৯৫ জন দেখেছেন

রোমাঞ্চ জাগিয়েও জয়ের বন্দরে নৌকা ভেড়াতে পারেনি খুলনা, জিতেছে সিলেট

আপডেট : ০৬:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

শেষ ওভারের শেষ পাঁচ বলে খুলনার দরকার ছিলো ১৮ রান আর হাতে ছিলো তিন উইকেট। পরপর দুই বলে দুই চার মারলেও জয়ের বন্দরে নৌকা ভেড়াতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। রোববার (১২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ৭ রানে জয় পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে খুলনার কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭ রানে পরিণত হয় দলটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরপর হাল ধরেন উইলিয়ান বোসিস্টো ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মিরাজ-বোসিস্টো জুটি গড়েছে ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটি। ১২ তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজকে ফিরিয়ে ওয়ানডে ঘরানার এই জুটি ভাঙেন রুয়েল মিয়া। দুই ওভার না যেতেই বোসিস্টো ফিরেছেন রিস টপলির বলে। ওপেনিংয়ে নেমে ৪০ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন বোসিস্টো।

মিরাজ ও বোসিস্টোকে হারিয়ে খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৩ দশমিক ২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৮ রান। ষষ্ঠ উইকেটে এরপর ১৭ বলে ৩২ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। যেখানে ১৫,১৬ এই দুই ওভারে খুলনা নিয়েছে ১৭ ও ১৩ রান। ১৭ তম ওভারের প্রথম বলে নাওয়াজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। এই উইকেট নেওয়ার পর নাওয়াজকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান তানজিম সাকিব। ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন নাওয়াজ।

জিয়াউর রহমানও এরপর যখন রানআউট হয়ে ফেরেন, তখন খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৭ দশমিক ৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান। খুলনার এক-একটা উইকেট পড়তেই সিলেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ওঠে আনন্দের জোয়ার। শেষ ১৫ বলে ৪৫ রানের সমীকরণ মেলাতে খুলনা আপ্রাণ চেষ্টা করে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আবু হায়দার রনি একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকেন। যার মধ্যে ১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে তানজিম সাকিবকে ছক্কা মারেন অঙ্কন। তানজিম সাকিবের সেই বলটি ছিল নো বল।

এক পর্যায়ে যখন ৩ বলে ১০ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় খুলনার সামনে, তখন রুয়েল মিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারেন রনি। ডিপ কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম সাকিব ক্যাচ ধরতেই রুয়েলের বাঁধভাঙা উদযাপন। রনি আউট হওয়ার পরের বলে অঙ্কনও রানআউট হয়ে ফিরলে খুলনার জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে থেমে যায় দলটি। রনি (৬ বলে ১৪ রান), অঙ্কনের (১৬ বলে ২৮ রান) দুই ক্যামিও ইনিংসও কাজে আসেনি। বোসিস্টোর ৪৩ রানই খুলনার ইনিংস সর্বোচ্চ। সিলেটের তানজিম সাকিব, রিস টপলি ও রুয়েল পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মিরাজ। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন জাকির হাসান। ৪ নম্বরে নেমে ৪৬ বলে বিধ্বংসী ইনিংস (৭৫) খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। মেরেছেন ৬ ছক্কা ও ৩ চার। জাকিরই হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। খুলনার আবু হায়দার ও জিয়াউর রহমান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।