০৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় সাংবাদিকের উপর শ্রমিক দল ও কৃষক দল নেতার নেতৃত্বে হামলা

 এ এম, মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশ রুপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সদস্য কেএম বাচ্চু ও তার বয়োবৃদ্ধ পিতা ইউনুচ খলিফাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। কুয়াকাটা  শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ওই সাংবাদিক ও স্থানীয়রা।
আহত সাংবাদিক বাচ্চু ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর পিতা ইউনুচ খলিফা রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এসময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন সে।
পরে ইউনুচ খলিফা এর প্রতিবাদ করলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় আলী খন্দকার। এর কিছুক্ষন পর পিতাকে মারধরের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌছলে পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুডোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা বলেন, আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার উপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৯:৫২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
৯৫ জন দেখেছেন

কুয়াকাটায় সাংবাদিকের উপর শ্রমিক দল ও কৃষক দল নেতার নেতৃত্বে হামলা

আপডেট : ০৯:৫২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশ রুপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সদস্য কেএম বাচ্চু ও তার বয়োবৃদ্ধ পিতা ইউনুচ খলিফাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। কুয়াকাটা  শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ওই সাংবাদিক ও স্থানীয়রা।
আহত সাংবাদিক বাচ্চু ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর পিতা ইউনুচ খলিফা রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এসময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন সে।
পরে ইউনুচ খলিফা এর প্রতিবাদ করলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় আলী খন্দকার। এর কিছুক্ষন পর পিতাকে মারধরের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌছলে পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুডোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা বলেন, আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার উপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
বাখ//আর