বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়কের বহিষ্কার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ওপর হামলা ও চর দখলের অভিযোগ এনে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. মুজাহিদুল ইসলাম (মুজাহিদ) মুন্সীকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জসিম আহমেদ তুহিন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি তুলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তুহিন বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর চর দখল করতে গিয়ে কৃষকদের হামলায় উপজেলা ছাত্রদল নেতাসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তারপরেও মুজাহিদ মুন্সী সন্ত্রাসী কায়দায় আমার ওপর হামলা করেছেন। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন। প্রকাশ্য হামলার ওই ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে । আমার ওপর নেক্কারজনকভাবে হামলার পরেও মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাভোগ করতে হয়েছে। বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা হয়ে এভাবে বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে হামলা করার দায়ে দলীয় হাইকমান্ডের কাছে আমি মুজাহিদ মুন্সীকে উপজেলা ছাত্রদলের আহŸায়কের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মলেনে দাশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। এ বিষয়ে কিছু অবগত নয়। তারপরেও আমাকে মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আতাহার সিকদার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির মুন্সী , দশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মজিবর মৃধা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. সোহেল প্রমূখ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. মুজাহিদুল ইসলাম (মুজাহিদ) বলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ পঞ্চায়েত ও ছাত্রদল নেতা শাহরাজ জয় সহ কয়েকজন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চরে গেলে বিএনপি নেতা তুহিনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ৫জন নেতাকর্মী আহত হন। এ কারণে ছাত্রদলের নেতারা তুহিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তখন আমি তাকে রক্ষা করি, হামলা করিনি।
বাখ//আর