০৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরিতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দলগুলো: আসিফ নজরুল

অনলাইন ডেস্ক

সবার সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র তৈরিতে দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে এই কথা বলেন আসিফ নজরুল। বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণা পত্র প্রণয়ের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, সবাই বলেছেন—এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে। তবে এখানে অনেক সাজেশন আসছে; মোটাদাগে হলো- ঘোষণা পত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে।

‘ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক নেচার বা লিগ্যাল নেচার কি হবে সেটা স্পষ্ট করতে হবে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই ঘোষণাপত্র আরও বেশি আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পক্ষে রাজনৈতিক শক্তি, ছাত্র জনতা—সবার মধ্যে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এটাকে প্রণয়ন করতে হবে। এটার জন্য যত সময় প্রয়োজন সময় নেওয়া যেতে পারে। তবে এটাও বলছে যাতে অযথা কালবিলম্ব না হয় সেই মতামত দিয়েছে। সবাই ঐকমত্য হয়েছে, আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই ধরনের ঘোষণাপত্র হওয়া উচিত। সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হতে সক্ষম হবো।’

সময়সীমা নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের সংগঠনের যারা অংশ নিয়েছে সবাই বলেছেন—ঐকমত্য পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঘোষণা পত্র তৈরি করার জন্য। যত সময় লাগুক তা যেন নেওয়া হয়। তাড়াহুড়ো যেন না করা হয়। অযথা কালক্ষেপণ না করা হয়। এই লক্ষ্য অনেকে প্রস্তাব করছে আলোচনা করার জন্য যাতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমরা এই প্রস্তাবগুলো দ্রুত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।

আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনরকম দূরত্ব হয় নাই। তিনি জানান, ঘোষণাপত্র নিয়ে দরকার হলে একটি কমিটি করা হবে। কমিটি দরকার হলে আবার সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করবে।

এদিকে, সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেয় জামায়েত ইসলামী, খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ, গণ সংহতি আন্দোলন, জেএসডি, ইসলামী আন্দোলন ও হেফাজত ইসলামের প্রতিনিধিরা। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও দলের অবস্থান জানাতে বৈঠকে ছিলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অভ্যুত্থান কেন্দ্র করে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। পরে সরকার জানায়, সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে দেওয়া হবে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
১৩০ জন দেখেছেন

জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরিতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দলগুলো: আসিফ নজরুল

আপডেট : ০৭:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

সবার সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র তৈরিতে দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে এই কথা বলেন আসিফ নজরুল। বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণা পত্র প্রণয়ের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, সবাই বলেছেন—এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে। তবে এখানে অনেক সাজেশন আসছে; মোটাদাগে হলো- ঘোষণা পত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে।

‘ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক নেচার বা লিগ্যাল নেচার কি হবে সেটা স্পষ্ট করতে হবে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই ঘোষণাপত্র আরও বেশি আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পক্ষে রাজনৈতিক শক্তি, ছাত্র জনতা—সবার মধ্যে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এটাকে প্রণয়ন করতে হবে। এটার জন্য যত সময় প্রয়োজন সময় নেওয়া যেতে পারে। তবে এটাও বলছে যাতে অযথা কালবিলম্ব না হয় সেই মতামত দিয়েছে। সবাই ঐকমত্য হয়েছে, আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই ধরনের ঘোষণাপত্র হওয়া উচিত। সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হতে সক্ষম হবো।’

সময়সীমা নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের সংগঠনের যারা অংশ নিয়েছে সবাই বলেছেন—ঐকমত্য পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঘোষণা পত্র তৈরি করার জন্য। যত সময় লাগুক তা যেন নেওয়া হয়। তাড়াহুড়ো যেন না করা হয়। অযথা কালক্ষেপণ না করা হয়। এই লক্ষ্য অনেকে প্রস্তাব করছে আলোচনা করার জন্য যাতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমরা এই প্রস্তাবগুলো দ্রুত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।

আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনরকম দূরত্ব হয় নাই। তিনি জানান, ঘোষণাপত্র নিয়ে দরকার হলে একটি কমিটি করা হবে। কমিটি দরকার হলে আবার সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করবে।

এদিকে, সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেয় জামায়েত ইসলামী, খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ, গণ সংহতি আন্দোলন, জেএসডি, ইসলামী আন্দোলন ও হেফাজত ইসলামের প্রতিনিধিরা। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও দলের অবস্থান জানাতে বৈঠকে ছিলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অভ্যুত্থান কেন্দ্র করে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। পরে সরকার জানায়, সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে দেওয়া হবে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র।