১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিকরগাছায় বসত ঘরে মৌমাছিদের বসবাস

রাফিউল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের ঝিকরগাছায় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মানুষের বসত ঘরে মৌমাছিদের বসবাসের বিরল ও বিস্ময়কর খবর নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে! আলোড়ন সৃষ্টি করা বিস্ময়কর এই ঘটনাটি ঘটে চলেছে ঝিকরগাছা উপজেলা সদর লক্ষ্মীপুর গ্রামে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৬ জানুয়ারি) সরেজমিন এ প্রতিনিধির কথা হয় ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য হিরা মনির সাথে। তিনি জানালেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তার নিজ বসতঘরের সিলিং ফ্যান, বারান্দা, সিঁড়ির ঘর ও বাড়ির প্রধান ফটকের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে মৌমাছিরা প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে আগমন ঘটে ও চাকবেধে থাকে। বছরের তিন মাসের বিরতি দিয়ে মৌমাছি আবার দলে দলে, ঝাকে- ঝাকে এসে মৌচাক তৈরি করতে থাকে।

সময় মত তিনি মধু সংগ্রহ করেন। আর এভাবে বছরের প্রায় নয় মাস পর্যায়ক্রমে  মধু সংগ্রহ ও প্রায় দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। আর এই টাকায় তিনি কলেজ ও মাধ্যমিকে পড়া দুই ছেলের লেখাপড়া সহ বাবা মা ও একজন অসহায় নিকট আত্মীয়র ভরণপোষণ চালিয়ে যান তিনি।

স্বামী পরিত্যক্তহীরা মনি দাবি করেন, খাঁটি মধু হওয়ায় প্রতি কেজি এক হাজার টাকা দরে তার বাড়ি থেকে ক্রেতারা মধু কিনে নিয়ে যান। মৌচাকে হাত বুলিয়ে হিরা মনি দাবি করেন, মৌমাছিদের সাথে তার আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। উৎসুক  আগন্তুকরা কিংবা মধুক্রেতা মৌমাছিদের বিরক্ত না করলে হুল ফুটায় না।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
১১১ জন দেখেছেন

ঝিকরগাছায় বসত ঘরে মৌমাছিদের বসবাস

আপডেট : ০৪:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

যশোরের ঝিকরগাছায় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মানুষের বসত ঘরে মৌমাছিদের বসবাসের বিরল ও বিস্ময়কর খবর নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে! আলোড়ন সৃষ্টি করা বিস্ময়কর এই ঘটনাটি ঘটে চলেছে ঝিকরগাছা উপজেলা সদর লক্ষ্মীপুর গ্রামে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৬ জানুয়ারি) সরেজমিন এ প্রতিনিধির কথা হয় ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য হিরা মনির সাথে। তিনি জানালেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তার নিজ বসতঘরের সিলিং ফ্যান, বারান্দা, সিঁড়ির ঘর ও বাড়ির প্রধান ফটকের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে মৌমাছিরা প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে আগমন ঘটে ও চাকবেধে থাকে। বছরের তিন মাসের বিরতি দিয়ে মৌমাছি আবার দলে দলে, ঝাকে- ঝাকে এসে মৌচাক তৈরি করতে থাকে।

সময় মত তিনি মধু সংগ্রহ করেন। আর এভাবে বছরের প্রায় নয় মাস পর্যায়ক্রমে  মধু সংগ্রহ ও প্রায় দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। আর এই টাকায় তিনি কলেজ ও মাধ্যমিকে পড়া দুই ছেলের লেখাপড়া সহ বাবা মা ও একজন অসহায় নিকট আত্মীয়র ভরণপোষণ চালিয়ে যান তিনি।

স্বামী পরিত্যক্তহীরা মনি দাবি করেন, খাঁটি মধু হওয়ায় প্রতি কেজি এক হাজার টাকা দরে তার বাড়ি থেকে ক্রেতারা মধু কিনে নিয়ে যান। মৌচাকে হাত বুলিয়ে হিরা মনি দাবি করেন, মৌমাছিদের সাথে তার আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। উৎসুক  আগন্তুকরা কিংবা মধুক্রেতা মৌমাছিদের বিরক্ত না করলে হুল ফুটায় না।

বাখ//এস