০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তালার কাঠবুনিয়ায় মৎস্যঘেরে প্রতিপক্ষের হানা, প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কাঠকুনিয়ায় মৃত্য খগেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে দীপঙ্কর মন্ডলের ঘেরে ভেড়ীবাঁধের কাজ করার সময় প্রতিপক্ষ পরিমল মন্ডল বাঁধা দেয়। সে ওই গ্রামের মৃত্য সুরেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে। এঘটনায় দীপঙ্কর মন্ডল বাদী হয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার কাঠবুনিয়া গ্রামের দীপঙ্কর মন্ডল ও পরিমল মন্ডল গ্যাতী শরিক। তারা পৈত্রিক সম্পতি পরস্পর এওয়াজ বদলে দীর্ঘদিন ধরে ঘের তৈরী করে মাছ চাষ করে আসছেন। এবছর দীপঙ্কর মন্ডল গংরা তাদের দখলীয় ঘেরে কাজ করার সময় প্রতিপক্ষ পরিমল মন্ডল গংরা বাঁধা দেয়।
এ সময় কাঠবুনিয়া গ্রামের সমরেশ রায়, পরিতোষ রায়, ব্রজেন্দ্র রায়, যুগল মন্ডল, ভবতোষ মন্ডল, আশুতোষ মন্ডল সহ অনেকেই বলেন, কাঠবুনিয়া গ্রামের দীপঙ্কর মন্ডল গং ও পরিমল মন্ডল গংরা দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এওয়াজ বদলে আলাদা আলাদা পোলাট তৈরী করে মাছ চাষ করে আসছে। এবছর দীপঙ্কর মন্ডল তার দখলীয় ঘেরে ভেড়ী বাঁধের কাজ করার সময় পরিমল মন্ডল গং বাঁধা দেয়।
ঘেরমালিক স্কুল শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, আমাদের এক শরিক বিকাশ মন্ডলের মৃত্যুর পরে তার সকল সম্পত্তি পরিমল মন্ডল জোর পূর্বক আর একজনের নামে ডিট করে দেন। মৃত্য বিকাশ মন্ডলের একমাত্র ছেলে কিশোর মন্ডল তার পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত চাইলে পরিমল মন্ডল অস্বীকার করে। তখন আমরা গ্রামবাসি একহয়ে কিশোর মন্ডলের পক্ষে কথা বলায় পরিমল মন্ডল আমাদের উপর ক্ষেপে যায়।
তিনি বলেন, আমাদের ৩২ টি দাগে ওয়ারেশভূক্ত সম্পত্তি। একটি দাগে ভাগ করতে হলে ৩২ টি দাগের জমি ভাগ করতে হবে। যদি ৩২টি দাগে জমি ভাগ করা হয় তাহলে কেহই ঘের করতে পারবে না। সে অন্য কোনো ঘেরে যাচ্ছে না আমরা কিশোরের পক্ষে কথা বলায় আমাদের ঘের দখলের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছি।
অভিযুক্ত পরিমল মন্ডলের ছেলে উজ্জ্বল মন্ডল বলেন, দীপঙ্কর মন্ডলের দখলীয় ঘেরের মধ্যে আমরা ক্রয়কৃত ৫বিঘা ও অন্যলোকের কাছ থেকে হারি করে নিয়েছি ৩ বিঘা। এতদিন তারা মাছ চাষ করে আসছে। এবছর আমার জায়গায় মাছ চাষ করার জন্য চেষ্টা করছি। তারা বিষয়টি জানতে পেরে জোরপূর্বক ভেড়ী বাঁধ করার চেষ্টা করে। আমরা বাঁধা দিলে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছে। আমিও বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তালা থানায় অভিযোগ করেছি।
বাখ//এস