০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড় জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু বরিশাল-চিটাগংয়ের

স্পোর্টস ডেস্ক

বড় জয়েই চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করলো ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। দিনের প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবাল ও মালানের ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারিয়েছে বরিশাল। অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠে কিংসের জয় ৪৫ রানে।

ঢাকা পর্ব শেষ করে সিলেট ঘুরে বিপিএল বহর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। তবে ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও বিপিএলের টিকিট নিয়ে বিশৃঙ্খলা। খেলা দেখার সুযোগ না পেয়ে, জোর করে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। কারণ দিনের বেলা বরিশালের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল। আর রাতে তো স্বাগতিকরাই মাঠে নেমেছে খুলনার বিপক্ষে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা ক্যাপিটালসের শুরুটা বেশ সাবধানি ছিল। আগের ম্যাচেই ক্যারিয়ার সেরা আগ্রাসী ইনিংস খেলা লিটন দাসের ব্যাটে পরেই ইনিংসেই দেখা মিলল উল্টো চিত্র। ১৭ বলে ১৩ রান করে আউট হন লিটন।

মুনিম শাহরিয়ার ও অধিনায়ক থিসারা পেরেরা কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরেন। বড় সংগ্রহ পাননি কোতজে, সাব্বির রহমানরা। স্রোতের বিপরীতে তানজিদ তামিম একাই লড়াই করে ৪৪ বলে ৬২ রান করেন। তবে অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলের রান বড় হয়নি। শেষদিকে ফারমানুল্লাহ শাফির ১১ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে ১৩৯ রানেই থামে ক্যাপিটালস।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারালেও তামিম ও মালানের ব্যাটিংয়ে কোনো চাপ পড়েনি বরিশালের। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান তারা। ঘরের মাঠে তামিম ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান। অপরদিকে, মালান ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নামে চিটাগং। উসমান খান শুরুতে ফিরলেও কিংসকে পথ হারাতে দেননি পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১২৮ রান। ইমন হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন ক্লার্ক। চলতি বিপিএলে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, যদিও এর পরপরই ইংলিশ সাজঘরে ফিরেছেন ১০১ রান করে।

ক্লার্কের বিদায়ের পর শেষ চার ওভারে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। শামীম হোসেন, হায়দার আলী ফিরেছেন দ্রুতই। শেষ পর্যন্ত ২০০ রানের পুঁজি পেয়েছে কিংসরা। চলমান মৌসুমে এটি তাদের তৃতীয় দুইশ রানের পুঁজি।

বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ওপেনার শিবলিকে হারায় টাইগার্স। দলীয় ৪ রানে খালেদ আহমেদের বলে ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মোহাম্মদ নাঈমও পারেননি ইনিংস বড় করতে। অধিনায়ক মিরাজ ও আফিফ ঝড়ো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।

দারউইশ রাসুল, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মাহিদুল অঙ্কনদের ছোট ছোট ইনিংস গুলো শুরু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত টাইগাররা থামে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১১:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
১২৫ জন দেখেছেন

বড় জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু বরিশাল-চিটাগংয়ের

আপডেট : ১১:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

বড় জয়েই চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করলো ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। দিনের প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবাল ও মালানের ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারিয়েছে বরিশাল। অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠে কিংসের জয় ৪৫ রানে।

ঢাকা পর্ব শেষ করে সিলেট ঘুরে বিপিএল বহর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। তবে ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও বিপিএলের টিকিট নিয়ে বিশৃঙ্খলা। খেলা দেখার সুযোগ না পেয়ে, জোর করে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। কারণ দিনের বেলা বরিশালের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল। আর রাতে তো স্বাগতিকরাই মাঠে নেমেছে খুলনার বিপক্ষে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা ক্যাপিটালসের শুরুটা বেশ সাবধানি ছিল। আগের ম্যাচেই ক্যারিয়ার সেরা আগ্রাসী ইনিংস খেলা লিটন দাসের ব্যাটে পরেই ইনিংসেই দেখা মিলল উল্টো চিত্র। ১৭ বলে ১৩ রান করে আউট হন লিটন।

মুনিম শাহরিয়ার ও অধিনায়ক থিসারা পেরেরা কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরেন। বড় সংগ্রহ পাননি কোতজে, সাব্বির রহমানরা। স্রোতের বিপরীতে তানজিদ তামিম একাই লড়াই করে ৪৪ বলে ৬২ রান করেন। তবে অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলের রান বড় হয়নি। শেষদিকে ফারমানুল্লাহ শাফির ১১ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে ১৩৯ রানেই থামে ক্যাপিটালস।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারালেও তামিম ও মালানের ব্যাটিংয়ে কোনো চাপ পড়েনি বরিশালের। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান তারা। ঘরের মাঠে তামিম ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান। অপরদিকে, মালান ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নামে চিটাগং। উসমান খান শুরুতে ফিরলেও কিংসকে পথ হারাতে দেননি পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১২৮ রান। ইমন হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন ক্লার্ক। চলতি বিপিএলে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, যদিও এর পরপরই ইংলিশ সাজঘরে ফিরেছেন ১০১ রান করে।

ক্লার্কের বিদায়ের পর শেষ চার ওভারে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। শামীম হোসেন, হায়দার আলী ফিরেছেন দ্রুতই। শেষ পর্যন্ত ২০০ রানের পুঁজি পেয়েছে কিংসরা। চলমান মৌসুমে এটি তাদের তৃতীয় দুইশ রানের পুঁজি।

বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ওপেনার শিবলিকে হারায় টাইগার্স। দলীয় ৪ রানে খালেদ আহমেদের বলে ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মোহাম্মদ নাঈমও পারেননি ইনিংস বড় করতে। অধিনায়ক মিরাজ ও আফিফ ঝড়ো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।

দারউইশ রাসুল, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মাহিদুল অঙ্কনদের ছোট ছোট ইনিংস গুলো শুরু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত টাইগাররা থামে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে।