০২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দীর্ঘ ১৫ মাস আগ্রাসনের পর গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও থামছে না ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণার পরও গত রাতে ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গাজা সিটিতে নিহত হয়েছে অন্তত ১২ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার জনের বেশি নিহত হন। আর ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা হয় ২৪১ জনকে। তাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো গাজায় বন্দী রয়েছেন। হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি।

যুদ্ধের এই ১৫ মাসের মধ্যে শুরুর দিকে একবার সাত দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। এরপর থেকে কয়েক দফায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা হয়েছে। তবে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে জোর তৎপরতা শুরু করে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা চলে। অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েল মুক্তি দেবে ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে। চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হলে, ধাপে ধাপে ফিলাডেলফি করিডোর থেকে সরানো হবে ইসরায়েলি সেনাদের। চুক্তির পরবর্তী ধাপে, গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনাদের প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১২:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
১০০ জন দেখেছেন

যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩০

আপডেট : ১২:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

দীর্ঘ ১৫ মাস আগ্রাসনের পর গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও থামছে না ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণার পরও গত রাতে ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গাজা সিটিতে নিহত হয়েছে অন্তত ১২ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার জনের বেশি নিহত হন। আর ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা হয় ২৪১ জনকে। তাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো গাজায় বন্দী রয়েছেন। হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি।

যুদ্ধের এই ১৫ মাসের মধ্যে শুরুর দিকে একবার সাত দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। এরপর থেকে কয়েক দফায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা হয়েছে। তবে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে জোর তৎপরতা শুরু করে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা চলে। অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েল মুক্তি দেবে ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে। চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হলে, ধাপে ধাপে ফিলাডেলফি করিডোর থেকে সরানো হবে ইসরায়েলি সেনাদের। চুক্তির পরবর্তী ধাপে, গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনাদের প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল।