এক বা দেড় মাসের আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন হয়নি : আব্দুল আউয়াল মিন্টু

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন “আমরা ২০০৭ সাল থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য , কিন্তু অনেকের ধারণা এক বা দেড়মাসের আন্দোলনে সরকারের পতন হয়েছে। যারা এটা মনে করেন তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি গত ১৮ বছরে সরকার পতনের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা,সাজানো সহ হয়রানি মূলক ১ লাখ ৬০ হাজার মামলায় আসামী করা হয় বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মী ।
আজ বিকেলে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সকল অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক কর্মী সমাবেশে জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্জ আ: রশীদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান কালে তিনি এ কথা বলেন ।জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশূ সরকার কুট্রির সঞ্চালনায় বিশাল এক কর্মী সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল মাহবুবুল হক ভিপি নান্নু।
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরোও বলেন, প্রথম ধাপের কাজ শেষ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে কিন্তু এটা প্রাথমিক বিজয়, কিন্তু অনেকের ধারণা এক বা দেড়মাসের আন্দোলনে সরকারের পতন হয়েছে। যারা এটা মনে করেন তারা স্বপ্নের রাজ্যে কিংবা বোকার স্বর্গে বাস করছেন, তাদের মনে রাখা উচিত যে লক্ষ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি অন্দোলন করতে ছিল সে আন্দোলনে এখনও আমরা আছি। এবং যতদিন বাংলাদেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্টা না হয় যতদিনে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আমরা নির্বাচিত সরকার না পাই একদিনও আমাদের আন্দোলন থামবে না।
তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আমাদের দলের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের মুক্তির জন্য গনতন্ত্র প্রতিষ্টার জন্য মিথ্যা মামলায় জেল খেটে অসুস্থ হয়ে পরেছেন। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং প্রমানিত বিএনপি একমাত্র দল যারা পারবে বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে, মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা, সাংবিধানিক স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে। এখন অনেকে বলছে আমরা এখন স্বাধীন রাষ্ট্র হয়েছি, স্বাধীনতার অর্থ বুঝতে হবে । বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের মানুষকে বাকশালের হাত থেকে রক্ষা করে বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে লক্ষ ও উদ্দেশ্য নিয়ে এ দেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন সে থেকে আমরা এক পাও সড়বো না।
এ দিকে কর্মী সভা শুরুর আগে বিএনপির দুই পক্ষের স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়, পরে স্টেজে ওঠাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে মরামারিতে ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ইউসুফ, রাসেল, জহির সহ ৪ জনকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এছাড়া রফিক নামে একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য পটুয়াখালীতে জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্জ আ: রশীদ চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নেহাংশূ সরকার কুট্রির সাথে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইসমার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সমর্থক গ্রুপের মধ্যে কমিটি নিয়ে দীর্ঘ্যদিন পর্যন্ত বিরোধ চলে আসছে। আলতাফ হোসেন চৌধুরী গ্রুপের জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাকসুদ আহম্মেদ বায়েজীদ পান্না মিয়ার স্টেজে ওঠা নিয়ে এ বিরোধের সূত্রপাত হলেও কেন্দ্রী নেতৃবৃন্দের হস্ত:ক্ষেপে পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আসে।
বাখ//এস