০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাইকগাছায় বেপরোয়া খড়বোঝাই নছিমনে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

আমন মৌসুম শেষে খুলনার পাইকগাছায় সড়কগুলোতে বেপরোয়া গতিতে খড়বোঝাই নছিমনের চলাচল বেড়েছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনা রোধে নছিমন চালকদের সতর্ক করার পাশাপাশি জনসচেতনতায় কাজ করছে পুলিশ ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।
জানা গেছে, কৃষি প্রধান পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় আমন ধানের আবাদ হয়। মৌসুম শেষে ধানের খড় স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সরবরাহ করা হয়। তবে এসব খড় পরিবহনে নছিমনের ব্যবহার বাড়ায় সড়কে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। খড়বোঝাই নছিমনগুলো দুই পাশ বাড়িয়ে এতটাই ভারী করে লোড দেওয়া হয় যে, চালকদের সামনের পথও স্পষ্ট দেখা যায় না।
কয়রার আমাদী, মহেশ্বরীপুর, বামিয়া এবং পাইকগাছার গড়ইখালী ও চাঁদখালী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার খড় পরিবহন নছিমনের মাধ্যমে করা হয়। এসব নছিমনের বেপরোয়া গতি ও অতিরিক্ত লোডই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
নিসচার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বলেন, নছিমনগুলোতে খড় এমনভাবে লোড করা হয় যে, তা সড়ক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। প্রতিনিয়ত এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।
নিসচা সভাপতি এইচ এম শফিউল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৪ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর জানান, নছিমনের বেপরোয়া গতির কারণে সাধারণ যানবাহন ও পথচারীরাও সড়কে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন।
গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত সোমবার গদাইপুর ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকায় খড়বোঝাই নছিমনের কারণে মুখোমুখি মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুজন প্রাণ হারান।
এ পরিস্থিতিতে সচেতন মহল পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। পাইকগাছা থানার ওসি মো. সবজেল হোসেন জানান, নছিমন চালকদের অতিরিক্ত লোড না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন সড়ক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাখ//এস