০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে বলছে পুলিশ

নরসিংদীতে বেলাবতে নিখোঁজের পর নদীতে মিলল স্কুল ছাত্রের লাশ

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি

অনয় নিখোঁজের পর অজ্ঞাত নাম্বার থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে চাওয়া হয় এক লাখ টাকা মুক্তিপণ। তাদের কথামত মুক্তিপণের এক লাখ টাকাও দেয়া হয় অপহরণকারীদের।

নিখোঁজ কিশোরের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অনয় চন্দ্র মোদক মাটিয়াল পাঁড়া নিজ বাড়ি থেকে শিক্ষা উপকরণ কিনতে বেলাব বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতেই বেলাব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে ১৬ জানুয়ারী সাধারণ ডায়েরিটি মামলায় রপান্তরিত হয়।

এদিকে অনয় নিখোঁজের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিখোঁজ হওয়া নিয়ে লেখালেখির পর অজ্ঞাত নাম্বার থেকে অনয়ের পরিবারের নাম্বারে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়। তাদের কথামত বিকাশের মাধ্যমে দেয়া হয় এক লাখ টাকা মুক্তিপণ। পরে পুলিশ অপহরণকারীদের মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান দেখতে পায় বরিশালের ভোলায়।

এ সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত বেলাব থানা পুলিশের একটি দল অনয়কে উদ্ধারের জন্য বরিশালের ভোলায় অবস্থান করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে রোববার বিকালে নিখোঁজ অনয়ের গ্রামের পাশের গ্রাম বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের দীঘলদিকান্দি এলাকার আড়িয়াল নদে একটি ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি, ডিবির সদস্যরা। অনয়ের পরিবারের দাবি এটি হত্যাকান্ড। তারা অনয় হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

নিখোঁজ অনয়ের চাচাতো ভাই পলাশ মোদক বলেন, অনয় নিখোঁজ হওয়ার পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুঁজি করে তার খোঁজ না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করলে একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে আমাদের ফোন করে জানানো হয় তারা অনয়কে অপহরণ করেছে। তাদের কথামত অনয়কে জীবিত পাওয়ার আশায় কয়েক দফায় বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ টাকাও দিয়েছি। কিন্তু অনয়কে জীবিত পাইনি, পেয়েছি মৃত অবস্থায়। তারা অনয়কে হত্যা করেছে।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নদীতে ভাসমান মরদেহের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিখোঁজের স্বজনরা ধারনা করছেন এটি অনয়ের মরদেহ। মরদেহটি বিকৃত হওয়ায় নিশ্চিত করে পরিচয় বলা যাচ্ছে না। মরদেহের সুরতহাল ও ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে এটি অনয়ের মরদেহ কী না। বরিশালেও পুলিশ গেছে, সেখানে একজনকে আটক করা হয়েছে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৯:১৩:৪১ অপরাহ্ন, রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
১১১ জন দেখেছেন

শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে বলছে পুলিশ

নরসিংদীতে বেলাবতে নিখোঁজের পর নদীতে মিলল স্কুল ছাত্রের লাশ

আপডেট : ০৯:১৩:৪১ অপরাহ্ন, রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

অনয় নিখোঁজের পর অজ্ঞাত নাম্বার থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে চাওয়া হয় এক লাখ টাকা মুক্তিপণ। তাদের কথামত মুক্তিপণের এক লাখ টাকাও দেয়া হয় অপহরণকারীদের।

নিখোঁজ কিশোরের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অনয় চন্দ্র মোদক মাটিয়াল পাঁড়া নিজ বাড়ি থেকে শিক্ষা উপকরণ কিনতে বেলাব বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতেই বেলাব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে ১৬ জানুয়ারী সাধারণ ডায়েরিটি মামলায় রপান্তরিত হয়।

এদিকে অনয় নিখোঁজের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিখোঁজ হওয়া নিয়ে লেখালেখির পর অজ্ঞাত নাম্বার থেকে অনয়ের পরিবারের নাম্বারে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়। তাদের কথামত বিকাশের মাধ্যমে দেয়া হয় এক লাখ টাকা মুক্তিপণ। পরে পুলিশ অপহরণকারীদের মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান দেখতে পায় বরিশালের ভোলায়।

এ সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত বেলাব থানা পুলিশের একটি দল অনয়কে উদ্ধারের জন্য বরিশালের ভোলায় অবস্থান করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে রোববার বিকালে নিখোঁজ অনয়ের গ্রামের পাশের গ্রাম বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের দীঘলদিকান্দি এলাকার আড়িয়াল নদে একটি ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি, ডিবির সদস্যরা। অনয়ের পরিবারের দাবি এটি হত্যাকান্ড। তারা অনয় হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

নিখোঁজ অনয়ের চাচাতো ভাই পলাশ মোদক বলেন, অনয় নিখোঁজ হওয়ার পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুঁজি করে তার খোঁজ না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করলে একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে আমাদের ফোন করে জানানো হয় তারা অনয়কে অপহরণ করেছে। তাদের কথামত অনয়কে জীবিত পাওয়ার আশায় কয়েক দফায় বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ টাকাও দিয়েছি। কিন্তু অনয়কে জীবিত পাইনি, পেয়েছি মৃত অবস্থায়। তারা অনয়কে হত্যা করেছে।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নদীতে ভাসমান মরদেহের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিখোঁজের স্বজনরা ধারনা করছেন এটি অনয়ের মরদেহ। মরদেহটি বিকৃত হওয়ায় নিশ্চিত করে পরিচয় বলা যাচ্ছে না। মরদেহের সুরতহাল ও ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে এটি অনয়ের মরদেহ কী না। বরিশালেও পুলিশ গেছে, সেখানে একজনকে আটক করা হয়েছে।

বাখ//এস