পটুয়াখালীতে জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের ফ্রি চক্ষু শিবির

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেছেন“আমরা ১৬ বছরে বিভিন্ন জন্মদিনে দেখেছি কেকের উন্মুক্ত উল্লাস, চাঁদাবাজীর মাধ্যমে কাঙ্গালী ভোজের মাধমে ,দখলদারির মাধ্যমে হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট ,কিন্তু উন্মুক্ততায় না মেতে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য আজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে যে চক্ষু সেবার ক্যাম্প করেছেন এটাই হওয়া উচিৎ।
পটুয়াখালীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রি চক্ষু শিবির ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় ঝাউতলা শহীদ হৃদয় তরুয়া চত্বরে পটুয়াখালী বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের আয়োজনে এ চক্ষু শিবিরের প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের অবৈতনিক সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম লিটন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি,পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন,জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান, জেলা যুব দলেরর সাবেক সাধারন সম্পাদক বখতিয়ার উদ্দিন মুরাদ,বিএনএসবি চক্ষু হাসপতালের কার্যকরী পরিষদের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম আহাদ দুলু ,এ্যাডভোকেট মো:জাকির হোসেন,এ্যাডভোকেট রুহুল আমীন রেজা, কোষাধ্যক্ষ জিয়াউল হক ফারুক,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান,প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাচ্চু,কার্যকরী সদস্য মশিউর রহমান মিলন,গাজী আশফাকুর বিপ্লব, এস এম রেজভী জামান রানা, রুহুল আমিন শিকদার আক্রাম প্রমুখ। ফ্রি চক্ষু শিবিরে চারশতাধিক দুস্থ,অসহায় গরীব চক্ষু রোগীদের চোখের সেবা সহ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করাসহ ৩৫ জনকে ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
ফ্রি চক্ষু শিবির চিকিৎসা সেবায় চিকিৎসক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন ডা: খালেদ আব্দুল মতিন,ডাঃ আরাফাত, ডাঃ নাফিয়া রহমান ও ডাঃ সোহান মাহমুদ চিকিৎসা শিবিরে সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক হিসেবে ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রানা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ সহপ্রচার সম্পাদক আব্দুর রহিম।
জেলা প্রশাসক বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন আমলের দু:শাসনের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিগত ১৬ বছরে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর মানুষ আজ মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছেন.মানুষ আজ নতুন স্বপ্ন দেখেতে শুরু করেছেন।শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন -সুখী ,সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়তে ১৯ দফার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রসংস্কারে ,শাসন ব্যবস্থা সংস্কারে,মানুষের কল্যানে ,জনসেবায় বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা ঘোষনা করেছেন যার মাধ্যমে ভবিষেৎ এ দেশ,এদেশের মানুষ পরিচালিত হবে।
তিনি আরোও বলেন, ক্ষমতা শব্দটি নির্মম,ক্ষমতা শব্দটির মধ্যেই এক ধরনের স্বৈরতন্ত্র বিরাজ করে,ক্ষমতা নয় জনগনের সেবার দায়িত্ব,দেশের দায়িত্ব এবং এ দায়িত্বের জন্য ইতোমধ্যে বিএনপি যে কর্মসূচী ঘোষনা করে যে জনমত সৃষ্টি করেছে.মানুষ বিএনপির ৩১ দফাকে যে ভাবে গ্রহন করেছে তাতে বাংলাদেশের ভবিষৎ অত্যন্ত উজ্জল।
বাখ//আর