০৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহিপুরে ঘাট ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে মৎস্য দল নেতাসহ‌ আহত-২

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর মহিপুর থানার আলীপুরে বিআইডব্লিউটিএর পল্টুনে ইজারা তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মৎস্য দল নেতা রুহুল আমিন মাঝি (৪৭) গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজারে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি নুরু মিয়াও আহত হয়েছেন। আহত ঘাট ইজারা প্রতিনিধি নুরু মিয়া কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় রয়েছেন। অপরদিকে মহিপুর থানা মৎস্য দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মাঝিকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মুমসাদ সায়েম পুনম উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আলীপুর মৎস্য বন্দরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে ফিশিং ট্রলার থেকে টাকা উত্তোলন করেন নুরু। এসময় রুহুল আমিন মাঝি কিসের টাকা উত্তোলন করে জানতে চাইলে তার সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিছুক্ষণ পরে নুরু ও লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হাওলাদারের নেতৃত্ব রুহুল আমিন মাঝির উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়।

অভিযোগ রয়েছে নুরু ৫ আগস্টের পরে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে অসদাচরণ করার বিস্তার অভিযোগ স্থানীয়দের। আ.লীগের আমলে তাদের গা ঘেঁষে চললেও, পট পরিবর্তনের সাথে সাথে গা ঘেঁষতে শুরু করেন বিএনপি নেতাদের। নিজেকে এখন বড় বিএনপি নেতা দাবী করেন নুরু।

এ বিষয়ে ঘাট ইজারা প্রতিনিধি নুরু বলেন, আমি ঘাট ইজারাদার তামিম মুন্সির হয়ে এখানে টাকা উত্তোলন করি। সকালে টাকা উত্তোলনে রুহুল আমিন মাঝি বাঁধা দেয় এবং আমাকে মারধর করেন। আমার মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তুলাতলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় রয়েছি।

এ বিষয়ে ঘাট ইজারাদার তামিম মুন্সী বলেন, আমি পটুয়াখালী থেকে আলীপুর ঘাটটি ইজারা নিয়েছি। নুরু নামে একজনকে দিয়ে এখানে কালেকশন করা হয়। নিয়মানুসারেই টাকা উত্তোলন করা হয়। আজকের মারামারির বিষয়টি আমার জানা নেই।

লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদার বলেন, ঘাটে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আপাতত ঘাটের সব রকম কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটের ইজারা প্রতিনিধি নুরু আমাদের দলের কেউ না।

এবিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৮:৩৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
৭৫ জন দেখেছেন

মহিপুরে ঘাট ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে মৎস্য দল নেতাসহ‌ আহত-২

আপডেট : ০৮:৩৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালীর মহিপুর থানার আলীপুরে বিআইডব্লিউটিএর পল্টুনে ইজারা তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মৎস্য দল নেতা রুহুল আমিন মাঝি (৪৭) গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজারে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি নুরু মিয়াও আহত হয়েছেন। আহত ঘাট ইজারা প্রতিনিধি নুরু মিয়া কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় রয়েছেন। অপরদিকে মহিপুর থানা মৎস্য দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মাঝিকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মুমসাদ সায়েম পুনম উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আলীপুর মৎস্য বন্দরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে ফিশিং ট্রলার থেকে টাকা উত্তোলন করেন নুরু। এসময় রুহুল আমিন মাঝি কিসের টাকা উত্তোলন করে জানতে চাইলে তার সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিছুক্ষণ পরে নুরু ও লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হাওলাদারের নেতৃত্ব রুহুল আমিন মাঝির উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়।

অভিযোগ রয়েছে নুরু ৫ আগস্টের পরে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে অসদাচরণ করার বিস্তার অভিযোগ স্থানীয়দের। আ.লীগের আমলে তাদের গা ঘেঁষে চললেও, পট পরিবর্তনের সাথে সাথে গা ঘেঁষতে শুরু করেন বিএনপি নেতাদের। নিজেকে এখন বড় বিএনপি নেতা দাবী করেন নুরু।

এ বিষয়ে ঘাট ইজারা প্রতিনিধি নুরু বলেন, আমি ঘাট ইজারাদার তামিম মুন্সির হয়ে এখানে টাকা উত্তোলন করি। সকালে টাকা উত্তোলনে রুহুল আমিন মাঝি বাঁধা দেয় এবং আমাকে মারধর করেন। আমার মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তুলাতলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় রয়েছি।

এ বিষয়ে ঘাট ইজারাদার তামিম মুন্সী বলেন, আমি পটুয়াখালী থেকে আলীপুর ঘাটটি ইজারা নিয়েছি। নুরু নামে একজনকে দিয়ে এখানে কালেকশন করা হয়। নিয়মানুসারেই টাকা উত্তোলন করা হয়। আজকের মারামারির বিষয়টি আমার জানা নেই।

লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদার বলেন, ঘাটে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আপাতত ঘাটের সব রকম কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটের ইজারা প্রতিনিধি নুরু আমাদের দলের কেউ না।

এবিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাখ//এস