০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাড়াশে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়লো পবিত্র কোরআন শরীফ

চলনবিল প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গভীর রাতে কওমীয়া মাদ্রাসায় ঢুকে পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রসায়।

বোয়ালিয়া কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রসার শিক্ষক মাও. বদিউজ্জামন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ছাত্রদের পড়া শোনা শেষ করে মাদ্রাসা বন্ধ করে চলে যাই। সোমবার ভোরে মাদ্রাসা খুলে দেখা যায় একটি কক্ষের টেবিলে রাখা পবিত্র কোনআন শরীফ গুলো দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে ফেলেছে। অবশ্য পাশে রাখা অন্যান্য টেবিলের পবিত্র কোনআন শরীফ গুলো অক্ষত রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ জনতা দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবীতে মাদ্রাসা মাঠে জমায়েত হয় এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি প্রশাসনকে অবহিত করেন।

পরে মঙ্গলবার সকালে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শরিফুল ইসলাম, তাড়াশ থানার ওসি আসলাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি স.ম. আফসার আলী, উপজেলা জামায়েতের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করেছি। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০২:২৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
৮৯ জন দেখেছেন

তাড়াশে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়লো পবিত্র কোরআন শরীফ

আপডেট : ০২:২৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গভীর রাতে কওমীয়া মাদ্রাসায় ঢুকে পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রসায়।

বোয়ালিয়া কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রসার শিক্ষক মাও. বদিউজ্জামন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ছাত্রদের পড়া শোনা শেষ করে মাদ্রাসা বন্ধ করে চলে যাই। সোমবার ভোরে মাদ্রাসা খুলে দেখা যায় একটি কক্ষের টেবিলে রাখা পবিত্র কোনআন শরীফ গুলো দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে ফেলেছে। অবশ্য পাশে রাখা অন্যান্য টেবিলের পবিত্র কোনআন শরীফ গুলো অক্ষত রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ জনতা দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবীতে মাদ্রাসা মাঠে জমায়েত হয় এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি প্রশাসনকে অবহিত করেন।

পরে মঙ্গলবার সকালে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শরিফুল ইসলাম, তাড়াশ থানার ওসি আসলাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি স.ম. আফসার আলী, উপজেলা জামায়েতের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করেছি। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাখ//আর