০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহার: আইন উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক

আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আমরা ২৫ জেলায় আড়াই হাজার গায়েবি বা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা চিহ্নিত করেছি, যা আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল বলেন, দেশের ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বা গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, গায়েবি মামলা চিহ্নিত করতে আমরা চারটি ভাগে ভাগ করেছি। মামলাগুলো পুলিশ করেছি কিনা সেটা আমলে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এসব মামলার বেশিরভাগের প্রবণতা ছিল- বিস্ফোরক আইনে মামলা, অস্ত্র আইনে মামলা, পুলিশের ওপর হামলার মামলা। তৃতীয় প্রবণতা হলো- এসব মামলায় অনেক আসামি থাকে অর্থাৎ অজ্ঞাতনামা আসামি থাকে। সবশেষ যে প্রবণতাকে আমলে নেওয়া হয়েছে, বিরোধী দলীদের কোনো বড় সমাবেশের আগে-পরে এবং গত তিন ভুয়া নির্বাচনের আগে-পরে করা মামলা। এসব প্রবণতাকে আমলে নিয়ে আমরা ২৫০০ মামলা চিহ্নিত করেছি। আশা করছি ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহার হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ৩৩২টি স্পিচ অফেন্স বিচারাধীন মামলা আছে। ১১৩টি মামলা প্রত্যাহার হয়েছে ইতোমধ্যে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্পিচ অফেন্সের সব মামলা বাতিল করা হবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রত্যাহার বা সংশোধনের কাজ করছে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এটা নিয়ে আরও কাজ করছে তারা। এরপর সিদ্ধান্ত হবে।

উচ্চ আদালতে এর আগে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে বিচারক নিয়োগ হবে দক্ষতার ভিত্তিতে এবং দল নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে। বিচারক নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫ গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগের এবং পরের গায়েবি মামলার মধ্যে অনেক তফাত রয়েছে। আগের মামলাগুলো করেছে তৎকালীন সরকার আর পরের মামলাগুলো করেছে সাধারণ মানুষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে, এই মামলাগুলো হলে প্রমাণ পাওয়ার আগে কাউকে যেন গ্রেপ্তার না করে।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
৮১ জন দেখেছেন

ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহার: আইন উপদেষ্টা

আপডেট : ০৬:০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আমরা ২৫ জেলায় আড়াই হাজার গায়েবি বা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা চিহ্নিত করেছি, যা আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল বলেন, দেশের ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বা গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, গায়েবি মামলা চিহ্নিত করতে আমরা চারটি ভাগে ভাগ করেছি। মামলাগুলো পুলিশ করেছি কিনা সেটা আমলে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এসব মামলার বেশিরভাগের প্রবণতা ছিল- বিস্ফোরক আইনে মামলা, অস্ত্র আইনে মামলা, পুলিশের ওপর হামলার মামলা। তৃতীয় প্রবণতা হলো- এসব মামলায় অনেক আসামি থাকে অর্থাৎ অজ্ঞাতনামা আসামি থাকে। সবশেষ যে প্রবণতাকে আমলে নেওয়া হয়েছে, বিরোধী দলীদের কোনো বড় সমাবেশের আগে-পরে এবং গত তিন ভুয়া নির্বাচনের আগে-পরে করা মামলা। এসব প্রবণতাকে আমলে নিয়ে আমরা ২৫০০ মামলা চিহ্নিত করেছি। আশা করছি ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহার হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ৩৩২টি স্পিচ অফেন্স বিচারাধীন মামলা আছে। ১১৩টি মামলা প্রত্যাহার হয়েছে ইতোমধ্যে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্পিচ অফেন্সের সব মামলা বাতিল করা হবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রত্যাহার বা সংশোধনের কাজ করছে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এটা নিয়ে আরও কাজ করছে তারা। এরপর সিদ্ধান্ত হবে।

উচ্চ আদালতে এর আগে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে বিচারক নিয়োগ হবে দক্ষতার ভিত্তিতে এবং দল নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে। বিচারক নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫ গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগের এবং পরের গায়েবি মামলার মধ্যে অনেক তফাত রয়েছে। আগের মামলাগুলো করেছে তৎকালীন সরকার আর পরের মামলাগুলো করেছে সাধারণ মানুষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে, এই মামলাগুলো হলে প্রমাণ পাওয়ার আগে কাউকে যেন গ্রেপ্তার না করে।