০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ করল সরকার

অনলাইন ডেস্ক

নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য ট্রাকে কম দামে বিক্রির বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম আপাতত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সেখানে কৃষিপণ্য কম মূল্যে বিক্রির বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই কার্যক্রমের সুবিধাভোগী ছিল প্রায় ৮ লাখ মানুষ।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওএমএস এর বিষয়টা আপনারা জানেন আমরা খুব ইমারজেন্সি বেসিসে করেছিলাম। ওটার জন্য স্পেশাল টাকাও দেওয়া হয়েছে। ওটা সাকসেসফুলি ইমপ্লিমেন্ট করা গেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং নারায়গঞ্জে প্রায় ৮ লাখের বেশি লোক ওএমএসের কাভারেজ পেয়েছে। আপাতত ডিসেম্বরে এটা আমরা স্থগিত করলাম। কারণ বাজার মোটামুটি স্থিতিশীলতায় এসেছে। আর ভবিষ্যতে যদি আবার ইমারজেন্সি হয় তখন দেখা যাবে।

মানুষ এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করা হলো। আপনাদের বিকল্প কোনো পরিকল্পনা আছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপাতত এটা নিয়ে পরিকল্পনা নেই। আমরা দেখি, যদি অব্যাহতভাবে চলে তখন হয়তো অল্টারনেটিভ আমরা আবার শুরু করতে পারি।

তিনি বলেন, কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে দেওয়া সাধারণ ওএমএস কার্যক্রম চলবে।

এ সময় অর্থ উপদেষ্টা চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে আছে। সম্প্রতি যেসব সেবা ও পণ্যের ভ্যাট ও কর বাড়ানো হয়েছে তা আগামী বাজেটে সমন্বয় করা হবে। তবে সার্বিকভাবে ভ্যাট বৃদ্ধিতে বাজারে প্রভাব পরেনি বলে আবারও দাবি করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।

বৈঠকে ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সারের মজুদ যদি সরকারের না থাকে, তখন বেসরকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। সার কেনার বিষয়ে আমরা আজকে অনুমোদন দিয়েছি। আর পল্লি বিদ্যুতের কিছু বিষয় ছিল, আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিশেষ ওএমএস চালু করেছিল সরকার। ৮ লাখের বেশি মানুষ এই কার্যক্রমের সরাসরি সুবিধাভোগী ছিলেন। বিশেষ ওএমএসের কৃষি পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি আলু, ১৩০ টাকায় এক ডজন ডিম, ৭০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ, এক পিস লাউ ৫০ টাকা।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:৫৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
৬৪ জন দেখেছেন

বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ করল সরকার

আপডেট : ০৫:৫৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য ট্রাকে কম দামে বিক্রির বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম আপাতত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সেখানে কৃষিপণ্য কম মূল্যে বিক্রির বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই কার্যক্রমের সুবিধাভোগী ছিল প্রায় ৮ লাখ মানুষ।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওএমএস এর বিষয়টা আপনারা জানেন আমরা খুব ইমারজেন্সি বেসিসে করেছিলাম। ওটার জন্য স্পেশাল টাকাও দেওয়া হয়েছে। ওটা সাকসেসফুলি ইমপ্লিমেন্ট করা গেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং নারায়গঞ্জে প্রায় ৮ লাখের বেশি লোক ওএমএসের কাভারেজ পেয়েছে। আপাতত ডিসেম্বরে এটা আমরা স্থগিত করলাম। কারণ বাজার মোটামুটি স্থিতিশীলতায় এসেছে। আর ভবিষ্যতে যদি আবার ইমারজেন্সি হয় তখন দেখা যাবে।

মানুষ এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করা হলো। আপনাদের বিকল্প কোনো পরিকল্পনা আছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপাতত এটা নিয়ে পরিকল্পনা নেই। আমরা দেখি, যদি অব্যাহতভাবে চলে তখন হয়তো অল্টারনেটিভ আমরা আবার শুরু করতে পারি।

তিনি বলেন, কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে দেওয়া সাধারণ ওএমএস কার্যক্রম চলবে।

এ সময় অর্থ উপদেষ্টা চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে আছে। সম্প্রতি যেসব সেবা ও পণ্যের ভ্যাট ও কর বাড়ানো হয়েছে তা আগামী বাজেটে সমন্বয় করা হবে। তবে সার্বিকভাবে ভ্যাট বৃদ্ধিতে বাজারে প্রভাব পরেনি বলে আবারও দাবি করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।

বৈঠকে ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সারের মজুদ যদি সরকারের না থাকে, তখন বেসরকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। সার কেনার বিষয়ে আমরা আজকে অনুমোদন দিয়েছি। আর পল্লি বিদ্যুতের কিছু বিষয় ছিল, আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিশেষ ওএমএস চালু করেছিল সরকার। ৮ লাখের বেশি মানুষ এই কার্যক্রমের সরাসরি সুবিধাভোগী ছিলেন। বিশেষ ওএমএসের কৃষি পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি আলু, ১৩০ টাকায় এক ডজন ডিম, ৭০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ, এক পিস লাউ ৫০ টাকা।