০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের কোড নাম কী ছিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের একটি করে ‘কোড নেম’ দেওয়া হয়। রাজ পরিবারের সদস্যদের যেমন নিজস্ব নাম রয়েছে তেমনি মার্কিন প্রেসিডেন্টদেরও নিজস্ব নাম দেওয়ার এই প্রথা চলছে কয়েক দশক ধরে।

সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোড নেম দেয় তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থা সিক্রেট সার্ভিস। সংস্থাটি গত ৮০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছে। এক সসয় এসব কোড নামের বিশেষ গুরুত্ব থাকলেও এখন তা শুধুই আলংকারিক অর্থে ব্যবহার করা হয়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিরর জানিয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোড নেম দেওয়া হয়েছে ‘মোগল’। এর আগে প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময়েও ট্রাম্পের নাম ছিল মোগল। আর ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের কোড নেম রাখা হয়েছে ‘মিউস’।

জো বাইডেন
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কোড নাম ছিল ‘সেলটিক’। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে তিনি যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন থেকেই তাঁর কোড নেম ব্যবহার করা হয় সেলটিক হিসেবে। তিনি আইরিশ বংশোদ্ভূত হওয়ার এই নাম দিয়েছিল সিক্রেট সার্ভিস। এ ছাড়া বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের কোড নেম ছিল ‘পাইওনিয়ার’।

বারাক ওবামা
আট বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। তখন তাঁর কোড নাম ছিল ‘রেনেগেড’। কী কারণে এই নাম বেছে নেওয়া হয়েছিল, তা অবশ্যই কখনোই প্রকাশ করেনি সিক্রেট সার্ভিস। ওই সময়ে ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার নাম ছিল ‘রেনেসাঁ’। তাদের দুই কন্যা মালিয়া ও সাশার নাম ছিল ‘রেডিয়েন্স’ ও ‘রোজবাড’।

জর্জ ডব্লিউ বুশ
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। তাঁর কোড নাম ছিল ‘টিম্বারউলফ’। কেন তিনি এই নাম বেছে নিয়েছিলেন তা কখনোই জানা যায়নি।

বিল ক্লিনটন
আমেরিকায় শিকারী পাখি হিসেবে ‘ঈগল’ বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া স্কাউটের শীর্ষ পদমর্যাদার নামও ঈগল। এই নামকেই নিজের কোড নাম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ওই সময়ে ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের নাম ছিল ‘এভারগ্রিন’। আর তাদের মেয়ের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘এনার্জি’।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১২:৩০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
৭৪ জন দেখেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের কোড নাম কী ছিল

আপডেট : ১২:৩০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের একটি করে ‘কোড নেম’ দেওয়া হয়। রাজ পরিবারের সদস্যদের যেমন নিজস্ব নাম রয়েছে তেমনি মার্কিন প্রেসিডেন্টদেরও নিজস্ব নাম দেওয়ার এই প্রথা চলছে কয়েক দশক ধরে।

সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোড নেম দেয় তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থা সিক্রেট সার্ভিস। সংস্থাটি গত ৮০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছে। এক সসয় এসব কোড নামের বিশেষ গুরুত্ব থাকলেও এখন তা শুধুই আলংকারিক অর্থে ব্যবহার করা হয়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিরর জানিয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোড নেম দেওয়া হয়েছে ‘মোগল’। এর আগে প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময়েও ট্রাম্পের নাম ছিল মোগল। আর ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের কোড নেম রাখা হয়েছে ‘মিউস’।

জো বাইডেন
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কোড নাম ছিল ‘সেলটিক’। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে তিনি যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন থেকেই তাঁর কোড নেম ব্যবহার করা হয় সেলটিক হিসেবে। তিনি আইরিশ বংশোদ্ভূত হওয়ার এই নাম দিয়েছিল সিক্রেট সার্ভিস। এ ছাড়া বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের কোড নেম ছিল ‘পাইওনিয়ার’।

বারাক ওবামা
আট বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। তখন তাঁর কোড নাম ছিল ‘রেনেগেড’। কী কারণে এই নাম বেছে নেওয়া হয়েছিল, তা অবশ্যই কখনোই প্রকাশ করেনি সিক্রেট সার্ভিস। ওই সময়ে ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার নাম ছিল ‘রেনেসাঁ’। তাদের দুই কন্যা মালিয়া ও সাশার নাম ছিল ‘রেডিয়েন্স’ ও ‘রোজবাড’।

জর্জ ডব্লিউ বুশ
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। তাঁর কোড নাম ছিল ‘টিম্বারউলফ’। কেন তিনি এই নাম বেছে নিয়েছিলেন তা কখনোই জানা যায়নি।

বিল ক্লিনটন
আমেরিকায় শিকারী পাখি হিসেবে ‘ঈগল’ বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া স্কাউটের শীর্ষ পদমর্যাদার নামও ঈগল। এই নামকেই নিজের কোড নাম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ওই সময়ে ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের নাম ছিল ‘এভারগ্রিন’। আর তাদের মেয়ের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘এনার্জি’।