তৃতীয় দিনেও মহাসড়ক অবরোধ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে সিরাজগঞ্জর শাহজাদপুরে স্বার্থ রক্ষা কমিটি ও সচেতন নাগরিক ফোরামের উদ্দ্যোগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল,মানববন্ধন ও স্বারকলিপি পেশ করা হয়েছে। এ ছাড়া এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বগুড়া- নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। উত্তাল গোটা শাহজাদপুর।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ শাহজাদপুরে স্বার্থ রক্ষা কমিটি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানের দাবিতে পৌর এলাকার প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে মনিরামপুর বাজার হয়ে উপজেলা কোর্ট প্রাঙ্গন পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যাবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে।
প্রায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসুচি পালন কালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক বিশাল সমাবেশ করে বক্তব্য রাখেন স্বার্থ রক্ষা কমিটির আহবায়ক এ্যাডঃ আনোয়ার হোসেন,সদস্য সচিব আমির হোসেন সবুজ,সাংবাদিক কবীর আজমল বিপুল,প্রধান শিক্ষক কামরুন্নার লাকী, এ্যাডঃ রায়হান উদ্দিন, শিক্ষক চন্দন বসাক, শহিদুল ইসলাম শাহীন, মঈন উদ্দিন, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি ওস্তাদ বায়েজিদ হোসেন, এ এ শহীদুল্লাহ বাবলু।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের নিকট স্বারকলিপি পেশ করেন। অপরদিকে এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আবিলম্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় সচেতর নাগরিক সমাজে উদ্দ্যোগে বগুড়া- নগরবাড়ি মহাসড়কের বিসিক বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন করে বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগরিক ফোরামের আহবায়ক মির্জা হুমায়ুন, উপদেষ্টা মওলানা আবু জাফর, সহাকারী অধ্যাপক আলমাছ আনছারী। এদিন দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলেজের ক্লাস না করে বগুড়া- নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শত শত শিক্ষার্থীবৃন্দ। ফলে সড়কের উভয়পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়ে জনসাধারন।
এদিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদার জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌত্তিক। আট বছর ধরে কোন কাজ হয় নাই। তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে সহমত ব্যক্ত করে বলেন, সংশোধিত আকারে ডিপিপি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সভায় আর্থিক বরাদ্দ অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই আমরা সকলের সহযোগীতায় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে শাহজাদপুরে তিনদিন ধরে চলছে আন্দোলন । ফলে উত্তাল গোটা শাহজাদপুর।
বাখ//আর