০৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত মাগুরার কৃষক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দুই লক্ষ টন

নওয়াব আলী, মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা জেলার মাঠে মাঠে এখন বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক। কার্তিক-অগ্রহায়ণের হেমন্তের ধান ঘরে তোলার ১ মাস পর পরই কৃষক তার জমি সেচ দিয়ে  পরবর্তী চাষের জন্য প্রস্তুতি নেয়। সদর উপজেলার মঘির মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সেখানের প্রতিটি ফসলের মাঠে কৃষক এখন বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমিতে ধানের চারা তুলছে ,আবার কেউ জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত।

মঘী ইউনিয়নের কৃষক আলম মোল্যা বলেন, আমি এবার ১ একর ৩৬ শতক জমিতে বোরো আবাদ করেছি। আমার জমির অধিকাংশই ধানী জমি। ৩ ফসলি জমিতে বছরে ২ বার ধান রোপন করে প্রায় ৬০-৭০ মণ ধান পায়। এবার আগেই জমি প্রস্তুত করে সেচ দিয়ে চারা রোপন করেছি। অগ্রায়ন পৌষে বোরো ধানের চারা করতে হয়। ৩ মাস পর বৈশাখ মাসে এ ধান উঠে।

অন্যান্য ধানের তুলনায় এ ধানের ফলন খুবই বেশি। চারা গাছ রোপনের ২ মাস পর গাছ বড় হলে জমিতে সার ও সেচ  দিতে হবে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নামিজউদ্দিন বলেন, আমি এবার ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাণ করেছি। জমি প্রস্তুত করে পানি দিয়ে চলছে ধান রোপনের কাছ। এবার শীতের শুরুতে তীব্র কুয়াশা থাকার কারণে ধানের বীজতলা অনেক নষ্ট হয়েছে তাই বিপাকে ছিলাম ধানের চারা নিয়ে।

এখন আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে বীজের কোন ক্ষতি হয়নি। তাই ধানের বাম্পার ফলনের আশাবাদী আমি। সদরের ছয় চার গ্রামের শকিুল ইসলাম বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। ধান রোপনের কাজ শেষ। প্রতি বছর আমি আশানুরুপ ফলন পাই বোরো ধান থেকে। এবারও ভালো ফলনের আশা। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডক্টর ইয়াসিন আলী বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে বোরো ধান ভালো হবে।

ইতিমধ্যে জেলার কৃষকরা এ ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার জেলায় মোট ৩৯ হাজার ৯৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবার জেলায় ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন হবে বলে আশারাখি। চলতি বছর সদরে ১৬ হাজার ৮৬১ হেক্টর, শালিখায় ১৩ হাজার ৫৭০ হেক্টর,শ্রীপুরে ১ হাজ্রা ৬০৫ হেক্টর ও মহম্মদপুরে ৭ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ; করা হয়েছে। এবার চাষীরা ব্রি ধান-৯২,৯৮,১শ’ চিনা-২৫ ও সিনজেনটা-১২০২ জাতের ধান বেশি রোপন করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে এবার জেলার ৮ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০১:১২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
১০৬ জন দেখেছেন

বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত মাগুরার কৃষক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দুই লক্ষ টন

আপডেট : ০১:১২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

মাগুরা জেলার মাঠে মাঠে এখন বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক। কার্তিক-অগ্রহায়ণের হেমন্তের ধান ঘরে তোলার ১ মাস পর পরই কৃষক তার জমি সেচ দিয়ে  পরবর্তী চাষের জন্য প্রস্তুতি নেয়। সদর উপজেলার মঘির মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সেখানের প্রতিটি ফসলের মাঠে কৃষক এখন বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমিতে ধানের চারা তুলছে ,আবার কেউ জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত।

মঘী ইউনিয়নের কৃষক আলম মোল্যা বলেন, আমি এবার ১ একর ৩৬ শতক জমিতে বোরো আবাদ করেছি। আমার জমির অধিকাংশই ধানী জমি। ৩ ফসলি জমিতে বছরে ২ বার ধান রোপন করে প্রায় ৬০-৭০ মণ ধান পায়। এবার আগেই জমি প্রস্তুত করে সেচ দিয়ে চারা রোপন করেছি। অগ্রায়ন পৌষে বোরো ধানের চারা করতে হয়। ৩ মাস পর বৈশাখ মাসে এ ধান উঠে।

অন্যান্য ধানের তুলনায় এ ধানের ফলন খুবই বেশি। চারা গাছ রোপনের ২ মাস পর গাছ বড় হলে জমিতে সার ও সেচ  দিতে হবে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নামিজউদ্দিন বলেন, আমি এবার ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাণ করেছি। জমি প্রস্তুত করে পানি দিয়ে চলছে ধান রোপনের কাছ। এবার শীতের শুরুতে তীব্র কুয়াশা থাকার কারণে ধানের বীজতলা অনেক নষ্ট হয়েছে তাই বিপাকে ছিলাম ধানের চারা নিয়ে।

এখন আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে বীজের কোন ক্ষতি হয়নি। তাই ধানের বাম্পার ফলনের আশাবাদী আমি। সদরের ছয় চার গ্রামের শকিুল ইসলাম বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। ধান রোপনের কাজ শেষ। প্রতি বছর আমি আশানুরুপ ফলন পাই বোরো ধান থেকে। এবারও ভালো ফলনের আশা। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডক্টর ইয়াসিন আলী বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে বোরো ধান ভালো হবে।

ইতিমধ্যে জেলার কৃষকরা এ ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার জেলায় মোট ৩৯ হাজার ৯৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবার জেলায় ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন হবে বলে আশারাখি। চলতি বছর সদরে ১৬ হাজার ৮৬১ হেক্টর, শালিখায় ১৩ হাজার ৫৭০ হেক্টর,শ্রীপুরে ১ হাজ্রা ৬০৫ হেক্টর ও মহম্মদপুরে ৭ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ; করা হয়েছে। এবার চাষীরা ব্রি ধান-৯২,৯৮,১শ’ চিনা-২৫ ও সিনজেনটা-১২০২ জাতের ধান বেশি রোপন করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে এবার জেলার ৮ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।

বাখ//এস