কালকিনিতে স্কুল শিক্ষককে মুক্তির দাবি শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের

শুধু মাত্র বংশের মানুষ দলাদলি করে এই অযুহাতে হয়রানী করতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকায় হত্যা মামলায় বাঁশগাড়ী বাটামারা ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহাবুব আলম মুকুল বেপারীকে জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর ঐ স্কুল শিক্ষককে মামলা থেকে অব্যাহতি এবং হাজতবাস থেকে মুক্তির দাবি করেছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, বাঁশগাড়ি এলাকার আউলিয়ার চর গ্রামের মরহুম কাঞ্চন বেপারীর ছেলে মাহাবুব আলম মুকুল বেপারী শিক্ষকতা করেন এবং এলাকায় তিনি ভদ্রলোক হিসেবে সম্মানীয় মানুষ। তার স্ত্রী হোসনেয়ারা ঐ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইটর হিসেবে কর্মরত। নিজে করেন শিক্ষকতা আর স্ত্রী দেয় গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা। স্বামী স্ত্রী চাকুরি জীবী হওয়ায় তারা গ্রামের মানুষের কাছে ভাল মানুষ হিসেবেই গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি এবং কোন প্রকার দলাদলি বা ঝামেলায় জড়াননা। কিন্তু তার বংশ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান হয় চাচাতো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান সুমন।
আর শুধুমাত্র বংশের মানুষ গ্রাম্য দলাদলিতে যুক্ত থাকায় তাকেও ৩টি হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়। গত বছরের ২৭ডিসেম্বর কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার মধ্যেচর(খুনের চর) গ্রামে যে ইউপি সদস্য আক্তার সিকদার তার ছেলে মারুফ সিকদার ও সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে হত্যা করা হয় সেই মামলায় এই স্কুল শিক্ষক মাহাবুব আলম মুকুল বেপারীকে জড়িয়ে হয়রানী করতে আসামী করা হয়। তার স্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিক কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইটর হোসনে আরা বলেন ‘ ঘটনার দিন শুক্রবার হওয়ায় আমরা চাকুরীজীবী স্বামী স্ত্রী আর আমাদের ২ছেলেকে নিয়ে আমার পিতার বাড়ি শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়ার ঢাকেরহাটি গ্রামে শীতকালিন বেড়াতে যাই। কিন্তু বাড়িতে না থাকা স্বত্তেও আমার স্বামী স্কুল শিক্ষক মাহাবুব আলম মুকুল বেপারীকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
বাঁশগাড়ী বাটামারা ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিহির কুমার কিত্তনিয়া, মহিবুর রহমান, কাওছার হোসেন,তাবারক হোসেন, মৌসুমী হাবিব, জাকির হোসেন, সাহিদা বেগম, মাহমুদুর রহমান,মোস্তফা কামাল, আলী হোসেন ও আজাদ মিয়া বলেন ‘ আমাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহাবুব আলম মুকুল বেপারী অত্যান্ত ভদ্র ও ভালো মানুষ তাকে হয়রানী করতে মামলায় জড়ানো হয়েছে। স্কুলের স্বাথে আমরা তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি এবং জেল থেকে মুক্তি দাবী করি একই সাথে তাকে মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
স্কুলের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম, নাইম ইসলাম, মারুফুর রহমান, আফরোজা, শাহীন, নাহিদ হাসান, আতিকুর রহমান, আরাবিয়া, আনোয়ার, আখি, আক্তার, হাসান মাহমুদ, রুবেল, হাবিবা, হুমায়ুন, লিটন, জোনায়েত,খোকন সহ ৫০/৬০জন ছাত্র/ছাত্রী বলেন ‘ আমাদের স্যারের মামলা থেকে মুক্তি চাই। স্যারের মুক্তি চাই। আমাদের স্যারকে ফিরিয়ে দিন। আমাদের শিক্ষা চলমান রাখেন।
বাখ//আর