তিতাসে প্রবাসীর দোকান দখলের অভিযোগ : থানায় সাধারণ ডায়েরি

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় লন্ডন প্রবাসী মো.আমিনুল ইসলাম ইয়াছিন ভূইয়ার ক্রয়কৃত দোকান দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো.মনিরুল হক তপন ভূইয়ার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ৫ আগস্টে ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তপন ভূইয়া এলাকায় এসে স্থানীয় উজিরাকান্দি ভূইয়ার বাজারস্থ ইয়াছিন ভূইয়ার ৫ টি দোকানের ভাড়াটিয়াদের উঠিয়ে দিয়ে দখলে নিয়ে নেয় তপন ভূইয়া।
লন্ডন প্রবাসী আমিনুল ইসলাম ইয়াছিন ভূইয়া বলেন, আমরা যাচাই বাছাই করে বৈধ পন্থায় মৃত নাজমুল হক ভূইয়ার মেয়ে ইসরাত জাহান ফারিয়ার কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেছি। এবং আমাদের নামে নামজারি খারিজও রয়েছে। এখন তপন ভুইয়া বিএনপি’র ক্ষমতা দেখিয়ে আদালতের মিথ্যা রায়ের কথা বলে দোকানদারদের হুমকি-ধামকি দিয়ে দোকান থেকে ভাড়াটিয়াদের উঠিয়ে দিয়ে আমার ৫ টি দোকান দখলে নিয়ে অন্যত্র ভাড়া দিয়ে দিয়েছে। এঘটনায় আমি তিতাস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুল হক তপন ভূইয়া বলেন, জায়গার মালিক আমরা চার ভাই ও চার বোন এবং আমার মা। নুসরাত জাহান ফারিয়া আমার ভাতিজি,সে আমাদেরকে না জানিয়ে এবং বাটোয়ারা বন্টন না করে ওর পছন্দ মতো আমাদের সম্মূখ ভাগের জায়গা বিক্রি করে দিয়েছে, পরবর্তীতে আমি জানতে পেয়ে আদালতে প্রিয়েমশন মামলা করি এবং রায় পেয়েই আমরা আমাদের পৈতৃক জায়গা দখল করেছি।
তিনি আরও বলেন, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম ইয়াছিন ভূইয়া, আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তাদের নামে খারিজ করে নিয়েছে, সেই খারিজটি বাতিল করে দিয়েছে ভূমি অফিস। বিক্রেতা ইসরাত জাহান ফারিয়া বলেন,আমার বাবার মৃত্যুর পর আমার বাবা ও আমার চার ফুপুর নাম বাদ দিয়ে মিথ্যা ওয়ারিশ সনদ বানিয়ে আমার দাদার সব সম্পত্তি আমার তিন চাচার নামে খারিজ করে নেয়। এখন আমার বাবার নামে যে সম্পত্তি পেয়েছি সেই সম্পদ আমি বিক্রি করেছি। এখন আমার তপন চাচ্চু ৫ই আগষ্টের পর বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে আমার বিক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং আমাদের পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। আমি এর সুষ্ঠ সমাধান চাই।
দোকানি নজরুল ইসলাম বলেন, আগে ইয়াছিন ভূইয়াকে ভাড়া দিতাম,এখন ৫ আগস্টের পর তপন ভূইয়াকে ভাড়া দেই।
এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.ওসমান গনি ভূইয়া ও সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়া বলেন, তপন ভূইয়া আগে তিতাস উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন, বর্তমানে তিনি আমাদের দলের কেউ না,এবং ৫/৭বছর ধরে দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে তিনি সম্প্রিক্ত নেই। আমরা মনে করি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যেই তিনি দলের নাম ব্যবহার করছে, তবে জায়গা দখলের বিষয়টি সম্পূর্ণই তার ব্যক্তিগত বিষয় এর দায় বিএনপি নিবেনা।
বাখ//আর