০২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেলকুচিতে ব্রোকলি চাষে সফল চাষী খাইরুল

আব্দুর রাজ্জাক বাবু, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সবজির নাম ব্রোকলি, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ধুরগাগরাখালি গ্রামে চাষ হচ্ছে উন্নত জাতের এ ব্রোকলি। আর এই ব্রোকলি সবজি চাষে সফল কৃষক খাইরুল ইসলাম।
বেলকুচি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে এবং কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে, তিনি চলতি মৌসুমে নিজের প্রায় ৩৫ শতক জমিতে ব্রোকলি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার আশা করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, ফলন ভালো ও চাষে কম খরচ হওয়ার কারণে ভাল লাভ পাবেন বলে তিনি জানান।
ইতি মধ্যে তার এই চাষে সাফল্য দেখে অনেকেই আগ্রহী প্রকাশ করছেন ব্রোকলি চাষে। কৃষক খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩৫ শতক জমিতে ব্রোকলির চাষে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই ব্রোকলি চাষে কোন প্রকারের কীটনাশক বা বালাইনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। ব্রোকলি চাষে পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। আর চারা রোপনের আগে  ভালো ফলনের জন্য প্রথমে ভার্মিক কম্পোজ সার জমিতে প্রয়োগ করতে হয়েছে। এতে বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রায় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০হাজার টাকার ব্রোকলি বিক্রি করার আশা রয়েছে।
তিনি বলেন, ফুলকপির মতো দেখতে গাঢ় সবুজ রংয়ের শীতকালীন এই সবজীটি বেলকুচি উপজেলায় আমি প্রথম চাষ করেছি। উপজেলার কোথাও ব্রোকলি সবজী চাষ না থাকলেও, অনেক কৃষক ও ভোক্তাদের কাছে অপরিচিত সবজীটি, এখন এটি এখানে ধীরে ধীরে সবার মাঝে পরিচিত সবজি হয়ে উঠেছে। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে জেনে ভালো লাগছে। তাছাড়া এই উন্নত জাতের সবজি  ভালো ফলন হয়েছ, বাজারে অধিক মূল্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন কৃষক খাইরুল।
বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের তেয়াশিয়া ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  কামরুল হাসান বলেন, ব্রোকলি এই উপজেলায় নতুন ফসল,বেলকুচি কৃষি অফিসের প্রদর্শনী মাধ্যমে কৃষক খাইরুলকে ব্রোকলি চাষে পরামর্শ দিলে তিনি এই সবজী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে ৩৫ শতক জমিতে ব্রোকলি চাষ করেছেন, এবং সার্বক্ষণিক আমাদের পরামর্শে সল্প খরচে  খুব ভাল ফলন হয়েছে, বিক্রি করলে খরচ বাদে প্রায় ৬০থেকে ৭০হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুকান্ত ধর জানান, খাইরুল ইসলামের সফলতা দেখে উৎসাহিত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্রোকলি চাষাবাদ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকরা। বেলকুচিতে  এই প্রথম তিনি (কৃষক খাইরুল ইসলাম) ব্রোকলি চাষ করে পেলেন ব্যাপক সাফল্য। বিশেষ করে ব্রোকলিতে ভিটামিন সি, ক্যানসার প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, বয়স ঠেকায় ও ত্বক সুন্দর করে। এছাড়া ব্রোকলি কেনার সময় সতেজ, শক্ত কুঁড়ি ও গাঢ় সবুজ দেখে কিনতে হবে। ব্রোকলির শুধু কুঁড়ি অংশটি খেতে পারেন। আবার চাইলে নরম ডাঁটা অংশটুকু রাখতে পারেন। ডাঁটাতেও পুষ্টি আছে। ব্রোকলি রান্নার পাশাপাশি সালাদ ও মাংসের সঙ্গে রোস্ট করে খাওয়া যায়।
বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১১:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
১৩১ জন দেখেছেন

বেলকুচিতে ব্রোকলি চাষে সফল চাষী খাইরুল

আপডেট : ১১:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
সবজির নাম ব্রোকলি, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ধুরগাগরাখালি গ্রামে চাষ হচ্ছে উন্নত জাতের এ ব্রোকলি। আর এই ব্রোকলি সবজি চাষে সফল কৃষক খাইরুল ইসলাম।
বেলকুচি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে এবং কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে, তিনি চলতি মৌসুমে নিজের প্রায় ৩৫ শতক জমিতে ব্রোকলি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার আশা করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, ফলন ভালো ও চাষে কম খরচ হওয়ার কারণে ভাল লাভ পাবেন বলে তিনি জানান।
ইতি মধ্যে তার এই চাষে সাফল্য দেখে অনেকেই আগ্রহী প্রকাশ করছেন ব্রোকলি চাষে। কৃষক খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩৫ শতক জমিতে ব্রোকলির চাষে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই ব্রোকলি চাষে কোন প্রকারের কীটনাশক বা বালাইনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। ব্রোকলি চাষে পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। আর চারা রোপনের আগে  ভালো ফলনের জন্য প্রথমে ভার্মিক কম্পোজ সার জমিতে প্রয়োগ করতে হয়েছে। এতে বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রায় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০হাজার টাকার ব্রোকলি বিক্রি করার আশা রয়েছে।
তিনি বলেন, ফুলকপির মতো দেখতে গাঢ় সবুজ রংয়ের শীতকালীন এই সবজীটি বেলকুচি উপজেলায় আমি প্রথম চাষ করেছি। উপজেলার কোথাও ব্রোকলি সবজী চাষ না থাকলেও, অনেক কৃষক ও ভোক্তাদের কাছে অপরিচিত সবজীটি, এখন এটি এখানে ধীরে ধীরে সবার মাঝে পরিচিত সবজি হয়ে উঠেছে। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে জেনে ভালো লাগছে। তাছাড়া এই উন্নত জাতের সবজি  ভালো ফলন হয়েছ, বাজারে অধিক মূল্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন কৃষক খাইরুল।
বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের তেয়াশিয়া ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  কামরুল হাসান বলেন, ব্রোকলি এই উপজেলায় নতুন ফসল,বেলকুচি কৃষি অফিসের প্রদর্শনী মাধ্যমে কৃষক খাইরুলকে ব্রোকলি চাষে পরামর্শ দিলে তিনি এই সবজী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে ৩৫ শতক জমিতে ব্রোকলি চাষ করেছেন, এবং সার্বক্ষণিক আমাদের পরামর্শে সল্প খরচে  খুব ভাল ফলন হয়েছে, বিক্রি করলে খরচ বাদে প্রায় ৬০থেকে ৭০হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুকান্ত ধর জানান, খাইরুল ইসলামের সফলতা দেখে উৎসাহিত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্রোকলি চাষাবাদ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকরা। বেলকুচিতে  এই প্রথম তিনি (কৃষক খাইরুল ইসলাম) ব্রোকলি চাষ করে পেলেন ব্যাপক সাফল্য। বিশেষ করে ব্রোকলিতে ভিটামিন সি, ক্যানসার প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, বয়স ঠেকায় ও ত্বক সুন্দর করে। এছাড়া ব্রোকলি কেনার সময় সতেজ, শক্ত কুঁড়ি ও গাঢ় সবুজ দেখে কিনতে হবে। ব্রোকলির শুধু কুঁড়ি অংশটি খেতে পারেন। আবার চাইলে নরম ডাঁটা অংশটুকু রাখতে পারেন। ডাঁটাতেও পুষ্টি আছে। ব্রোকলি রান্নার পাশাপাশি সালাদ ও মাংসের সঙ্গে রোস্ট করে খাওয়া যায়।
বাখ//এস