০৮:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাসে নার্সের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

আফ্রিকার দেশে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ডায়ানা অ্যাটওয়াইন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, বুধবার কাম্পালার একটি হাসপাতালে মারা যান ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। মারা যাওয়া নার্স কেনিয়ার সীমান্তবর্তী কাম্পালা থেকে ২৪০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এমবালেতে অবস্থিত একটি সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য যান।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রোগীর নানা অঙ্গ কাজ করছিল ন। মুলাগো ন্যাশনাল রেফারেল হাসপাতালে এই অসুস্থতার কারণে মারা যান তিনি। তাঁর ময়নাতদন্তের নমুনায় সুদান ইবোলা ভাইরাস নিশ্চিত করা হয়েছে।

২০২৩ সালের পর উগান্ডায় ইবোলায় এটিই প্রথম মৃত্যু।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ কমপক্ষে ৪৪ জন নার্সের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হচ্ছে, অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসের সম্ভাব্য বিস্তার রোধ করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মৃতদের সংস্পর্শে আসা সকল ব্যক্তির জন্য অবিলম্বে একটি টিকাদান অভিযান শুরু করা হবে।

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে উগান্ডাবাসীদের সন্দেহভাজন কিছু মনে হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছে।

গত সপ্তাহে প্রতিবেশী তানজানিয়ায় ইবোলার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করা হয়। উগান্ডার সীমান্তবর্তী রুয়ান্ডা সবেমাত্র মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বেরিয়ে এসেছে।

ইবোলা একটি অত্যন্ত সংক্রামক জ্বর। সংক্রামিত শরীরের তরল এবং টিস্যুর সংস্পর্শের মাধ্যমে সংক্রামিত হতে পারেন যে কেউ। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, বমি, পেশী ব্যথা এবং রক্তপাত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উগান্ডার কর্তৃপক্ষ ইবোলার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, যোগাযোগের সন্ধান এবং অন্যান্য কৌশল ব্যবহার করেছে।

উগান্ডা সর্বশেষ ২০২২ সালের শেষের দিকে একটি প্রাদুর্ভাবের শিকার হয়েছিল, যেখানে সংক্রামিত ১৪৩ জনের মধ্যে ৫৫ জন মারা গিয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে ২০০০ সাল থেকে এই ভাইরাসজনিত রোগের নয়টি প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৩:৩০:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
৯৪ জন দেখেছেন

উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাসে নার্সের মৃত্যু

আপডেট : ০৩:৩০:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

আফ্রিকার দেশে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ডায়ানা অ্যাটওয়াইন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, বুধবার কাম্পালার একটি হাসপাতালে মারা যান ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। মারা যাওয়া নার্স কেনিয়ার সীমান্তবর্তী কাম্পালা থেকে ২৪০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এমবালেতে অবস্থিত একটি সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য যান।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রোগীর নানা অঙ্গ কাজ করছিল ন। মুলাগো ন্যাশনাল রেফারেল হাসপাতালে এই অসুস্থতার কারণে মারা যান তিনি। তাঁর ময়নাতদন্তের নমুনায় সুদান ইবোলা ভাইরাস নিশ্চিত করা হয়েছে।

২০২৩ সালের পর উগান্ডায় ইবোলায় এটিই প্রথম মৃত্যু।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ কমপক্ষে ৪৪ জন নার্সের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হচ্ছে, অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসের সম্ভাব্য বিস্তার রোধ করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মৃতদের সংস্পর্শে আসা সকল ব্যক্তির জন্য অবিলম্বে একটি টিকাদান অভিযান শুরু করা হবে।

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে উগান্ডাবাসীদের সন্দেহভাজন কিছু মনে হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছে।

গত সপ্তাহে প্রতিবেশী তানজানিয়ায় ইবোলার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করা হয়। উগান্ডার সীমান্তবর্তী রুয়ান্ডা সবেমাত্র মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বেরিয়ে এসেছে।

ইবোলা একটি অত্যন্ত সংক্রামক জ্বর। সংক্রামিত শরীরের তরল এবং টিস্যুর সংস্পর্শের মাধ্যমে সংক্রামিত হতে পারেন যে কেউ। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, বমি, পেশী ব্যথা এবং রক্তপাত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উগান্ডার কর্তৃপক্ষ ইবোলার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, যোগাযোগের সন্ধান এবং অন্যান্য কৌশল ব্যবহার করেছে।

উগান্ডা সর্বশেষ ২০২২ সালের শেষের দিকে একটি প্রাদুর্ভাবের শিকার হয়েছিল, যেখানে সংক্রামিত ১৪৩ জনের মধ্যে ৫৫ জন মারা গিয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে ২০০০ সাল থেকে এই ভাইরাসজনিত রোগের নয়টি প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।