১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাউফলে অস্ত্রের মুখে ব্যবসায়ীকে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিন ডাকাত গ্রেপ্তার, অপহরণে ব্যবহৃত ট্রলার জব্দ

বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্টপট্টি এলাকার অপহৃত ব্যবসায়ী শিবানন্দ রায় বণিক ওরফে শিবু বণিককে (৭৬) অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিন ডাকাতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।

তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাজেদুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আজ শুক্রবার ঢাকার গেন্ডারিয়া, গাজীপুরের জয়দেবপুর ও বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্যক্তির মধ্যে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী হলেন বাউফল উপজেলার বড়ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম সরদারের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (২২)। অন্য দুইজন হলেন উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বশার ব্যাপারীর ছেলে মো. কাওছার হোসেন (২৩) ও মতলেব হাওলাদারের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন (২৫)।

এর আগে ৩ জানুয়ারি, শুক্রবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্টপট্টি এলাকায় শিবু বণিকের দোকানের দুই কর্মচারীকে বেঁধে ৯ সদস্যের একটি ডাকাতদল দোকানের পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লুট ও এই ব্যবসায়ীকে ট্রলারে করে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে নির্জন এলাকায় নিয়ে একটি ঘরে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুঠোফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

শিবু বণিক ওই বন্দরের একজন বড় ব্যবসায়ী। তিনি কয়েকটি কোম্পানির পণ্যের পরিবেশক। এ ছাড়া চাল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা তিনি।

অপহরণের দুইদিন পর ৫ জানুয়ারি, রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার কচুয়া গ্রাম থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পরিদর্শক আতিকুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। পাশাপাশি ওই সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁদের গ্রেপ্তারের সময় পাঁচটি দেশি অস্ত্র, সাতটি মুঠোফোন, দুই জোড়া জুতা, অপহরণে ব্যবহৃত ‘মানকি’ টুপি ও লুটের দেড় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

তাঁরা সবাই জেলা কারাগারে আছেন। তাঁরা হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিগোনা গ্রামের মাসুদ শরীফ (২৪), বাউফলের বড় ডালিমা গ্রামের মো. মিরাজ মৃধা (২০), মো. জহির প্যাদা (২৭), বিধান চন্দ্র মিস্ত্রি (২২) ও ভোলার দক্ষিণ আইচার চর পাচুকিয়া গ্রামের এক কিশোর।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন,‘এ নিয়ে প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ নয় ডাকাত দলের আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুব শিগগির বাকি অন্যজনকেও গ্রেপ্তার করা হবে।’

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
২০১ জন দেখেছেন

বাউফলে অস্ত্রের মুখে ব্যবসায়ীকে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিন ডাকাত গ্রেপ্তার, অপহরণে ব্যবহৃত ট্রলার জব্দ

আপডেট : ০৭:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্টপট্টি এলাকার অপহৃত ব্যবসায়ী শিবানন্দ রায় বণিক ওরফে শিবু বণিককে (৭৬) অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিন ডাকাতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।

তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাজেদুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আজ শুক্রবার ঢাকার গেন্ডারিয়া, গাজীপুরের জয়দেবপুর ও বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্যক্তির মধ্যে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী হলেন বাউফল উপজেলার বড়ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম সরদারের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (২২)। অন্য দুইজন হলেন উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বশার ব্যাপারীর ছেলে মো. কাওছার হোসেন (২৩) ও মতলেব হাওলাদারের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন (২৫)।

এর আগে ৩ জানুয়ারি, শুক্রবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্টপট্টি এলাকায় শিবু বণিকের দোকানের দুই কর্মচারীকে বেঁধে ৯ সদস্যের একটি ডাকাতদল দোকানের পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লুট ও এই ব্যবসায়ীকে ট্রলারে করে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে নির্জন এলাকায় নিয়ে একটি ঘরে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুঠোফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

শিবু বণিক ওই বন্দরের একজন বড় ব্যবসায়ী। তিনি কয়েকটি কোম্পানির পণ্যের পরিবেশক। এ ছাড়া চাল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা তিনি।

অপহরণের দুইদিন পর ৫ জানুয়ারি, রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার কচুয়া গ্রাম থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পরিদর্শক আতিকুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। পাশাপাশি ওই সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁদের গ্রেপ্তারের সময় পাঁচটি দেশি অস্ত্র, সাতটি মুঠোফোন, দুই জোড়া জুতা, অপহরণে ব্যবহৃত ‘মানকি’ টুপি ও লুটের দেড় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

তাঁরা সবাই জেলা কারাগারে আছেন। তাঁরা হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিগোনা গ্রামের মাসুদ শরীফ (২৪), বাউফলের বড় ডালিমা গ্রামের মো. মিরাজ মৃধা (২০), মো. জহির প্যাদা (২৭), বিধান চন্দ্র মিস্ত্রি (২২) ও ভোলার দক্ষিণ আইচার চর পাচুকিয়া গ্রামের এক কিশোর।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন,‘এ নিয়ে প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ নয় ডাকাত দলের আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুব শিগগির বাকি অন্যজনকেও গ্রেপ্তার করা হবে।’

বাখ//এস