০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উল্লাপাড়ায় মসজিদে মসজিদে ডাকাত আতষ্কের মাইকিং, নির্ঘুম রাত কাটালো এলাকাবাসী

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

শনিবার সন্ধ্যা রাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে হঠাৎ ডাকাত আতষ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সংবাদ প্রচার হওয়ার পর থেকেই উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের (কয়ড়া, উল্লাপাড়া, দুর্গানগর, মোহনপুর, বড়পাঙ্গাসী, উধুনিয়া, বাঙ্গালা, পূর্ণিমাগাঁতী) ইউনিয়ন সহ প্রায় দশটি ইউনিয়নের লোকজন ডাকাত আতষ্কে নির্ঘুম রাত কাটায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে এ আতষ্ক। আতষ্ক দুর করতে পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করে মডেল থানার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় পুলিশ। সারারাত চলে পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ অভিযান।

উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল মালেক এ ব্যাপারে জানান, শনিবার বাদ এশার পর গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয় এলাকায় ডাকাত দল প্রবেশ করেছে, আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন। এ ঘোষণায় এলাকায় আতষ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

উধুনিয়া ইউপি সদস্য আলামিন হোসেন বলেন, রাত ৯ টার দিকে গ্রামের মসজিদের মাইকে আশেপাশে ডাকাত দল ঢুকেছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারা বসায়।

সদর ইউনিয়নের ভদ্রকোল জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন শহীদ উদ্দিন জানান, শনিবার দিবাগত রাতে তার বাড়ীর আঙ্গিনার গোয়াল ঘর থেকে দুটি গরু আনুমানিক আড়াই লাখ টাকা দামের চুরি হয়ে গেছে। সর্তক থেকেও সম্ভব হয়নি চুরি ঠেকানো। বর্তমানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি বেড়েই চলেছে।

পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের গয়হাট্টা গ্রামের কামাল হোসেন জানান, শনিবার রাতে দহপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের গোয়াল ঘর থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার একটি গরু চুরি হয়ে গেছে। ফরিদপুর গয়হাট্টার হাজী মোকছেদ আলীর ছেলে মনি জানান, শুক্রবার সকালে বোরকা পরিহিত ভিক্ষুক ভিক্ষা নিয়ে চলে যাবার পর থেকে বাড়ীর সকল সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ আতষ্ক ছড়িয়ে পড়ে সারা এলাকায়। তারা ধারনা করছে, ঔ ভিক্ষুক খাবার পানিতে অচেতন ঔষধ মিশিয়ে দেওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোত্তা রাসেদ আহমেদ জানান, শনিবার বিকেলে প্রশাসন থেকে গ্রাম পুলিশকে এলাকার চুরি, চিনতাই ও ডাকাতি রোধে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, কিছু উৎসুক জনতা এ ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। এ খবর পেয়ে আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অধিকসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছি।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মুহাম্মদ হাসনাত জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবুও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:২০:১২ অপরাহ্ন, রোববার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৯৯ জন দেখেছেন

উল্লাপাড়ায় মসজিদে মসজিদে ডাকাত আতষ্কের মাইকিং, নির্ঘুম রাত কাটালো এলাকাবাসী

আপডেট : ০৪:২০:১২ অপরাহ্ন, রোববার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শনিবার সন্ধ্যা রাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে হঠাৎ ডাকাত আতষ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সংবাদ প্রচার হওয়ার পর থেকেই উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের (কয়ড়া, উল্লাপাড়া, দুর্গানগর, মোহনপুর, বড়পাঙ্গাসী, উধুনিয়া, বাঙ্গালা, পূর্ণিমাগাঁতী) ইউনিয়ন সহ প্রায় দশটি ইউনিয়নের লোকজন ডাকাত আতষ্কে নির্ঘুম রাত কাটায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে এ আতষ্ক। আতষ্ক দুর করতে পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করে মডেল থানার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় পুলিশ। সারারাত চলে পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ অভিযান।

উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল মালেক এ ব্যাপারে জানান, শনিবার বাদ এশার পর গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয় এলাকায় ডাকাত দল প্রবেশ করেছে, আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন। এ ঘোষণায় এলাকায় আতষ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

উধুনিয়া ইউপি সদস্য আলামিন হোসেন বলেন, রাত ৯ টার দিকে গ্রামের মসজিদের মাইকে আশেপাশে ডাকাত দল ঢুকেছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারা বসায়।

সদর ইউনিয়নের ভদ্রকোল জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন শহীদ উদ্দিন জানান, শনিবার দিবাগত রাতে তার বাড়ীর আঙ্গিনার গোয়াল ঘর থেকে দুটি গরু আনুমানিক আড়াই লাখ টাকা দামের চুরি হয়ে গেছে। সর্তক থেকেও সম্ভব হয়নি চুরি ঠেকানো। বর্তমানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি বেড়েই চলেছে।

পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের গয়হাট্টা গ্রামের কামাল হোসেন জানান, শনিবার রাতে দহপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের গোয়াল ঘর থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার একটি গরু চুরি হয়ে গেছে। ফরিদপুর গয়হাট্টার হাজী মোকছেদ আলীর ছেলে মনি জানান, শুক্রবার সকালে বোরকা পরিহিত ভিক্ষুক ভিক্ষা নিয়ে চলে যাবার পর থেকে বাড়ীর সকল সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ আতষ্ক ছড়িয়ে পড়ে সারা এলাকায়। তারা ধারনা করছে, ঔ ভিক্ষুক খাবার পানিতে অচেতন ঔষধ মিশিয়ে দেওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোত্তা রাসেদ আহমেদ জানান, শনিবার বিকেলে প্রশাসন থেকে গ্রাম পুলিশকে এলাকার চুরি, চিনতাই ও ডাকাতি রোধে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, কিছু উৎসুক জনতা এ ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। এ খবর পেয়ে আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অধিকসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছি।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মুহাম্মদ হাসনাত জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবুও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাখ//আর