১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাড়াশে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দই মেলা

আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিনব্যাপী চলছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দই মেলা। এ বছর মেলায় বাহারি আকার ও নানা স্বাদের দইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ঈদগাহ মাঠে এই দইয়ের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও নাটোর থেকে ঘোষেরা দই এনে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই মেলা আগামীতে আরও প্রসারিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা দই প্রেমীদের।

দইয়ের পরিবেশক আনন্দ ঘোষ বলেন, ২০ মণ দই নিয়ে এসেছি। দইয়ের চাহিদা থাকায় বিকেলের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তবে দুধের দাম, জ্বালানি, শ্রমিক খরচ ও দই পাত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দাম বেড়েছে।

দই কিনতে আসা কার্তিক দাস বলেন, সরস্বতী পূজার দিন শ্রী পঞ্চমী তিথিতে দই মেলার শুরু হয়। প্রতিবছর দই মেলায় আত্মীয়-স্বজনদের জন্য দই কিনে থাকি। পূজা উপলক্ষে বাড়িতে অনেক অতিথি এসেছে। তাদের আপ্যায়নে দই কিনলাম। প্রতিবছর মেলা থেকে দই কিনি।

তাড়াশ পৌর বিএনপির আহবায়ক ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কুমার গোস্বামী জানান, জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম পঞ্চমী তিথিতে দই মেলার প্রচলন করেছিলেন। তিনি দই ও মিষ্টান্ন খুব পছন্দ করতেন।

এছাড়া, জমিদার বাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে এ অঞ্চলে ঘোষদের তৈরি দই পরিবেশন করা হতো। সেই থেকে জমিদার বাড়ির সামনে রশিক লাল রায় মন্দিরের পাশের মাঠে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দিনব্যাপী দই মেলার আয়োজন শুরু হয়। ঐতিহ্য মেনে দই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগে মেলায় মানুষের ভিড় বেশি থাকায় ঢোকাই যেত না। ঐতিহ্যবাহী দই মেলা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১১:৪৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৮৬ জন দেখেছেন

তাড়াশে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দই মেলা

আপডেট : ১১:৪৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিনব্যাপী চলছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দই মেলা। এ বছর মেলায় বাহারি আকার ও নানা স্বাদের দইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ঈদগাহ মাঠে এই দইয়ের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও নাটোর থেকে ঘোষেরা দই এনে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই মেলা আগামীতে আরও প্রসারিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা দই প্রেমীদের।

দইয়ের পরিবেশক আনন্দ ঘোষ বলেন, ২০ মণ দই নিয়ে এসেছি। দইয়ের চাহিদা থাকায় বিকেলের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তবে দুধের দাম, জ্বালানি, শ্রমিক খরচ ও দই পাত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দাম বেড়েছে।

দই কিনতে আসা কার্তিক দাস বলেন, সরস্বতী পূজার দিন শ্রী পঞ্চমী তিথিতে দই মেলার শুরু হয়। প্রতিবছর দই মেলায় আত্মীয়-স্বজনদের জন্য দই কিনে থাকি। পূজা উপলক্ষে বাড়িতে অনেক অতিথি এসেছে। তাদের আপ্যায়নে দই কিনলাম। প্রতিবছর মেলা থেকে দই কিনি।

তাড়াশ পৌর বিএনপির আহবায়ক ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কুমার গোস্বামী জানান, জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম পঞ্চমী তিথিতে দই মেলার প্রচলন করেছিলেন। তিনি দই ও মিষ্টান্ন খুব পছন্দ করতেন।

এছাড়া, জমিদার বাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে এ অঞ্চলে ঘোষদের তৈরি দই পরিবেশন করা হতো। সেই থেকে জমিদার বাড়ির সামনে রশিক লাল রায় মন্দিরের পাশের মাঠে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দিনব্যাপী দই মেলার আয়োজন শুরু হয়। ঐতিহ্য মেনে দই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগে মেলায় মানুষের ভিড় বেশি থাকায় ঢোকাই যেত না। ঐতিহ্যবাহী দই মেলা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাখ//এস