০৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কয়রায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও ঠিকাদারের লোকজনদেরকে মারপিটের অভিযোগ

কয়রা (খুলন) প্রতিনিধি

খুলনার কয়রায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও মারটিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রতিকার চেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতানামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমিন এন্ড কোং লিঃ এর ম্যানেজার রামপাল থানার গৌরম্ভা গ্রামের আব্দুল হাই মোল্লার ছেলে মোঃ রাসেল মোল্লা বাদী হয়ে এই অভিযোগ করেন। এতে কয়রা উপজেলার ২নং কয়রা গ্রামের সবুর সানার পুত্র এসকে গালিবকে ১নং আসামী করা হয়েছে।

অভিযোগে অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন কয়রা সদরের নুসরাত ঐশি, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া গ্রামের উজ্জল বাইন, মিনারা খাতুন, মতিয়ার সরদার, রবিন্দ্রনাথ বাইন, সাবিত্রী, ফাতেমা ও বেদকাশী (দিঘিরপাড়ের) এলাকার মনিরুল ইসলাম। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ,কয়রা থানাধীন উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মান কাজটি পায় আমিন এন্ড কোং লিঃ।

কাজটি ২ বছর যাবত চলমান রয়েছে। এমতবস্থায় গত ২ ফেব্রয়ারী সন্ধায় উল্লেখিত ১ ও ২ নং বিবাদী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্ময়ক পরিচয় দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ নির্মান কাজে বাধা সৃষ্টি করে তারা। প্রতিবাদ করলে তারা ঠিকাদারের অধিনস্থ বিপুল শেখ, হৃদয় মোল্লা,শাওন শেখ ও বায়জিদ মোল্লাকে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে জখম করে।

এসময় বাদির কাছে থাকা ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। তখন তাদের হাক চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের কবল হতে ঠিকাদারেন অধিনন্থ লোকজনকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তারা কোম্পানির ড্রাইভার বিপুলকে জোর পূর্বক আটক করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এমনকি হুমকী দিয়ে জানায় বেড়িবাঁধের কাজ করতে হলে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়ে কাজ করতে হবে। না হলে কাজ করতে দেয়া হবেনা। তখন নিরুপায় হয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাটকাটা ফাঁড়ি পুলিশের মাধ্যমে বিপুলকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তাদের অবস্থা গুরত্বর হলে কয়রা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

বর্তমানে তাদের হুমকির কারনে বেড়িবাঁধের নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা থাকায় থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে । তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ১নং বিবাদী এসকে গালিবের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারের লোকজন একটি দরিদ্র পরিবারের ঘরের ভিতরে মাটি দিচ্ছিল সেটা নিষেধ করলে তারা আমাদের বিরুদ্ধে চড়াও হয়।

ঐ বিষয়কে কেন্দ্র করে ঠিকাদারের লোক অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। খুলনা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক তাসনিম আলম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমন্বয়কের পরিচয়ে এ ঘটনার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে জানাবো। এ ব্যাপারে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক বলেন, দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৮০ জন দেখেছেন

কয়রায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও ঠিকাদারের লোকজনদেরকে মারপিটের অভিযোগ

আপডেট : ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

খুলনার কয়রায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও মারটিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রতিকার চেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতানামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমিন এন্ড কোং লিঃ এর ম্যানেজার রামপাল থানার গৌরম্ভা গ্রামের আব্দুল হাই মোল্লার ছেলে মোঃ রাসেল মোল্লা বাদী হয়ে এই অভিযোগ করেন। এতে কয়রা উপজেলার ২নং কয়রা গ্রামের সবুর সানার পুত্র এসকে গালিবকে ১নং আসামী করা হয়েছে।

অভিযোগে অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন কয়রা সদরের নুসরাত ঐশি, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া গ্রামের উজ্জল বাইন, মিনারা খাতুন, মতিয়ার সরদার, রবিন্দ্রনাথ বাইন, সাবিত্রী, ফাতেমা ও বেদকাশী (দিঘিরপাড়ের) এলাকার মনিরুল ইসলাম। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ,কয়রা থানাধীন উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মান কাজটি পায় আমিন এন্ড কোং লিঃ।

কাজটি ২ বছর যাবত চলমান রয়েছে। এমতবস্থায় গত ২ ফেব্রয়ারী সন্ধায় উল্লেখিত ১ ও ২ নং বিবাদী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্ময়ক পরিচয় দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ নির্মান কাজে বাধা সৃষ্টি করে তারা। প্রতিবাদ করলে তারা ঠিকাদারের অধিনস্থ বিপুল শেখ, হৃদয় মোল্লা,শাওন শেখ ও বায়জিদ মোল্লাকে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে জখম করে।

এসময় বাদির কাছে থাকা ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। তখন তাদের হাক চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের কবল হতে ঠিকাদারেন অধিনন্থ লোকজনকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তারা কোম্পানির ড্রাইভার বিপুলকে জোর পূর্বক আটক করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এমনকি হুমকী দিয়ে জানায় বেড়িবাঁধের কাজ করতে হলে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়ে কাজ করতে হবে। না হলে কাজ করতে দেয়া হবেনা। তখন নিরুপায় হয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাটকাটা ফাঁড়ি পুলিশের মাধ্যমে বিপুলকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তাদের অবস্থা গুরত্বর হলে কয়রা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

বর্তমানে তাদের হুমকির কারনে বেড়িবাঁধের নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা থাকায় থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে । তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ১নং বিবাদী এসকে গালিবের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারের লোকজন একটি দরিদ্র পরিবারের ঘরের ভিতরে মাটি দিচ্ছিল সেটা নিষেধ করলে তারা আমাদের বিরুদ্ধে চড়াও হয়।

ঐ বিষয়কে কেন্দ্র করে ঠিকাদারের লোক অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। খুলনা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক তাসনিম আলম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমন্বয়কের পরিচয়ে এ ঘটনার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে জানাবো। এ ব্যাপারে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক বলেন, দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাখ//আর