০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০৫ ভারতীয়কে দেশে পাঠাল আমেরিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আমেরিকায় অবস্থান করা অবৈধ ভারতীয়দের সামরিক উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরই মধ্যে সোমবার ২০৫ ভারতীয়কে নিয়ে রওনা হয়েছে একটি উড়োজাহাজ। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তাঁরা এসে ভারতে পৌঁছাননি।

আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রতিবেদেন বলছে, সি-১৭ উড়োজাহাজে ভারতীয়দের ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। রিপাবলিকান এই নেতা এবারের মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয়দের আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানোর ঘটনা এটিই প্রথম।

মার্কিন প্রশাসনের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে দূরবর্তী গন্তব্য এই ভারত। এখানেই তাদের একটি ফ্লাইটে করে ফেরত পাঠানো হয়েছে অবৈধ ভারতীয়দের।

ক্ষমতায় আসার পরই সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগাতে শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষ করে অভিবাসন নীতি কড়াকড়ি করার ক্ষেত্রে তিনি যুক্ত করেছেন সামরিক বাহিনীকে।

শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে বাড়তি সেনা পাঠান ট্রাম্প। এবার সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার করলেন অবৈধদের দেশ থেকে বের করার ক্ষেত্রে। এমনকি অভিবাসীদের অস্থায়ী বসবাসের জন্য সামরিক তাঁবুও বানানো হয়েছে।

ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো ছাড়াও আরও ৫ হাজার মানুষকে বিভিন্ন দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে পেন্টাগন। এরা এল পাসো, টেক্সাস, স্যান দিয়েগো ও ক্যালিফোর্নিয়ার অবৈধ অভিবাসী। এর আগে গুয়েতেমালা, পেরু ও হন্ডুরাসে সামরিক বিমানে করে পাঠানো হয়েছে অবৈধদের।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অবৈধ অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার বেশ ব্যয়বহুল। গত সপ্তাহে একটি ফ্লাইটে প্রতি জনে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন ডলার।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ হয়েছে। রোববারের বিক্ষোভে অভিবাসন নীতি সংস্কারের দাবি জানানো হয়। এ সময় সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মতো যান চলাচল ব্যাহত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। লস অ্যাঞ্জেলেস ছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণে, সান ডিয়েগো, টেক্সাস ও ডালাসেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পরই আমেরিকায় থাকা অভিবাস প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ধর-পাকড় এবং নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম।

আমেরিকায় অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর বাস ক্যালিফোর্নিয়ায়।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০১:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৬৯ জন দেখেছেন

২০৫ ভারতীয়কে দেশে পাঠাল আমেরিকা

আপডেট : ০১:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আমেরিকায় অবস্থান করা অবৈধ ভারতীয়দের সামরিক উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরই মধ্যে সোমবার ২০৫ ভারতীয়কে নিয়ে রওনা হয়েছে একটি উড়োজাহাজ। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তাঁরা এসে ভারতে পৌঁছাননি।

আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রতিবেদেন বলছে, সি-১৭ উড়োজাহাজে ভারতীয়দের ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। রিপাবলিকান এই নেতা এবারের মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয়দের আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানোর ঘটনা এটিই প্রথম।

মার্কিন প্রশাসনের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে দূরবর্তী গন্তব্য এই ভারত। এখানেই তাদের একটি ফ্লাইটে করে ফেরত পাঠানো হয়েছে অবৈধ ভারতীয়দের।

ক্ষমতায় আসার পরই সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগাতে শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষ করে অভিবাসন নীতি কড়াকড়ি করার ক্ষেত্রে তিনি যুক্ত করেছেন সামরিক বাহিনীকে।

শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে বাড়তি সেনা পাঠান ট্রাম্প। এবার সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার করলেন অবৈধদের দেশ থেকে বের করার ক্ষেত্রে। এমনকি অভিবাসীদের অস্থায়ী বসবাসের জন্য সামরিক তাঁবুও বানানো হয়েছে।

ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো ছাড়াও আরও ৫ হাজার মানুষকে বিভিন্ন দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে পেন্টাগন। এরা এল পাসো, টেক্সাস, স্যান দিয়েগো ও ক্যালিফোর্নিয়ার অবৈধ অভিবাসী। এর আগে গুয়েতেমালা, পেরু ও হন্ডুরাসে সামরিক বিমানে করে পাঠানো হয়েছে অবৈধদের।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অবৈধ অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার বেশ ব্যয়বহুল। গত সপ্তাহে একটি ফ্লাইটে প্রতি জনে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন ডলার।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ হয়েছে। রোববারের বিক্ষোভে অভিবাসন নীতি সংস্কারের দাবি জানানো হয়। এ সময় সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মতো যান চলাচল ব্যাহত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। লস অ্যাঞ্জেলেস ছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণে, সান ডিয়েগো, টেক্সাস ও ডালাসেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পরই আমেরিকায় থাকা অভিবাস প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ধর-পাকড় এবং নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম।

আমেরিকায় অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর বাস ক্যালিফোর্নিয়ায়।