১২:৫৭ অপরাহ্ন, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক শুমারীর টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান কতৃক অর্থনৈতিক শুমারীর বিলের টাকা আত্নসাতের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে আইটি সুপারভাইজার ও গননাকারীরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের জোন-১ এর আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা, কাওসার আহম্মেদসহ ভুক্তভোগীরা।
লিখিত বক্তব্যে আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামানের নির্দেশে জোন-১ এর আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম সুপারভাইজার ও গণনাকারীর দায়িত্ব পালান করেন। তিনিসহ অপর গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা ১৩৬টি ইউনিটের তথ্য সংগ্রহ করেন। এর বিল বাবাদ জনপ্রতি ১৫ হাজার ও প্রশিক্ষণ ফি জনপ্রতি ১৬’শ টাকা হিসাবে ৩২ হাজার টাকা। উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান এই বিলের টাকা সাইফুল ইসলাম ও ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তাকে পরিশোধ না করে গোপনে নিজের ও তার শশুরের বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্নসাৎ করেন। এই টাকা চাইতে গেলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন।
আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, এমন অনেকের ভূয়া নাম ব্যবহার তিনি কয়েক লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। মহিপুরের জোনাল অফিসার হিসাবে নিজ শ্যালককে নিয়োগ দিলেও তিনি কোন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেননি এবং নিয়োগ থেকে অদ্যাবধি কোন দায়িত্ব পালন না করলেও বিল, ভাতা গ্রহন করছেন। ধানখালীতে ৬ জন সুপারভাইজার নিয়োগের নিয়ম থাকলেও একজন সুপারভাইজার দিয়ে কাজ করিয়ে বাকীদের টাকা নামে-বেনামে আত্নসাৎ করেছেন। সোহেল নামে একজন আইটি সুপারভাইজারকে দিয়ে সুপারভাইজার ও গণনাকারী দায়িত্ব পালন করিয়ে বাকী বিলের টাকা আত্নসাৎ করেছেন। কলাপাড়া উপজেলায় ৫টি জোনের প্রতিটি জোনে ১জন আইটি সুপারভাইজার, ৬-৭ জন সুপারভাইজার এবং ৪৮ গণনাকারী কাগজে কলমে নিয়োগ থাকলেও ৫০ শতাংশের কম নিয়োগ দিয়ে বাকীদের টাকা নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। সাইফুল ইসলামের স্ত্রীকে নিয়োগ না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসব মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছেন।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২৮২ জন দেখেছেন

কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক শুমারীর টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

আপডেট : ০৪:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান কতৃক অর্থনৈতিক শুমারীর বিলের টাকা আত্নসাতের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে আইটি সুপারভাইজার ও গননাকারীরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের জোন-১ এর আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা, কাওসার আহম্মেদসহ ভুক্তভোগীরা।
লিখিত বক্তব্যে আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামানের নির্দেশে জোন-১ এর আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম সুপারভাইজার ও গণনাকারীর দায়িত্ব পালান করেন। তিনিসহ অপর গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা ১৩৬টি ইউনিটের তথ্য সংগ্রহ করেন। এর বিল বাবাদ জনপ্রতি ১৫ হাজার ও প্রশিক্ষণ ফি জনপ্রতি ১৬’শ টাকা হিসাবে ৩২ হাজার টাকা। উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান এই বিলের টাকা সাইফুল ইসলাম ও ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তাকে পরিশোধ না করে গোপনে নিজের ও তার শশুরের বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্নসাৎ করেন। এই টাকা চাইতে গেলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন।
আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, এমন অনেকের ভূয়া নাম ব্যবহার তিনি কয়েক লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। মহিপুরের জোনাল অফিসার হিসাবে নিজ শ্যালককে নিয়োগ দিলেও তিনি কোন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেননি এবং নিয়োগ থেকে অদ্যাবধি কোন দায়িত্ব পালন না করলেও বিল, ভাতা গ্রহন করছেন। ধানখালীতে ৬ জন সুপারভাইজার নিয়োগের নিয়ম থাকলেও একজন সুপারভাইজার দিয়ে কাজ করিয়ে বাকীদের টাকা নামে-বেনামে আত্নসাৎ করেছেন। সোহেল নামে একজন আইটি সুপারভাইজারকে দিয়ে সুপারভাইজার ও গণনাকারী দায়িত্ব পালন করিয়ে বাকী বিলের টাকা আত্নসাৎ করেছেন। কলাপাড়া উপজেলায় ৫টি জোনের প্রতিটি জোনে ১জন আইটি সুপারভাইজার, ৬-৭ জন সুপারভাইজার এবং ৪৮ গণনাকারী কাগজে কলমে নিয়োগ থাকলেও ৫০ শতাংশের কম নিয়োগ দিয়ে বাকীদের টাকা নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। সাইফুল ইসলামের স্ত্রীকে নিয়োগ না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসব মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছেন।
বাখ//আর