০২:৫৬ অপরাহ্ন, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকুন্দিয়ায় নবীনদলের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীনদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের বিরুদ্ধে দলের পদ বানিজ্যসহ নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবে মো. রুবেল মিয়া নামের এক ব্যাক্তি ও তাঁর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী রুবেল মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া গ্রামের মো. এংরাজ মিয়ার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. রুবেল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের বাড়ি ও আমার বাড়ি একই এলাকায়। ফলে তাঁর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুবাদে হুমায়ুন আহমেদ ২০১১ সালে রেন্ট এ কারের ব্যাবসা করার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন। ওই ব্যাবসা থেকে লাভের একটা অংশ আমাকে দেবেন-এই আশ্বাস দিয়ে টাকাগুলো নিয়েছেন।

২০১২ সালে নবীনদলের রেজিস্ট্রেশন করার কথা বলে আমার কাছ থেকে তিনি আবারও ৫ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে আমাকে নবীন দলের ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেবেন-এই কথা বলে আরও ৫ লাখ টাকা নেন। এছাড়াও বিভিন্ন কারন দেখিয়ে আমার কাছ থেকে তিনি আরও দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। শুধু তাই নয় নবীন দলের পদ দেওয়ার কথা বলে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন হুমায়ুন আহমেদ।

রুবেল মিয়া আরও বলেন, আমার কাছ থেকে কয়েক দফায় ১৭ লাখ টাকা নেওয়া হলেও আমাকে ব্যাবসার লাভ ও দলীয় পদ-পদবী কিছুই দেওয়া হয়নি। ব্যাবসার লাভ ও দলীয় পদ-পদবী না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরন মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলায় আমি এক বছর জেল খেটেছি।

সপ্তাহখানেক আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে পুনরায় টাকা ফেরত চাওয়ায় হুমায়ুন আহমেদ আমাকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে ১৭ লাখ টাকা ফেরতসহ হুমায়ুন আহমেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে রুবেল মিয়ার বাবা মো. এংরাজ মিয়া ও ভাই আরমান উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে নবীনদলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, নবীনদল কেন্দ্রীয় বিএনপির কোন স্বীকৃত দল নয়। এটি একটি ভুয়া দল। একটি চক্র এসব দলের নাম দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রতারনা করে যাচ্ছে বলে শুনেছি। যদি কোন ব্যাক্তি নবীনদলের নাম দিয়ে এলাকায় প্রতারনা করে থাকে তাহলে তাকে ধরে থানায় সোপর্দ করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আমি আহবান জাানচ্ছি।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১২:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৪০১ জন দেখেছেন

পাকুন্দিয়ায় নবীনদলের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

আপডেট : ১২:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীনদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের বিরুদ্ধে দলের পদ বানিজ্যসহ নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবে মো. রুবেল মিয়া নামের এক ব্যাক্তি ও তাঁর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী রুবেল মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া গ্রামের মো. এংরাজ মিয়ার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. রুবেল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের বাড়ি ও আমার বাড়ি একই এলাকায়। ফলে তাঁর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুবাদে হুমায়ুন আহমেদ ২০১১ সালে রেন্ট এ কারের ব্যাবসা করার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন। ওই ব্যাবসা থেকে লাভের একটা অংশ আমাকে দেবেন-এই আশ্বাস দিয়ে টাকাগুলো নিয়েছেন।

২০১২ সালে নবীনদলের রেজিস্ট্রেশন করার কথা বলে আমার কাছ থেকে তিনি আবারও ৫ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে আমাকে নবীন দলের ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেবেন-এই কথা বলে আরও ৫ লাখ টাকা নেন। এছাড়াও বিভিন্ন কারন দেখিয়ে আমার কাছ থেকে তিনি আরও দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। শুধু তাই নয় নবীন দলের পদ দেওয়ার কথা বলে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন হুমায়ুন আহমেদ।

রুবেল মিয়া আরও বলেন, আমার কাছ থেকে কয়েক দফায় ১৭ লাখ টাকা নেওয়া হলেও আমাকে ব্যাবসার লাভ ও দলীয় পদ-পদবী কিছুই দেওয়া হয়নি। ব্যাবসার লাভ ও দলীয় পদ-পদবী না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরন মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলায় আমি এক বছর জেল খেটেছি।

সপ্তাহখানেক আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে পুনরায় টাকা ফেরত চাওয়ায় হুমায়ুন আহমেদ আমাকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে ১৭ লাখ টাকা ফেরতসহ হুমায়ুন আহমেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে রুবেল মিয়ার বাবা মো. এংরাজ মিয়া ও ভাই আরমান উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে নবীনদলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, নবীনদল কেন্দ্রীয় বিএনপির কোন স্বীকৃত দল নয়। এটি একটি ভুয়া দল। একটি চক্র এসব দলের নাম দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রতারনা করে যাচ্ছে বলে শুনেছি। যদি কোন ব্যাক্তি নবীনদলের নাম দিয়ে এলাকায় প্রতারনা করে থাকে তাহলে তাকে ধরে থানায় সোপর্দ করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আমি আহবান জাানচ্ছি।

বাখ//এস