০৩:০১ অপরাহ্ন, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবে আলোচনায় ফজলুল হক

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা বিএনপির কমিটির বিলুপ্ত হওয়ায় নতুন কমিটি ঘোষণা হবে শিগগিরই এমন খবরে নড়েচড়ে বসেছেন দলটির অনেক নেতা কর্মী। পথ পেতে শুরু করেছেন নানা তদবীর। তাদের মাঝে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন একজন রাজনীতিবিদ বেছে নিয়েছেন দলীয় নেতা কর্মীরা। আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য সচিব পদে সর্বস্তরের মানুষের মুখে গুঞ্জন উঠেছে আলোচনা শীর্ষে সদ্য বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোঃ ফজলুল হক।

তিনি বিগত ১৬ বছর ধরে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে নেতা কর্মীদের সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার নেতাকর্মীরা ফজলুল হক কে সৎ, সময়ের সাহসী, যোগ্য ও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ মনে করেন। সহকারী অধ্যাপক ফজলুল হক ১৯৯৮ সালে চিলমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ২০০৯ ও ২০১৩ সালে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে বারবার নির্যাতিত হয়েছেন।

তিনি ফ্যাসিষটদের দ্বারা দায়ের কৃত মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন।ফজলুল হক চিলমারী উপজেলার একজন সিনিয়র সাংবাদিক। কাজ করছেন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়।

নিজেকে শতভাগ স্বচ্ছ দাবি করে তিনি বলেন, চিলমারী উপজেলা বিএনপির কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি ছাত্র জীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মাঠ পর্যায়ে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক এবং ক্যাসিনোর মতো জুয়ায় নিজেকে না জড়িয়ে এসব অপকর্মের বিরোধিতা করে এসেছি। সবসময় দলের কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার অপরাধের স্বৈরাচার সরকারের পুলিশলীগ দিয়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে দলের সুদিন এসেছে। আশা করছি আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি চিলমারী উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সদস্য সচিব প্রার্থী হতেই পারি।

সদস্য সচিব মনোনীত হলে আগামী পরিকল্পনা কি এমন প্রশ্নের উত্তরে ফজলুল হক বলেন, নন্দিত জননেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক চিলমারী উপজেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজাবো। তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত এবং ঝিমিয়ে পড়া নেতা কর্মীদের সক্রিয় করে জনগণের কাছে ছড়িয়ে দেব। তৃণমূল নেতা কর্মীরা জানান, দলের হাই কমান্ড চিলমারী উপজেলার জন্য ক্লিন ইমেজ নেতৃত্ব খুঁজছেন, আমাদের বিশ্বাস সিনিয়র নেতাদের দূরদর্শী চিন্তা চেতনা এবং তীক্ষ্ণ নজরে ফজলুল হক বাদ পড়বেন না যোগ্যতার বিচারে।

দলের প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে শতভাগ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এখনো দলকে সুসংগঠিত করতে দলের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৬৪৯ জন দেখেছেন

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবে আলোচনায় ফজলুল হক

আপডেট : ১০:০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা বিএনপির কমিটির বিলুপ্ত হওয়ায় নতুন কমিটি ঘোষণা হবে শিগগিরই এমন খবরে নড়েচড়ে বসেছেন দলটির অনেক নেতা কর্মী। পথ পেতে শুরু করেছেন নানা তদবীর। তাদের মাঝে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন একজন রাজনীতিবিদ বেছে নিয়েছেন দলীয় নেতা কর্মীরা। আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য সচিব পদে সর্বস্তরের মানুষের মুখে গুঞ্জন উঠেছে আলোচনা শীর্ষে সদ্য বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোঃ ফজলুল হক।

তিনি বিগত ১৬ বছর ধরে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে নেতা কর্মীদের সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার নেতাকর্মীরা ফজলুল হক কে সৎ, সময়ের সাহসী, যোগ্য ও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ মনে করেন। সহকারী অধ্যাপক ফজলুল হক ১৯৯৮ সালে চিলমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ২০০৯ ও ২০১৩ সালে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে বারবার নির্যাতিত হয়েছেন।

তিনি ফ্যাসিষটদের দ্বারা দায়ের কৃত মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন।ফজলুল হক চিলমারী উপজেলার একজন সিনিয়র সাংবাদিক। কাজ করছেন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়।

নিজেকে শতভাগ স্বচ্ছ দাবি করে তিনি বলেন, চিলমারী উপজেলা বিএনপির কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি ছাত্র জীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মাঠ পর্যায়ে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক এবং ক্যাসিনোর মতো জুয়ায় নিজেকে না জড়িয়ে এসব অপকর্মের বিরোধিতা করে এসেছি। সবসময় দলের কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার অপরাধের স্বৈরাচার সরকারের পুলিশলীগ দিয়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে দলের সুদিন এসেছে। আশা করছি আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি চিলমারী উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সদস্য সচিব প্রার্থী হতেই পারি।

সদস্য সচিব মনোনীত হলে আগামী পরিকল্পনা কি এমন প্রশ্নের উত্তরে ফজলুল হক বলেন, নন্দিত জননেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক চিলমারী উপজেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজাবো। তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত এবং ঝিমিয়ে পড়া নেতা কর্মীদের সক্রিয় করে জনগণের কাছে ছড়িয়ে দেব। তৃণমূল নেতা কর্মীরা জানান, দলের হাই কমান্ড চিলমারী উপজেলার জন্য ক্লিন ইমেজ নেতৃত্ব খুঁজছেন, আমাদের বিশ্বাস সিনিয়র নেতাদের দূরদর্শী চিন্তা চেতনা এবং তীক্ষ্ণ নজরে ফজলুল হক বাদ পড়বেন না যোগ্যতার বিচারে।

দলের প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে শতভাগ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এখনো দলকে সুসংগঠিত করতে দলের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

বাখ//আর