০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাউজানে ওরশের তোরণ ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা পুলিশের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

রাউজানে একটি ওরশের তোরণ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে ঐ এলাকার শত শত ভক্ত মুহিব্বানদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানাগেছে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামের ঐতিহাসিক মাজারটিতে ১৯৬বছর পর্যন্ত শায়িত আছেন হযরত ছৈয়দ চাঁদ শাহ (রহ)। মঙ্গলবার ভোর সকালে দৃষ্কৃতকারীরা আগামি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক ওরশের জন্যে মাজারের উত্তর পাশে দেওয়া হাফেজ বজলুর রহমান সড়কের উপর বিশাল তোরণটি ভেঙ্গে চুরমার করে দেন। এঘটনা মঙ্গলবার সকাল থেকে জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও ভক্তদের মাঝে ঘৃনার চোখে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে থাকে।

ভারতীয় উপমহাদেশের আধ্যাত্বিক জগতের প্রাণ পুরুষ, রাহনুমায়ে শরীয়ত, ত্বরিকত, মারফত, হাজত রাওয়া, মুশকিল কোশা হযরত ছৈয়দ চাঁদ শাহ (রহ) এর ১৯৬ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার মাত্র ২দিন আগে তোরণ ভেঙ্গে দেয়া কোন মহল মেনে নিতে পারছেনা। এবিষয়ে দরবারের ছোট শাহজাদা ও আশেকানে মোক্তার শাহ কেন্দ্রীয় খেদমত কমিটির মহাসচিব ছৈয়দ মোকছুদুল আলম শাহ (মা.জি.আ) ইনকিলাবকে জানান আমরা যখন দেখিনি তাই কারো উপর দোষ চাপাতে চাইনা। তবে বিচার আল্লাহ করবেন।তিনি বলেন আমরা দরবারের পক্ষ হতে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত আকাঁরে অভিযোগ দিয়েছি।

তিনি তা রাউজান থানাকে ফরোয়ার্ড করেছেন। বিকালে পুলিশ এসে পরিদর্শন করেছেন।জানাগেছে বৃহস্পতিবার অনুষ্টিতব্য বিশাল ওরশে আসা যাওয়ায় কমপক্ষে লক্ষাধিক ভক্ত মুহিব্বিনরা অংশ গ্রহন করবেন। বিশাল এলাকাজুড়ে প্যান্ডেলে রান্নাবান্না, তাবরুক পরিবেশন, মাজারে খতম, জেয়ারত, মানুষের নিরাপত্বা,জানযট নিরসন,সহ বিভিন্ন কর্মসূচী তৈরি করেছেন পরিচালনা কমিটি। এরই মধ্যে তোরণ ভেঙ্গে দেবার ঘটনায় ওরশ পরিচালনা কমিটির মধ্যও উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। আয়োজক কমিটি মনে করেন বিশাল এ আয়োজনে প্রশাসনিক ভূমিকা থাকলে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটবেনা ইনশাআল্লাহ। দরবারের পক্ষ হতে ৫শ জনের বিশাল কর্মি বাহিনী কাজ করবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।আজ মঙ্গলবার বিকালে দরাবের জরুরী বৈঠকে বসেন আওলাদগন।

এতে কয়েকশো ভক্ত অনুরক্ত, এলাকাবাসী,বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে বিকালে রাউজান থানার এস আই মোস্তফা আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি মাজার এলাকা পরিদর্শন করে যেটি ধারনা করলাম সেটি হলো পাশা পাশি মোঃ রাসেদ ও মোঃ শাহাদৎ এরাও পৃথক পৃথক ওরশ আয়োজন করছেন। তাদেরও আলাদা ২টি তোরণ রয়েছে। এই দুটি তোরণের কোন ক্ষতি করেনি।আবার যেকোন বহিরাগত পক্ষ এদের (অর্থাৎ ৩পক্ষের ওরসের) সাথে পারিবারিক ঝামেলা সৃষ্টি করে গন্ডগুল লেগে দিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির অপচেষ্টাও চালাতে পারে।যা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।সূত্র জানান তবে ২টি আয়োজন ছোট হলেও একটি আয়োজন বিশাল আকাঁরের।সব মিলিয়ে এ ওরশটি মাইজভান্ডার দরবার শরিফের পর বড় আয়োজন মনে করেন স্থানিয়রা।

এদিকে তোরণ ভাঙ্গার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ওরশ পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ মেহমান ছিলেন দরবারের বড় শাহজাদা ও কেন্দ্রীয় ওরশ পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ দিদারুল আলম শাহ (মা.জি.আ), দরবারের মেঝ শাহজাদা ও সাজ্জাদানশীন এবং আশেকানে মোক্তার শাহ কেন্দ্রীয় খেদমত কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছৈয়দ মোক্তার শাহ (মা.জি.আ), ছোট শাহজাদা ও আশেকানে মোক্তার শাহ কেন্দ্রীয় খেদমত কমিটির মহাসচিব ছৈয়দ মোকছুদুল আলম শাহ (মা.জি.আ), শাহজাদা মাওলানা ছৈয়দ মফিজুল হক।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৯৪ জন দেখেছেন

রাউজানে ওরশের তোরণ ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা পুলিশের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

আপডেট : ১০:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাউজানে একটি ওরশের তোরণ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে ঐ এলাকার শত শত ভক্ত মুহিব্বানদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানাগেছে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামের ঐতিহাসিক মাজারটিতে ১৯৬বছর পর্যন্ত শায়িত আছেন হযরত ছৈয়দ চাঁদ শাহ (রহ)। মঙ্গলবার ভোর সকালে দৃষ্কৃতকারীরা আগামি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক ওরশের জন্যে মাজারের উত্তর পাশে দেওয়া হাফেজ বজলুর রহমান সড়কের উপর বিশাল তোরণটি ভেঙ্গে চুরমার করে দেন। এঘটনা মঙ্গলবার সকাল থেকে জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও ভক্তদের মাঝে ঘৃনার চোখে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে থাকে।

ভারতীয় উপমহাদেশের আধ্যাত্বিক জগতের প্রাণ পুরুষ, রাহনুমায়ে শরীয়ত, ত্বরিকত, মারফত, হাজত রাওয়া, মুশকিল কোশা হযরত ছৈয়দ চাঁদ শাহ (রহ) এর ১৯৬ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার মাত্র ২দিন আগে তোরণ ভেঙ্গে দেয়া কোন মহল মেনে নিতে পারছেনা। এবিষয়ে দরবারের ছোট শাহজাদা ও আশেকানে মোক্তার শাহ কেন্দ্রীয় খেদমত কমিটির মহাসচিব ছৈয়দ মোকছুদুল আলম শাহ (মা.জি.আ) ইনকিলাবকে জানান আমরা যখন দেখিনি তাই কারো উপর দোষ চাপাতে চাইনা। তবে বিচার আল্লাহ করবেন।তিনি বলেন আমরা দরবারের পক্ষ হতে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত আকাঁরে অভিযোগ দিয়েছি।

তিনি তা রাউজান থানাকে ফরোয়ার্ড করেছেন। বিকালে পুলিশ এসে পরিদর্শন করেছেন।জানাগেছে বৃহস্পতিবার অনুষ্টিতব্য বিশাল ওরশে আসা যাওয়ায় কমপক্ষে লক্ষাধিক ভক্ত মুহিব্বিনরা অংশ গ্রহন করবেন। বিশাল এলাকাজুড়ে প্যান্ডেলে রান্নাবান্না, তাবরুক পরিবেশন, মাজারে খতম, জেয়ারত, মানুষের নিরাপত্বা,জানযট নিরসন,সহ বিভিন্ন কর্মসূচী তৈরি করেছেন পরিচালনা কমিটি। এরই মধ্যে তোরণ ভেঙ্গে দেবার ঘটনায় ওরশ পরিচালনা কমিটির মধ্যও উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। আয়োজক কমিটি মনে করেন বিশাল এ আয়োজনে প্রশাসনিক ভূমিকা থাকলে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটবেনা ইনশাআল্লাহ। দরবারের পক্ষ হতে ৫শ জনের বিশাল কর্মি বাহিনী কাজ করবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।আজ মঙ্গলবার বিকালে দরাবের জরুরী বৈঠকে বসেন আওলাদগন।

এতে কয়েকশো ভক্ত অনুরক্ত, এলাকাবাসী,বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে বিকালে রাউজান থানার এস আই মোস্তফা আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি মাজার এলাকা পরিদর্শন করে যেটি ধারনা করলাম সেটি হলো পাশা পাশি মোঃ রাসেদ ও মোঃ শাহাদৎ এরাও পৃথক পৃথক ওরশ আয়োজন করছেন। তাদেরও আলাদা ২টি তোরণ রয়েছে। এই দুটি তোরণের কোন ক্ষতি করেনি।আবার যেকোন বহিরাগত পক্ষ এদের (অর্থাৎ ৩পক্ষের ওরসের) সাথে পারিবারিক ঝামেলা সৃষ্টি করে গন্ডগুল লেগে দিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির অপচেষ্টাও চালাতে পারে।যা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।সূত্র জানান তবে ২টি আয়োজন ছোট হলেও একটি আয়োজন বিশাল আকাঁরের।সব মিলিয়ে এ ওরশটি মাইজভান্ডার দরবার শরিফের পর বড় আয়োজন মনে করেন স্থানিয়রা।

এদিকে তোরণ ভাঙ্গার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ওরশ পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ মেহমান ছিলেন দরবারের বড় শাহজাদা ও কেন্দ্রীয় ওরশ পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ দিদারুল আলম শাহ (মা.জি.আ), দরবারের মেঝ শাহজাদা ও সাজ্জাদানশীন এবং আশেকানে মোক্তার শাহ কেন্দ্রীয় খেদমত কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছৈয়দ মোক্তার শাহ (মা.জি.আ), ছোট শাহজাদা ও আশেকানে মোক্তার শাহ কেন্দ্রীয় খেদমত কমিটির মহাসচিব ছৈয়দ মোকছুদুল আলম শাহ (মা.জি.আ), শাহজাদা মাওলানা ছৈয়দ মফিজুল হক।

বাখ//আর