০২:১০ অপরাহ্ন, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

বিশেষ প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, জার্মানিতে যেমন নাৎসিবাদি হিটলারের রাজনীতি নিষিদ্ধ, তেমনিভাবে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে। কথায় কথায় বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা! তাহলে এখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করছেন না কেনো? গুমের রাণী, খুনের রাণী শেখ হাসিনার রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হলে, এদেশে আরেকটি বিপ্লব হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের অম্বিকা হলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গত ১৬টি বছর আওয়ামী লীগ তাদের দুঃশাসনকে বহাল রাখার জন্য, বিরোধীমতকে দমন করার জন্য  আয়নাঘরের টর্চার সেল বানিয়েছে। আজ তা উন্মোচিত হচ্ছে। এই আইয়ামে জাহেলিয়াত আওয়ামী লীগ, তাদের কারোরই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে ঠাই হবেনা। যদি তাদের দোসরদেরও কেউ আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে চায়, বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকেও উৎখাত করবে। তাদের বিরুদ্ধেও লড়াই হবে। কোন ফ্যাসিস্টের সহযোগীকে আমরা বাংলাদেশে ঠাই দিবোনা।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে একটি বিশেষ পরিস্থিতির কারণে দলকে পুনর্গঠিত করা সম্ভব হয়নি। এখন পরিস্থিতির বদল হয়েছে। মানুষ যেই স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশকে নিয়ে, সেফ স্বপ্ন বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি উপযোগী দল দরকার। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতৃত্ব দরকার। সেই দায়িত্বশীল দলের কিছু দায়িত্বশীল নেতা দরকার একেবারে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে দলকে সংগঠিত করার এটাই উপযুক্ত সময়।
৫ই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের সামনে দু’টি চ্যালেঞ্জ এসেছে। একটি হলো- বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার যে সম্ভাবনা, সেটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়া। আরেকটি হলো- ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্পিডকে যারা ম্লান করে দিতে চায় তাদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দেওয়া। আগামী নির্বাচন কঠিন হবে কারণ আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের বর্ণচোরারা যে কার কাঁধে ভর করে!
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হক শাহজাদা মিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সেলিমুজ্জামান সেলিম।
এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, আজম খান, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আতাউর রশীদ বাচ্চু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা বিএনপির আগামী কাউন্সিলে নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি ও করণীয় সম্পর্কে বক্তাগণ দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্য দেন। সভায় ফরিদপুরের অন্যান্য উপজেলার নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৯:৫৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১০২ জন দেখেছেন

ফরিদপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

আপডেট : ০৯:৫৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, জার্মানিতে যেমন নাৎসিবাদি হিটলারের রাজনীতি নিষিদ্ধ, তেমনিভাবে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে। কথায় কথায় বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা! তাহলে এখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করছেন না কেনো? গুমের রাণী, খুনের রাণী শেখ হাসিনার রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হলে, এদেশে আরেকটি বিপ্লব হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের অম্বিকা হলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গত ১৬টি বছর আওয়ামী লীগ তাদের দুঃশাসনকে বহাল রাখার জন্য, বিরোধীমতকে দমন করার জন্য  আয়নাঘরের টর্চার সেল বানিয়েছে। আজ তা উন্মোচিত হচ্ছে। এই আইয়ামে জাহেলিয়াত আওয়ামী লীগ, তাদের কারোরই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে ঠাই হবেনা। যদি তাদের দোসরদেরও কেউ আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে চায়, বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকেও উৎখাত করবে। তাদের বিরুদ্ধেও লড়াই হবে। কোন ফ্যাসিস্টের সহযোগীকে আমরা বাংলাদেশে ঠাই দিবোনা।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে একটি বিশেষ পরিস্থিতির কারণে দলকে পুনর্গঠিত করা সম্ভব হয়নি। এখন পরিস্থিতির বদল হয়েছে। মানুষ যেই স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশকে নিয়ে, সেফ স্বপ্ন বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি উপযোগী দল দরকার। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতৃত্ব দরকার। সেই দায়িত্বশীল দলের কিছু দায়িত্বশীল নেতা দরকার একেবারে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে দলকে সংগঠিত করার এটাই উপযুক্ত সময়।
৫ই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের সামনে দু’টি চ্যালেঞ্জ এসেছে। একটি হলো- বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার যে সম্ভাবনা, সেটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়া। আরেকটি হলো- ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্পিডকে যারা ম্লান করে দিতে চায় তাদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দেওয়া। আগামী নির্বাচন কঠিন হবে কারণ আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের বর্ণচোরারা যে কার কাঁধে ভর করে!
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হক শাহজাদা মিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সেলিমুজ্জামান সেলিম।
এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, আজম খান, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আতাউর রশীদ বাচ্চু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা বিএনপির আগামী কাউন্সিলে নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি ও করণীয় সম্পর্কে বক্তাগণ দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্য দেন। সভায় ফরিদপুরের অন্যান্য উপজেলার নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
বাখ//এস