০২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তাবলীগ জামাতকে ব্যবহার করতে পারে চিনতে পারলে ধরিয়ে দিবেন : জিএমপি কমিশনার

কাজী মকবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) কমিশনার ডা. নাজমুল করিম খান বলেন, ইজতেমার মুরুব্বিদের সাথে মারামারি এবং ইজতেমা এ দুটিকে আমি ভিন্নভাবে দেখি। একটি হল ক্রাইম, আরেকটি হল ধর্মীয় কাজ। আমি বিশ্বাস করি, যারা এখানে এসেছে তারা কেউই মারামারির সাথে সম্পৃক্ত নেই। যদি থেকে থাকে আইন কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবে না।

আমরা যদি তাদের কোন সখ্যতা পাই, যদি মারামারি করে থাকে আমরা সেটিকে ক্রাইম হিসেবে দেখতে চাই এবং আইনের আওতায় আনতে চাই। ইতোমধ্যে মুরুব্বিদের অনেকের নামে মামলা আছে। তারা জামিনে আছে। জামিনে থাকা অবস্থায় কাউকে ডিস্টার্ব করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইজতেমা মাঠের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অপনারা জানেন সারাদেশে ডেভিল হান্ট অপারেশন অভিযান চলছে। যেই অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যেসব সন্ত্রাসী গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তাবলীগ জামাতকে ব্যবহার করতে পারে। আমি তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি ভাইদের প্রতি অনুরোধ রাখব আাপানারা আপনাদের ভাইদেরকে চেনেন, কোনো সন্ত্রাসী দেশের অন্যপ্রান্ত থেকে ডেভিল হান্টের (শয়তানির) মাধ্যমে আপনাদেরকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদেরকে আমাদের হাতে ধরিয়ে দিবেন।

তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে আমরা শুরায়ে নেজামির প্রথম পর্বের দুই ধাপের ইজতেমা পার করেছি। আমরা নিরাপত্তার জন্য ইজতেমা মাঠকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করেছি। পাঁচটি সেক্টরের মাধ্যমে আমরা ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার বসিয়েছি, যেখানে বাইনোকুলারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মুসল্লী ভাইদেরসহ সকল চলাফেরা মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করা হবে।

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এ পর্বে অংশ নিচ্ছেন।

সরেজমিনে ইজতেমা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ পুঁতে খুঁটির সঙ্গে টানানো হয়েছে চটের শামিয়ানা। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে নির্ধারিত জায়গায় (খিত্তা) তারা অবস্থান নিচ্ছেন। বুধবার রাত থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমায় আসতে শুরু করলেও বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠে বেড়েছে মুসল্লিদের সমাগম। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।

সাদ অনুসারীদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক সায়েম বলেন, আমাদের ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকে। ইতোমধ্যে অনেক সাথি ভাই মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। সারাদিন মুসল্লিরা আসতে থাকবেন। সবার অংশগ্রহণে এবার আমরা খুব সুন্দরভাবে ইজতেমা পালন করব।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম ইজতেমা চলাকালীন আমরা শবেবরাত পাচ্ছি। ইজতেমা মাঠে উপস্থিত লাখো মানুষ একসঙ্গে শবেবরাতের নামাজ পড়বেন। নামাজ শেষে একসঙ্গে রোজা রাখবেন, বড় জামাতে জু’মার নামাজ আদায় করবেন। এটা অনেক বড় পাওয়া।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৮৩ জন দেখেছেন

সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তাবলীগ জামাতকে ব্যবহার করতে পারে চিনতে পারলে ধরিয়ে দিবেন : জিএমপি কমিশনার

আপডেট : ০৬:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) কমিশনার ডা. নাজমুল করিম খান বলেন, ইজতেমার মুরুব্বিদের সাথে মারামারি এবং ইজতেমা এ দুটিকে আমি ভিন্নভাবে দেখি। একটি হল ক্রাইম, আরেকটি হল ধর্মীয় কাজ। আমি বিশ্বাস করি, যারা এখানে এসেছে তারা কেউই মারামারির সাথে সম্পৃক্ত নেই। যদি থেকে থাকে আইন কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবে না।

আমরা যদি তাদের কোন সখ্যতা পাই, যদি মারামারি করে থাকে আমরা সেটিকে ক্রাইম হিসেবে দেখতে চাই এবং আইনের আওতায় আনতে চাই। ইতোমধ্যে মুরুব্বিদের অনেকের নামে মামলা আছে। তারা জামিনে আছে। জামিনে থাকা অবস্থায় কাউকে ডিস্টার্ব করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইজতেমা মাঠের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অপনারা জানেন সারাদেশে ডেভিল হান্ট অপারেশন অভিযান চলছে। যেই অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যেসব সন্ত্রাসী গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তাবলীগ জামাতকে ব্যবহার করতে পারে। আমি তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি ভাইদের প্রতি অনুরোধ রাখব আাপানারা আপনাদের ভাইদেরকে চেনেন, কোনো সন্ত্রাসী দেশের অন্যপ্রান্ত থেকে ডেভিল হান্টের (শয়তানির) মাধ্যমে আপনাদেরকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদেরকে আমাদের হাতে ধরিয়ে দিবেন।

তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে আমরা শুরায়ে নেজামির প্রথম পর্বের দুই ধাপের ইজতেমা পার করেছি। আমরা নিরাপত্তার জন্য ইজতেমা মাঠকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করেছি। পাঁচটি সেক্টরের মাধ্যমে আমরা ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার বসিয়েছি, যেখানে বাইনোকুলারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মুসল্লী ভাইদেরসহ সকল চলাফেরা মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করা হবে।

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এ পর্বে অংশ নিচ্ছেন।

সরেজমিনে ইজতেমা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ পুঁতে খুঁটির সঙ্গে টানানো হয়েছে চটের শামিয়ানা। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে নির্ধারিত জায়গায় (খিত্তা) তারা অবস্থান নিচ্ছেন। বুধবার রাত থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমায় আসতে শুরু করলেও বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠে বেড়েছে মুসল্লিদের সমাগম। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।

সাদ অনুসারীদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক সায়েম বলেন, আমাদের ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকে। ইতোমধ্যে অনেক সাথি ভাই মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। সারাদিন মুসল্লিরা আসতে থাকবেন। সবার অংশগ্রহণে এবার আমরা খুব সুন্দরভাবে ইজতেমা পালন করব।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম ইজতেমা চলাকালীন আমরা শবেবরাত পাচ্ছি। ইজতেমা মাঠে উপস্থিত লাখো মানুষ একসঙ্গে শবেবরাতের নামাজ পড়বেন। নামাজ শেষে একসঙ্গে রোজা রাখবেন, বড় জামাতে জু’মার নামাজ আদায় করবেন। এটা অনেক বড় পাওয়া।

বাখ//এস