০২:১৯ অপরাহ্ন, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোরেলগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সহকারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

মোরলগঞ্জ প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. মো. হাসান তারেক ২ বছরের বেশী সময় ধরে কর্মকর্তার পদে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুবাধে নিজ ইচ্ছামাফিক চালাচ্ছেন অফিস। এক পরিবার কল্যাণ সহকারী শামীম আরার সাথে দুর ব্যবহারসহ নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের তদন্ত টিম মাঠে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন এ কর্মকর্তা।

প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কর্মকর্তা অফিস বন্ধের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেলে পরিবার কল্যান পরিদর্শক (এফপিআই) দের নিয়ে নিজ দপ্তরে বসেছেন জরুরী বৈঠক। মাঠ কর্মীদেরকে সংঘটিত করা, শামীম আরার বিরুদ্ধে মাঠ কর্মীদের ফুঁসিয়ে তোলা, অভিযোগের বাদিকে ঘায়েল করতে মিশনে নেমেছেন এমন অভিযোগ তুলেছেন অভিযোগের বাদি ভূক্তভোগী পরিবার কল্যাণ সহকারী শামীম আরা।

প্রাপ্ত অভিযোগে ভূক্তভোগী শামীম আরা বলেন, তিনি মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ১/খ ইউনিটে ১৯৯০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ৮ জানুয়ারি থেকে অসুস্থ থাকায় অফিসিয়াল নিয়মে ছুটি নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে তার অসুস্থতা তীব্র হলে পুনরায় ছুটি বাড়ানোর জন্য প্রথমে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শককে অবহিত করেন।

পরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান তারেকের ম্যাসেঞ্জারে শামীম আরার অসুস্থতার ছবিসহ পরীক্ষা নিরীক্ষার কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়ে পুনরায় ছুটি চাওয়ায় এতে ডা. হাসান তারেক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবার কল্যান সহকারী শামীম আরাকে অফিসে জরুরীভাবে তলব করে। পরে তিনি কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী তার অফিসারের কক্ষে গেলে কর্মকর্তা নিজেই ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় তাকে গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করে। শামীম আরা মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। অফিস থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে মেরুদন্ডে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় উক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান তারেকের বিচার দাবি করে ভূক্তভোগী শামীম আরার স্বামী মো. মিজানুর রহমান বাদি হয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দুদক চেয়ারম্যান বরাবর পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তার পদটি ২০২১ সাল থেকে দীর্ঘ বছর শূন্য থাকায় কর্মকর্তার শূন্যতার প্রভাব পড়েছে বৃহত্তর এ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নসহ ১টি পৌরসভায় পরিবার পরিকল্পনা সকল কার্যক্রমে। যে কারনে ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশ সময় থাকছে বন্ধ। এতে ব্যহত হচ্ছে মায়েদের স্বাস্থ্য সেবাসহ শিশুদের সেবা। এ রকম অভিযোগ ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় সাধারণ মানুষের।

এ সর্ম্পকে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান তারেকের ০১৫৬৮-৯৪৯২২৮ মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে অভিযোগের বাদি ভূক্তভোগী শামীম আরা ও তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান বলেন, তদন্তকালিন সময়ে কর্মকর্তা স্বপদে বহাল থাকলে সঠিক তদন্ত ব্যহত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছেন তারা

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১৩২ জন দেখেছেন

মোরেলগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সহকারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

আপডেট : ০৬:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. মো. হাসান তারেক ২ বছরের বেশী সময় ধরে কর্মকর্তার পদে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুবাধে নিজ ইচ্ছামাফিক চালাচ্ছেন অফিস। এক পরিবার কল্যাণ সহকারী শামীম আরার সাথে দুর ব্যবহারসহ নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের তদন্ত টিম মাঠে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন এ কর্মকর্তা।

প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কর্মকর্তা অফিস বন্ধের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেলে পরিবার কল্যান পরিদর্শক (এফপিআই) দের নিয়ে নিজ দপ্তরে বসেছেন জরুরী বৈঠক। মাঠ কর্মীদেরকে সংঘটিত করা, শামীম আরার বিরুদ্ধে মাঠ কর্মীদের ফুঁসিয়ে তোলা, অভিযোগের বাদিকে ঘায়েল করতে মিশনে নেমেছেন এমন অভিযোগ তুলেছেন অভিযোগের বাদি ভূক্তভোগী পরিবার কল্যাণ সহকারী শামীম আরা।

প্রাপ্ত অভিযোগে ভূক্তভোগী শামীম আরা বলেন, তিনি মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ১/খ ইউনিটে ১৯৯০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ৮ জানুয়ারি থেকে অসুস্থ থাকায় অফিসিয়াল নিয়মে ছুটি নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে তার অসুস্থতা তীব্র হলে পুনরায় ছুটি বাড়ানোর জন্য প্রথমে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শককে অবহিত করেন।

পরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান তারেকের ম্যাসেঞ্জারে শামীম আরার অসুস্থতার ছবিসহ পরীক্ষা নিরীক্ষার কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়ে পুনরায় ছুটি চাওয়ায় এতে ডা. হাসান তারেক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবার কল্যান সহকারী শামীম আরাকে অফিসে জরুরীভাবে তলব করে। পরে তিনি কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী তার অফিসারের কক্ষে গেলে কর্মকর্তা নিজেই ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় তাকে গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করে। শামীম আরা মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। অফিস থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে মেরুদন্ডে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় উক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান তারেকের বিচার দাবি করে ভূক্তভোগী শামীম আরার স্বামী মো. মিজানুর রহমান বাদি হয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দুদক চেয়ারম্যান বরাবর পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তার পদটি ২০২১ সাল থেকে দীর্ঘ বছর শূন্য থাকায় কর্মকর্তার শূন্যতার প্রভাব পড়েছে বৃহত্তর এ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নসহ ১টি পৌরসভায় পরিবার পরিকল্পনা সকল কার্যক্রমে। যে কারনে ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশ সময় থাকছে বন্ধ। এতে ব্যহত হচ্ছে মায়েদের স্বাস্থ্য সেবাসহ শিশুদের সেবা। এ রকম অভিযোগ ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় সাধারণ মানুষের।

এ সর্ম্পকে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান তারেকের ০১৫৬৮-৯৪৯২২৮ মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে অভিযোগের বাদি ভূক্তভোগী শামীম আরা ও তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান বলেন, তদন্তকালিন সময়ে কর্মকর্তা স্বপদে বহাল থাকলে সঠিক তদন্ত ব্যহত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছেন তারা

বাখ//আর