আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ৫৮ তম বিশ্ব ইজতেমা

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় ধাপ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। মোনাজাত শেষে আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর ও ইজতেমা ময়দানের আশপাশ। এর মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার শেষ হলো। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৭ মিনিটে শেষ হয়। ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলবীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ আধাঘন্টা আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য ভোর থেকেই মুসুল্লিরা ইজতেমা ময়দানের দিকে ছুটে যান। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় হেঁটেও রওনা হতে দেখা গেছে অনেককে। মোনাজতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ইহকাল, পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের পাপ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
সাদ অনুসারী তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমার সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ফজরের পরের বয়ান করেন মাওলানা মোরসালিন (দিল্লি নিজামউদ্দিন)। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুফতি আজিম উদ্দিন। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় হেদায়েতের বয়ান শুরু হয়। হেদায়াতি বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। নিজামুদ্দিন মারকাজের অনুসারী মুরুব্বি ও মুসল্লিদের দাবি, সকল ভেদাভেদ ভুলে সবার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ইজতেমা আয়োজন ও আগামী পর্বে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক।
মোনাজাত উপলক্ষে মুসুল্লিদের বাড়ী ফেরার সুবিধায় রেলওয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে ৮টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। টঙ্গি ষ্টেশনে ৫টি বিশেষ ট্রেন ছাড়া সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়। ইজতেমার পার্শ্ববর্তী মহাসড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং মুসল্লিদের নিরাপদে ফিরতি যাত্রা নিশ্চিত করতে মোতায়েন রাখা অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার (সাদ পন্থি) দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে একই ময়দানে ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জোবায়ের পন্থিদের প্রথম পর্বের দুই ধাপের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয় ৫ ফেব্রুয়ারি।
বাখ//আর