০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হার্টের দুটো ফুটো নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রুহী, মায়ের আকুতি আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে দিন

সাব্বির আহম্মেদ, চলনবিল প্রতিনিধি

চাঁদের মতো ফুটফুটে মেয়ে ফাতেমা জান্নাত রুহী। কে বলবে মেয়েটি অসুস্থ্য। কিন্তু বাস্তবে সে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে নিয়ে বাবা মার দূর্বিসহ জীবন। হার্টের দূটো ফুঠো নিয়ে জন্ম নেয় রুহী। জন্মের পর থেকেই রুহীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হয়। কখনো সমস্ত শরীর ঘেমে ভিজে যায়। কখনো অনুভব করে প্রচন্ড শীত। নির্ঘুম রাত কাটে বাবা-মাসহ রুহীর। ১৮ মাস বয়সের রুহীকে নিয়ে র্দর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন বাবা রবিউল ইসলাম ও মা তানিয়া খাতুন।

জানা গছে, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াশীন গ্রামের প্রাণীসম্পদ পল্লী চিকিৎসক রবিউল ইসলাম। মধ্যবিত্ত পরিবারে সদস্য রবিউলের একমাত্র মেয়ে ফাতেমা জান্নাত রুহী। জন্মের পর থেকেই মেয়ের অসুস্থ্যতার বিষয়টি বাবা-মার নজরে আসে। আর তখন থেকেই শুরু হয় রুহীর পরিবারের দূশ্চিন্তা। প্রথমে চিকিৎসা নেন বগুড়ার পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে বসাকের নিকট।

এরপর ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজের নিকটও চিকিৎসা নেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এতে মেয়েকে নিয়ে আরো বিপাকে পড়েন বাবা রবিউল। শেষ ভরসা হিসেবে ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইষ্ট হসপিটালের হৃদরোগ বিশেষেজ্ঞ ডা. রেজওনা রিমার স্মরণাপন্ন হন। তাঁর তত্ত¡াবধানে এখনও চলছে রুহীর চিকিৎসা। কিন্তু শারীরিক ভাবে বেড়ে উঠলেও রুহীর হার্টের ফুটো রয়েই গেছে। বেড়ে চলছে তার রোগের ধরণ।

রুহীর বাবা রবিউল ইসলাম জানান, ছেলে-মেয়ে নয়, সুস্থ্য সবল একটি সন্তান আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। অসুস্থ্য মেয়ে রুহীর জন্য আমি, আমার স্ত্রী ও আমার পরিবার যে মানুষিক চাপে বেচেঁ আছি তা দূর্বিসহ। আল্লাহ যেন এমন কষ্টে কাউকে না রাখেন। আমার রুহীর মত এমন অসুস্থ্যতা সৃষ্টিকর্তা যেন কোন শিশুকে না দেন। প্রতিটি বাবা-মার সন্তান যেন সুস্থ্য থাকেন এমন প্রত্যাশা করি।

রুহীর মা তানিয়া খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, রুহী গর্ভে এলে ওকে নিয়েই ছিল আমাদের যত স্বপ্ন। সে একদিন পৃথিবীর আলো বাতাস দেখবে এবং বড় হয়ে চিকিৎসক হবে। সেবা করবে দরিদ্র অসহায় মানুষের। অথচ আজ সেই রুহী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশের সকল চিকিৎসকদের প্রতি নিবেদন আমার রুহীকে সুচিকিৎসা দিয়ে বাঁচিয়ে দিন।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৯৮ জন দেখেছেন

হার্টের দুটো ফুটো নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রুহী, মায়ের আকুতি আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে দিন

আপডেট : ১০:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চাঁদের মতো ফুটফুটে মেয়ে ফাতেমা জান্নাত রুহী। কে বলবে মেয়েটি অসুস্থ্য। কিন্তু বাস্তবে সে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে নিয়ে বাবা মার দূর্বিসহ জীবন। হার্টের দূটো ফুঠো নিয়ে জন্ম নেয় রুহী। জন্মের পর থেকেই রুহীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হয়। কখনো সমস্ত শরীর ঘেমে ভিজে যায়। কখনো অনুভব করে প্রচন্ড শীত। নির্ঘুম রাত কাটে বাবা-মাসহ রুহীর। ১৮ মাস বয়সের রুহীকে নিয়ে র্দর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন বাবা রবিউল ইসলাম ও মা তানিয়া খাতুন।

জানা গছে, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াশীন গ্রামের প্রাণীসম্পদ পল্লী চিকিৎসক রবিউল ইসলাম। মধ্যবিত্ত পরিবারে সদস্য রবিউলের একমাত্র মেয়ে ফাতেমা জান্নাত রুহী। জন্মের পর থেকেই মেয়ের অসুস্থ্যতার বিষয়টি বাবা-মার নজরে আসে। আর তখন থেকেই শুরু হয় রুহীর পরিবারের দূশ্চিন্তা। প্রথমে চিকিৎসা নেন বগুড়ার পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে বসাকের নিকট।

এরপর ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজের নিকটও চিকিৎসা নেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এতে মেয়েকে নিয়ে আরো বিপাকে পড়েন বাবা রবিউল। শেষ ভরসা হিসেবে ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইষ্ট হসপিটালের হৃদরোগ বিশেষেজ্ঞ ডা. রেজওনা রিমার স্মরণাপন্ন হন। তাঁর তত্ত¡াবধানে এখনও চলছে রুহীর চিকিৎসা। কিন্তু শারীরিক ভাবে বেড়ে উঠলেও রুহীর হার্টের ফুটো রয়েই গেছে। বেড়ে চলছে তার রোগের ধরণ।

রুহীর বাবা রবিউল ইসলাম জানান, ছেলে-মেয়ে নয়, সুস্থ্য সবল একটি সন্তান আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। অসুস্থ্য মেয়ে রুহীর জন্য আমি, আমার স্ত্রী ও আমার পরিবার যে মানুষিক চাপে বেচেঁ আছি তা দূর্বিসহ। আল্লাহ যেন এমন কষ্টে কাউকে না রাখেন। আমার রুহীর মত এমন অসুস্থ্যতা সৃষ্টিকর্তা যেন কোন শিশুকে না দেন। প্রতিটি বাবা-মার সন্তান যেন সুস্থ্য থাকেন এমন প্রত্যাশা করি।

রুহীর মা তানিয়া খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, রুহী গর্ভে এলে ওকে নিয়েই ছিল আমাদের যত স্বপ্ন। সে একদিন পৃথিবীর আলো বাতাস দেখবে এবং বড় হয়ে চিকিৎসক হবে। সেবা করবে দরিদ্র অসহায় মানুষের। অথচ আজ সেই রুহী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশের সকল চিকিৎসকদের প্রতি নিবেদন আমার রুহীকে সুচিকিৎসা দিয়ে বাঁচিয়ে দিন।

বাখ//আর