গাজীপুরে রিদিশা নিটেক্স পোশাক কারখানার দুই কর্মকর্তার অপসারণসহ বিভিন্ন দাবীতে শ্রমিদের বিক্ষোভ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিভিন্ন দাবীতে তিব্বত গ্রুপের রিদিশা নিটেক্স পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কারখানা অভ্যন্তরে এবং বাহিরে প্রধান গেটের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে বিক্ষোভ করছে। পরে প্রশাসন বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে সকল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা চলে যায়। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যাহ্ন (লাঞ্চ) বিরতির পর থেকে তারা কর্মবিরতি পালন করে বিক্ষোভ শুরু করে।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা জানায়, প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) জসীম উদ্দিন, প্লানিং এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিানয়ারিং (আইই) বিভাগের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলমের অপসারণ, ছুটি নিলে হাজিরা বোনাস না কাটা, নি¤œ মানের টিফিন বিতরণ না করা, অসুস্থ শ্রমিকদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করা, গুরুতর অসুস্থ শ্রমিকদেরকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে দ্রুত প্রেরনের ব্যবস্থা করা, সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চিকিৎসক কারখানায় উপস্থিত থাকা, প্রতি বছরের জানুয়ারী মাসের বেতনের সাথে অর্জিত (বাৎসরিক) ছুটির টাকা পরিশোধ করাসহ বিভিন্ন দাবীতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা জানায়, প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) জসীম উদ্দিন অদ্য দুপুরে কারখানার অ্যাসেম্বলী পয়েন্টে শ্রমিকদের সামনে এক শ্রমিককে চর দিলে শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে কাজ বন্ধ করে দয়ে। পরে তারা বিক্ষোভ শুরু করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুপুরের পর আজকের জন্য ছুটি ঘোষনা করে। পরে শ্রমিকেরা কারখানা ত্যাগ না করে কারখানার অ্যাসেম্বলী পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
কারখানার ফিনিশিং সেকশনের অপারেটর নিয়ামত উল্লাহ, উবায়দুল্লাহসহ অন্যান্য বলেন, অসুস্থতা ও জরুরী প্রয়োজনে ছুটি চাইলে ছুটি দিতে চাই না, রাত ১২টা পর্যন্ত ডিউটি করালেও এক মাস পর বিল পরিশোধ করে। টিফিন খুবই নিম্ন মানের পরিবেশন করে। যেসব টিফিন দেয় ওইসব টিফিন গরু-ছাগলও খায় না। বারবার এসব বিষয়ে আবেদন জানালেও কারখানা কৃর্তপক্ষ এসব দাবী না মেনে শুধু কাজের জন্য চাপ দেয়।
সুইং সেকশনের সুপারভাইজার রুবেল মিয়া, অপারেটর খালেদা আক্তারসহ অন্যান্য শ্রমিকেরা জানায়, প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) জসীম উদ্দিন, প্লানিং এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিানয়ারিং (আইই) বিভাগের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম প্রতিনিয়ত শ্রমিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে।
অপর শ্রমিকেরা জানান, ইউনিট-৫ এর ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের অপারেটরদেরকে টাকার বিনিময়ে ছুটি দিয়ে থাকে। প্রায় শ্রমিকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ না করে তাদেরকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে থাকে। সাধারণ জ¦র নিয়ে কারখাানার মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য গেলে বাহিরের হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করতে বলে।
অভিযুক্ত প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) জসীম উদ্দিন বলেন, আমি কারখানায় এ মুহুর্তে অবস্থান করছি না। শ্রমিকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বাখ//আর