০২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাগেরহাটে মৎস্য ঘের দখলে নিতে প্রতিবন্ধী সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাটের রামপালে মৎস্য ঘের দখলে নেওয়া ও ঘেরে যাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য মোঃ আমীর হোসেন (৫১) নামের এক প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী এবং তার লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের পরে মামলা করলেও, পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। এই অবস্থায় নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছেন ওই ব্যবসায়ী। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী। মারধরের শিকার ব্যবসায়ী মোঃ আমীর হোসেন ফকির হাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, রামপাল উপজেলার হুড়কা মৌজায় আমার ৪৩ একর জমিতে মৎস্য ঘের রয়েছে। ওই জমিটি বিগত সরকারের আমলে কৃষকলীগ নেতা আব্দুর রশীদ জোর করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। সরকার পতনের পরে ওই ঘেরে মাছ চাষ শুরু করি। কিন্তু গেল ৭ ফেব্রুয়ারি মোটরসাইকেল যোগে ঘের থেকে ফেরার পথে খুলনা মোংলা মহাসড়কের বাবুর বাড়ি এলাকায় আমাদের গতিরোধ করা হয়।
উপজেলার পারগোবিন্দপুর এলাকার হালিম পাটোয়ারি মোস্তফার নির্দেশে তার ছেলে ইসতিয়াক পাঠোয়ারী ও তাদের সহযোগি মিলন মল্লিক, অরিন্দম বিশ্বাস, আমান সরদার, শেখ আঃ রশিদসহ অণ্তত ১০-১২ জন আমাদের উপর হামলা করে। তাদের মারধরে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, আমার শরীরের উপর মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। আমার সাথে থাকা আমার ম্যানেজার খন্দকার আশিকুর রহমানকেও মারধর করে তারা।
হামলাকারীরা আমাদের মোটরসাইকেল ভেঙ্গে ফেলে। ব্যাগে থাকা ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা, ৩টি প্রজেক্টের ফাইল, একাধিক জমির দলিল, পর্চা ও সমাজ সেবা অধিদপ্তর প্রদত্ত প্রতিবন্ধী ভাতা তোলার সিম কার্ড নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য আমি যাতে ওই ঘেরে না যেতে পারি। এজন্যই তারা আমাকে মারধর করেচে। ১৪ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় আমরা মামলা করেছি। এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আমরা এর নায্য বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনের সময়, মারধরের শিকার ওই ব্যবসায়ীর ম্যানেজরা খন্দকার আশিকুর রহমান, রামপাল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ইব্রাহীম হোসেন, ছাত্রদল নেতা হাবিবুল্লাহ শেখ, শ্রমিক শামীম উপস্থিত ছিলেন।